ইউরোপের যত মুসলিম স্থাপত্য
, ১৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০২ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) স্থাপত্য নিদর্শন
১৯৩৪ সালে ‘হাজিয়া সুফিয়া’কে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করার পর ইস্তাম্বুলের প্রধান মসজিদে পরিণত হয় ব্লু মসজিদ। মসজিদের ভিতরে ঢুকলে মনে হবে সমুদ্র পানিরাশির রঙে রাঙানো।
ভিতরের দেওয়াল নীল রঙের টাইলস দিয়ে সাজানো হয়েছে। বাইরে থেকে এই নীল রঙের ঝিলিক দেখে অনেকেই এই মসজিদকে বলেন ‘ব্লু মস্ক’ বা নীল মসজিদ। মসজিদটির মিনার ও গম্বুজগুলো সীসা দ্বারা আচ্ছাদিত এবং মিনারের ওপরে সোনার প্রলেপযুক্ত তামার তৈরি ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। ১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ বখতি এই মসজিদ নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিক এ মসজিদটির স্থপতি ছিলেন মুহাম্মদ আগা। মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি মাদ্রাসা, একটি পান্থনিবাস এবং প্রতিষ্ঠাতার কবর অবস্থিত।
দ্য আল হাম্বরা -স্পেন:
এটি মূলত একটি প্রাসাদ। তবে একে এক কথায় যৌগিক দুর্গও বলা হয়। স্পেনের আন্দালুসিয়ার গ্রানাডা নামক স্থানে প্রাসাদটি অবস্থিত। স্পেনের মুসলিম নাসরি রাজবংশের শাসনামল চলাকালীন ১৩০০ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়। অসাধারণ অলঙ্করণ ও সৌন্দর্যময়তাই প্রাসাদটির মূল আকর্ষণ। যে কোনো দর্শনার্থীর নজর কাড়বে খুব সহজে। বাগান, ঝরনা ও চমৎকার শিল্পসম্মত বিভিন্ন অলঙ্করণ রয়েছে প্রাসাদটির ভিতরে।
সেন্ট্রাল মসজিদ -লন্ডন:
লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদ ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটি লন্ডনের রিজেন্টস পার্কের পাশেই অবস্থিত। মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৭৮ সালে। এর প্রধান আকর্ষণ হলো বিশালাকার সোনালি রঙের গম্বুজ। মসজিদের প্রধান হলরুমে একসঙ্গে পাঁচ হাজার মুসল্লি অবস্থান নিতে পারবেন। মসজিদের মেঝে মোড়ানো বৃহদাকার একটি কার্পেট দিয়ে। আছে যৎসামান্য কিছু ফার্নিচার। গম্বুজের ভিতরের দিকটি সাজানো হয়েছে ইসলামী ঐতিহ্যের কিছু উদাহরণ দিয়ে।
রোম মসজিদ -ইতালি:
ইসলামিক স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন ইউরোপের সর্ববৃহৎ ইতালির রোম মসজিদ। এটি মস্কো দ্য রোমা নামেও পরিচিত। বিশাল এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ চলে ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। তিন লাখ ২০ হাজার বর্গফুটের মসজিদে একত্রে ১২ হাজার মুসল্লি নামায পড়তে পারেন। আফগানিস্তানের রাজপুত্র মুহাম্মদ হাসান ও তার স্ত্রী রাজিয়া বেগমের উদ্যোগে এবং সৌদি যুবরাজ ফয়সালের অর্থ সহায়তায় মসজিদটি নির্মিত হয়। নির্মাণ ব্যয় হয় ৪০ মিলিয়ন ইউরো।
তোপকাপি প্রাসাদ -তুরস্ক:
তুরস্কের তোপকাপি প্রাসাদ ১৪৫০ দশকে সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদের নির্দেশে নির্মিত হয়। কয়েকটি দালানের সমন্বয়ে গঠিত স্থাপত্যটি প্রায় ৪০০ বছর ধরে ৩০ জন উসমানীয় সুলতানের প্রশাসনিক দফতর ও আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রাসাদ থেকে মর্মর সাগর ও বসফরাস প্রণালির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। প্রাসাদটি প্রথমে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও রাজকীয় অনুষ্ঠানস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে এটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে মুসলমানদের জন্য পবিত্র স্মরণচিহ্ন অর্থাৎ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম লেবাস মুবারক এবং তরবারি মুবারক।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণে মুসলমানদের অবদান
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক মসজিদ “মসজিদ নেগারা”
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে মসজিদ থেকে গভীর রাতে ভেসে আসতো যিকিরের আওয়াজ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩৮)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদ হযরত শাহ মখদুম রুপোশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৬)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৫)
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৪)
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৩)
০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (২)
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্থাপত্যশৈলীর অনন্য স্থাপনা মানিকগঞ্জের ‘ওয়াসি মহল’
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (১)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












