ঘর ওয়ালার প্রশ্নের জবাবে অনুমতি প্রার্থনাকারী শুধু “আমি আমি” বলা নিষেধ হওয়া সংক্রান্ত :
‘খত্বীব’ উনার ‘জামে’তে হযরত আলী বিন আছিমিল্ ওয়াসিত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদা আমি বছরায় আগমন করে হযরত শু’বাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাড়ীতে আসলাম এবং উনার ঘরের দরজায় খট্খটি দিলাম। তিনি বললেন, আপনি কে? আমি বললাম আমি। তিনি বললেন, হে আপনি! গর্বকারী বন্ধু সে তার বন্ধুর কাছে আমি বলছে। অতঃপর তিনি ঘর থেকে আমার দিকে বেড়িয়ে আসলেন এবং বললেন, আমার কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত মুহম্মদ ইবনুল মুনকাদির রহমতুল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে পাশ্চাত্যের যত বৈরী প্রচারণা তার বেশীর ভাগই নারী অধিকার ও নারীর মর্যাদাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, পাশ্চাত্যের উচ্চ শিক্ষিত নারীরাই সবচেয়ে অধিকহারে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দিকে এগিয়ে আসছেন। বিংশ শতাব্দির ১ম দশকে পাশ্চাত্যে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণকারী নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩৭%। অন্যদিকে খ্রীস্টান ধর্ম গ্রহণকারীদের সংখ্যা সে সময়ে ৪৬% বৃদ্ধি পেলেও, এর বিপরীতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণকারীদের সংখ্যা একই সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩৫%। এক জরিপে দেখা গেছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র বাকি অংশ পড়ুন...
এসএসসিতে বাংলা সহপাঠ হিসেবে পড়তে হয়েছিল অবাধ মেলামেশা ও পরকীয়া নিয়ে “হাজার বছর ধরে” উপন্যাসটি। তারপর এইচএসসিতে পড়তে হল “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাস।
স্কুল কলেজে এসব বেপর্দা-বেহায়াপনা শেখা সেই ছাত্র-ছাত্রীরা এখন সংসার জীবনে প্রবেশ করেছে।
এই মানুষগুলোকে যদি ছাত্রজীবনে এসব না শিখিয়ে বেপর্দা-বেহায়াপনার শাস্তি শিখানো হত, তাহলে কি তারা এতোটা বেপরোয়া হতে পারত? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের কারো মাথায় লোহার পেরেক ঠুকে দেয়া ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে বাকি অংশ পড়ুন...
অনেক মহিলা এমন আছে, পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে রোযা রাখে এমনকি অনেক নফল ইবাদত করে থাকে, কিন্তু পর্দাকে কোন গুরুত্ব দেয় না। এর মধ্যে অনেকে বোরকা পরেনা, অনেকে বোরকা পরেও বোরকা না পরার সমান। কারণ এই বোরকাতে তাদের দেহের আকৃতি সম্পূর্ণ বোঝা যায়। আবার অনেকে এমন বোরকা পরে যে, তার হাত পা মুখ সব খোলা রাখে। তাদের মতে এটাই বোরকা তথা এটাই পর্দা। আবার অনেকে বলে থাকে এত পর্দার দরকার নাই। নাউযুবিল্লাহ! অথচ সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা পর্দা করা ফরয। পাশাপাশি পর্দা মহিলাদ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘ছোহবত ক্রিয়া করে।’
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, পরস্পর মুছাফাহা করো; এতে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পায়, মনের কালিমা দূর হয়। একে অন্যকে হাদিয়া দাও; এতে ভালোবাসা বৃদ্ধি হয় এবং হিংসা বিদ্বেষ দূর হয়। (মিশকাত শরীফ)
যাহিরী আলিমদের ছোহবত ইখতিয়ার করলে ইলম বৃদ্ধি হয়, কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত মা’রিফাত হাছিল হয় না। অভিজ্ঞদের ছোহবতে গেলে প্রত্যেক বিষয়ে চূড়ান্ত ফায়ছালা পাওয়া যায়। বৃদ্ধদের ছোহবতে গেলে চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি পায় ও দুনিয়াবী অভিজ্ঞতা পয়দা হয়। রাজা-বা বাকি অংশ পড়ুন...
