আল ইহসান ডেস্ক:
জামাতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস। মুক্তিযুদ্ধকালে ছিলো কেন্দ্রীয় শান্তিকমিটির ২৩ নম্বর সদস্য ও আল-বাদর বাহিনীর বাগেরহাটের আঞ্চলিক নেতা। একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে সে বাগেরহাটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নেপথ্য মদদদাতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের উপর চালায় অত্যাচার-পীড়ন। এছাড়া সম্ভ্রমহরণ ও লুটতরাজের সঙ্গেও সে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো।
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা বলেছেন, রুহুল কুদ্দুস একাত্তরে শান্তিকমিটি, আল-বাদর ও রা বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
টাঙ্গাইলে সে সময় যা কিছু হয়েছে বাছেতের জ্ঞাতসারেই হয়েছে। যুবক তরুণদের জোর করে রাজাকার, আল-বাদরে ভর্তি করেছে বাছেত। টাঙ্গাইলে শান্তিকমিটির সদস্যদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য পাকী আর্মিরা বাছেতের সঙ্গেই পরামর্শ করে নিত।
স্বাধীনতাকামী নিরীহ-নিপরাধ মানুষের রক্তে রাঙানো বাছেতের হাত দিয়ে হাজার হাজার অপকর্ম হলেও সেই বাছেতের বিচার হয়নি। রাজাকারপ্রধান বাছেত স্বাধীনতা অর্জনের এত বছর পরেও বহাল তবিয়তে ক্ষমতার উচ্চ শিখরেই বসে আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাছেত বাংলাদেশ ছেড়ে সউদী আরব চলে গিয়েছিল। ১৯৭৫এ বঙ্গবন্ধু সপ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার, শান্তিকমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য, টাঙ্গাইলে রাজাকার, আল-শামস, আলবাদরে লোক নিয়োগের প্রধান ডাক্তার ক্যাপ্টেন (অব) আব্দুল বাছেত এখন ঢাকার রামপুরায় চারতলা বাড়ির মালিক। ক্যাপ্টেন আব্দুল বাছেত ঢাকায় জামাতের নেতাও। তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে মাঝে মধ্যেই টিভি’র পর্দায় তথাকথিত ইসলামী আলোচনায় অংশ নিয়ে থাকে। আবার কিছু বিশেষ পত্রিকায় তথাকথিত ইসলামী ভাবধারার লেখাও ছাপা হয় তার নামে। (অর্থাৎ পুরোদস্তুর ধর্মব্যবসায়ী ক্যাপ্টেন বাছেত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ছিল অবসরপ্রাপ্ত। পাকী সেনাদের পক বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও রাহাজানির হোতা স্বাধীনতাবিরোধী জামাতের সাবেক আমীর গো’আযমের শ্যালক ১৯৭১এর আল-বাদর বাহিনীর নওগাঁর আঞ্চলিক প্রধান মোনায়েম-কাম আকরাম ওরফে খক্কো মৌলভী নওগাঁ জেলা জামাতের নেপথ্যের নীতিনির্ধারক। তার নেতৃত্বে রাজাকার-আল-বাদর বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় হত্যা, রাহাজানি, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে নির্বিচারে। তারা পার-নওগাঁ তাজ হলের ভেতর ২৫/৩০ জন স্বাধীনতাকামী বঙ্গ সন্তানকে হত্যা করে হলের পেছনে মঞ্চের মধ্যখানে অবস্থিত কূপের ভেতর ফেলে দিয়েছিল। পরবর্তীতে যেসব মুক্তিযোদ্ধা কূপের ভেতর থেকে লা বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
শুধু তাই নয়, সলেমানের নির্দেশে নড়াইলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ নিরীহ মানুষকে ধরে এনে হত্যার পর চিত্রা নদীতে ফেলে দেয়া হত। হত্যার আগে বন্দিদের নাম একটি খাতায় লেখা হত। নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস ছিল তাদের ক্যাম্প। এখানে নির্যাতন করা হত বন্দিদের উপর। ঘাতক সলেমান এসে প্রতিরাতে ওই খাতায় তোলা নামের পাশে লাল কালি দিয়ে টিক চিহ্ন দিত এবং লিখত। এরপর বন্দিদের প্রাণদ- কার্যকর করার জন্য জল্লাদদের বুঝিয়ে দিত। জল্লাদরা রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে চিত্রা নদীর ফেরিঘাটে বন্দিদের নিয়ে গিয়ে প্রাণদ- কার্যকর কর বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার, নড়াইল জেলা পিস কমিটির চেয়ারম্যান, জামাত নেতা সলেমান মালানা এখন অঢেল সম্পত্তির মালিক। অভিযোগ রয়েছে, ১৯৭১-এর লুটের টাকায় ঢাকার কাছে বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে। তার আরেক ভাই রাজাকার কমান্ডার রুহুল কুদ্দুস বর্তমানে যশোর জেলা জামাতের ‘পলিটিক্যাল সেক্রেটারি’ ছিল। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের কাহিনী আজও ভুলতে পারেননি নড়াইলবাসী। পাকী বাহিনীর এই দুই কুখ্যাত দালাল এখনও গ্রামে যেতে পারে না। নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের দু’ভাই সলেমান ও রুহুল ১৯৭১-এ তৎকালীন নড়াইল মহকুমার দ-ম বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের যে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করত; এমনকি মুক্তিযোদ্ধা ভেবে ঘোড়াকে গুলি করে হত্যা করায় ঘোড়ামারা আজিজ নামে যে ব্যাপক পরিচিত, সেই রাজাকার কমান্ডার মালানা আব্দুল আজিজ জামাতের গাইবান্ধা জেলার আমীর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গাইবান্ধা জেলায় পাক বাহিনীর একনিষ্ঠ দোসর হিসেবে রাজকাররা যে অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যা, নারীর সম্ভ্রমহরণ ও লুটতরাজ চালিয়েছিল এলাকার লোকজন সে কথা ভেবে আজও শিউরে উঠে। সেদিনের সে রাজকারদের একজন আব্দুল আজিজ গাইবান্ধা জেলা জামাতের আমীর। হত্যা, নারীর সম্ভ্ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
