আত তাক্বউইমুশ শামসী সনের ইতিবৃত্ত ১৩
, ২৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আত তাক্বউইমুশ শামসী অনুসরণের সুফল
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি কাফিরদের তৈরি ফলে এর অনুসরণের ফলে শুধু কাফিরদের স্মরণ হয়; যা মুসলমান উনাদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম। এ ছাড়াও এর অনুসরণে কল্যাণ নেই বরং অকল্যাণ রয়েছে। কিন্তু “আত-তাক্বউইমুশ শামসী”- এই তাক্বউইম অনুসরণে কাফিরদের অনুসরণ হয় না বরং মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের স্মরণ হয়। ফলে মুসলমান উনারা রহমত, বরকত, সাকীনা লাভ করবে। কাফিররা সব ক্ষেত্রে মুসলমান উনাদের অনুসরণ করবে। কারণ এদের সৃষ্টি করা হয়েছে মুসলমান উনাদের খিদমতের জন্য। এই শামসী তাক্বউইম তৈরির ফলে এর ব্যাপক প্রচার-প্রসার হলে ধীরে ধীরে কাফিররা এর অনুসরণ করবে এবং মুসলমান উনাদের শ্রেষ্ঠত্ব ও আভিজাত্য বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির ব্যবহার বন্ধ করলে মুসলমান উনারা কাফিরদের অনুসরণ এবং এর অনুসরণের বদ তাছির থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
আত তাক্বউইমুশ শামসী ব্যবহার শুরু করার উপায়
১) যে কোন একটি সন ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই সেই সনের একটি ক্যালেন্ডার হাতের কাছে থাকা প্রয়োজন। শামসী সনের ক্যালেন্ডার ছাপা হয়েছে সেটি সংগ্রহ করতে পারেন। আর অফিসে বা বাসার কম্পিউটারে শামসী তারিখ কনভার্টার নিয়ে রাখতে পারেন, এতে আজ শামসী কত তারিখ বা একটা নির্দিষ্ট দিন শামসী কত তারিখ ছিল তা সহজেই জেনে নিতে পারবেন।
২) প্রতিদিনের কাজের হিসাবগুলো শামসী তারিখ অনুযায়ী করুন তাতে শামসী তারিখ মনে থাকবে।
৩) খুব সহজ পদ্ধতি হচ্ছে প্রতি মাসে ঈসায়ী তারিখের সঙ্গে ১ দিন বা ২ দিন মাত্র পার্থক্য থাকে। প্রতি মাসের শুরুতেই জেনে নিন পার্থক্য কত দিনের এতে মনে রেখে ব্যবহার করতে সহজ হবে। যেমন এ বছর আউওয়াল মাসের সাথে জুন মাসের পার্থক্য ২ দিন।
৪) তবে শুরুতে মাসের নাম, দিনের নাম, মাস গণনার নিয়ম একটু মুখস্থ করে নিলে সুবিধা হবে।
কবিতা আত তাকউইমুশ শামসী
জোড়ের মাসে বিজোড় হবে
বিজোড় মাসে জোড়।
দ্বাদশ মাস ভিন্ন হয়ে
জোড়ে হবে ভোর।
৪ দ্বারা সাল ভাজ্য হলে
দ্বাদশ মাস বিজোড়।
১২৮ দ্বারা ভাজ্য হলে
আগের মতো জোড়।
ব্যাখ্যা : জোড়ের মাসে বিজোড় হবে যেমন ছানী, রাবি’, সাদিস, ছামিন, আশির (৩১ দিনে)। বিজোড় মাসে জোড়। যেমন আউওয়াল, ছালিছ, খ্বামিস, সাবি’, তাসি’, হাদী ‘আশার (৩০ দিনে)।
দ্বাদশ মাস ভিন্ন হয়ে, জোড়ে হবে ভোর। এখানে দ্বাদশ মাস (ছানী আশার) জোড় হবার কারণে ৩১ দিনে হবার কথা কিন্তু ভিন্ন হবে অর্থাৎ ৩০ দিনে হবে। আর ভোর অর্থ “ছানী আশার” শেষ হয়ে নতুন বছর শুরু হয়।
৪ দ্বারা সাল ভাজ্য হলে, দ্বাদশ মাস বিজোড়। যেমন ১৩৮৪ শামসী সন (৩১ দিনে)। ১২৮ দ্বারা ভাজ্য হলে, আগের মতো জোড়। এখানে আগের মতো জোড় বলতে ৪ দ্বারা বিভাজ্য সাল ৩১ দিনে হলেও ১২৮ দ্বারা বিভাজ্য সাল ৩০ দিনে হবে। যেমন ১৪০৮ শামসী সন (৩০ দিনে)।
-আল্লামা মুহম্মদ আল হিলাল
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