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুযাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, একজন সন্তান তার জন্মের পর তার পিতা-মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো প্রথমেই তাকে তিনটি বিষয় শিক্ষা দেওয়া।
প্রথম শিক্ষা হলো:
১। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
كُونُوا رَبَّانِيِّينَ
অর্থ: তোমরা সকলে আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী হয়ে যাও।। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ ৭৯)
অর্থাৎ প্রথমে সন্তানকে শিক্ষা দিতে হবে যে, তোমাকে আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী হতে হবে।
দ্বিতীয় শিক্ষা হলো:
২। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِد বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশের ২০ বছর পূর্বে পবিত্র মাহে রবীউছ ছানী শরীফ উনার ১৯ তারিখ ইয়াওমুল জুমু‘য়াহ্ শরীফ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! (দৈনিক আল-ইহসান শরীফ)
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারক হযরত যয়নাব আলাইহাস সালাম। কুরাইশ গোত্রের বনু আসাদ বংশে উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ। উনার সম্মানিত পিতার নাম হযরত জাহাশ আলাইহিস সালা বাকি অংশ পড়ুন...
পর্দা মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র হুকুম। পর্দা মেয়েদেরকে গৃহে বন্দি করেনি বরং পর্দাই মেয়েদেরকে মর্যাদাম-িত করেছে, রক্ষা করছে সম্ভ্রমহরণ এবং পুরুষের কুনজর থেকে। সর্বোপরি জাহান্নামের পথ থেকে জান্নাতের পথে নিয়ে যাচ্ছে। পর্দা নারী পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিকে সংযত ও নিরাপদ করেছে। করেছে মেয়েদের আতœবিশ্বাসী। দিয়েছে সম্মান। এবং এ সকল কিছুর সাথে সাথে মেয়েদের সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেও পর্দা যথেষ্ট সহায়ক। সুবহানাল্লাহ!
(১ম পর্ব)
১. পর্দা উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে:
সকল মানুষের ইচ্ছা তার ত্বকটি যেন একটু উজ্জ্বল হয় লাবণ্যময়ী হয়। কিন বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত লাব্বাবাহ মুতাআব্বিদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা:
তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসের অধিবাসী ছিলেন। তিনি বলেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট এজন্য লজ্জা বোধ করি, না জানি তিনি আমাকে অন্যের সাথে মশগুল রাখেন।
এক ব্যক্তি উনাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি হজ্জ করতে যাচ্ছি, আমি সেখানে পৌঁছে কি দোয়া করবো? উত্তরে তিনি বলেন, তুমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সেই বস্তু চাইবে যাতে তিনি তোমার উপর খুশী হয়ে যান, এবং তোমাকে নিজ পছন্দনীয় লোকদের মধ্যে পৌঁছিয়ে নেন এবং নিজ দোস্তদের মধ্যে মিশিয়ে দেন। (নাফাহাতুল উন্স্, পৃষ্ঠা ৮৮১)
হযরত মরিয়ম বছরিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহা বাকি অংশ পড়ুন...
ঘরওয়ালা অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত অবশ্যই অপেক্ষা করবে:
যদি দরজা বন্ধ থাকে, তবে সে ইচ্ছা করলে যতক্ষণ ইচ্ছা অপেক্ষা করবে এবং অনুমতি প্রার্থনা করবে। অথবা দরজায় খটখটি দিবে। হযরত আবূ মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেছেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফের দেয়ালের পার্শ্বে কূপের পাথর ভূমিতে আসলেন এবং উনার মহাসম্মানিত নূরুদ দারাজাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত পা মুবারকদ্বয় কূপের মধ্যে প্রসারিত করলেন। এমতাবস্থায় স বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইমামুল মুত্তাক্বীন, আসদুল্লাহিল গালিব, খলীফাতুর রবি’, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি প্রায়ই বলতেন, মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার একটি আদেশ মুবারক শুধু আমিই পালন করেছি। আমার পূর্বে এবং পরে অন্য কারো পালন করার সৌভাগ্য হয়নি। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন হুকুম দিলেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً ۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌ لَكُمْ وَأَطْهَرُ ۚ فَ বাকি অংশ পড়ুন...
কিছু মুর্খ, বকলম, কম আক্বল ধর্মব্যবসায়ীরা বলে থাকে- মেয়েদের এত ইলম অর্জন করার প্রয়োজন নেই। ” (নাউযুবিল্লাহ)
অপরদিকে আরো কিছু গ- মূর্খ, ধর্মদ্রোহী, বিভ্রান্তকারীর বলছে- “নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নেই উভয়ের জন্য সমধিকার। ”
যার ফলে আমরা আজ দেখতে পাই পুরুষ-মহিলা এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একত্রিত হচ্ছে। মূলত উপরোক্ত উভয়টিই বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। কেননা, আমরা পূর্ববর্তী যামানার দিকে লক্ষ্য করলে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহিলা ছাহাবী রদ্ব বাকি অংশ পড়ুন...