‘একাত্তরের সেই রাজাকার আব্দুল খালেক ওরফে প্রফেসর খালেক শত শত স্বাধীনতাকামী, নিরীহ, নিরপরাধ মানুষের খুনে হাত রাঙিয়ে ছিল। বহু মা-বোনকে ধরে নিয়ে তুলে দিতো পাকী সেনাদের হাতে।
স্বাধীনতার পর রাজাকার আ. খালেক কিছু সময়ের জন্য গা-ঢাকা দিয়েছিল। এরপর বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে আবার রাজাকার আ. খালেক লোকসমক্ষে ফিরে আসে। ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পরপরই রাজাকার আ. খালেক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তির তালিকাভুক্ত হয়। রাজাকার আ. খালেকের তখন উঠা-বসা ডিসি-এসপি থেকে শুরু করে সমাজের সব মহলেই। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন খুনি রাজাকার বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে শিবিরের আল-বাদর রাজাকাররা ইতোমধ্যে বহুবার তাদের মজ্জাগত নৃশংসতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। সাপ্তাহিক বিচিত্রার (১৪ বর্ষ ৪২ সংখ্যা, ১৪ মার্চ, ১৯৮৬, পৃ-২৩) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের পর কোনো এক সময়ে গো’আযমের নেতৃত্বে এবং অন্যান্য জামাতী নেতার তত্ত্বাবধানে এই আর্মস ক্যাডার বাহিনী গঠিত হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘মোমেনীন সালেহীন’। এই সালেহীনের ট্রেনিং দেয়া হয় ঝিনাইদহ ও নাটোর এলাকায়। নড়াইলের আল-বাদর কমান্ডার সোলায়মান নামে এক জামাতী পরিচালনা করে এই ট্রেনিং। ইতঃপূর্বে এই সশস্ত্র বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
১৬ ডিসেম্বরের পর ৩৫০, নাখালপাড়ায় আশরাফুজ্জামান যে বাড়িতে থাকতো, সেখান থেকে তার ব্যক্তিগত ডায়েরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ডায়েরির আরেকটি পৃষ্ঠায় ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ষোলজন দালাল অধ্যাপকের নাম। এছাড়াও ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পনার অপারেশন ইনচার্জ চৌধুরী মঈনুদ্দিন, আল-বাদর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সদস্য শওকত ইমরান ও ঢাকার আল-বাদর বাহিনীর প্রধান শামসুল হকের নাম। ডায়েরিতে নিহত বুদ্ধিজীবী ছাড়াও বহু বাঙালির নাম-ঠিকানা লেখা ছিল। এদের সবাই আল-বাদর বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিলো। এক টুকরো কাগজে তৎকালীন পাকিস্তান জুট ব বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সউদী আরবে পুনর্বাসিত আল-বাদরদের দৃষ্টান্ত দেয়ার জন্য এখানে উপস্থাপন করা হবে আল-বাদর হাইকমান্ডের সদস্য আশরাফুজ্জামানের কথা। এই আশরাফুজ্জামান খান ছিল আল-বাদর বাহিনীর প্রধান ঘাতক। স্বহস্তে গুলি করে সে মিরপুর গোরস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষককে হত্যা করে বলে সুনিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।
যে গাড়িতে করে অধ্যাপকদের গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার চালক মফিজুদ্দীন নামে জনৈক আল-বাদর সদস্য সে আশরাফুজ্জামানকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের ‘চীফ এক্সিকিউটর’ (প্রধান জাল্লাদ) হিসেবে উল্লেখ করেছিল।
১৬ ডিসেম্বরে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
লন্ডন থেকে নজরুল ইসলাম বাসন ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদককে পত্র মারফত চৌধুরী মঈনুদ্দিনের সাম্প্রতিক তৎপরতার বিবরণ লিখেছে। সে লিখেছে- “চৌধুরী মঈনুদ্দিন বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের অপারেশন ইনচার্জ। বর্তমানে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সংস্থার সংগঠক, নেতা ও নীতি নির্ধারক। বর্তমানে লন্ডনে চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে ঘিরে শুরু হয়েছে আন্দোলন, বিতর্ক, সংঘর্ষ। চৌধুরী মুঈনুদ্দিনের সংগঠন ‘দাওয়াতুল ইসলাম’ সম্প্রতি তাকে বহিষ্কার করেছে। ইস্ট লন্ডন মসজিদে ম্যানেজিং কমিটির সচিব পদ থেকে তাকে সরানো হয়েছে। তবু বাকি অংশ পড়ুন...












