ইতিহাস থেকে প্রমাণিত: মানুষের গোশত খাওয়ার মত ঘৃণ্য কাজও ইহুদী-খ্রিস্টানদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য
, ২৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ২২ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৮ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) ইতিহাস
বেশ কিছুদিন পূর্বে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিলো যে, আমেরিকায় ৭৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হটডগের উপর জরিপ চালিয়ে সেগুলোর মধ্যে মানুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ ওইসব হটডগে মানুষের গোশত মেশানো হয়েছে।
ইহুদী-খ্রিস্টানদের মানুষের গোশত খাওয়ার এই অভ্যাস নতুন নয়, বরং বহু পুরাতন। উগ্র খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা তাদের কথিত ‘ধর্মযুদ্ধ’-এর সময়ই মুসলমানদের গোশত খেয়ে এর প্রমাণ দিয়েছিলো। ইতিহাসের পাতায় রয়েছে যে, ১০৯৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ই ডিসেম্বর প্রথম ক্রুসেডের সময়ে খ্রিস্টান বাহিনী সিরিয়ার মাআরা শহর দখল করে। ক্রুসেডারদের নেতা ‘বোহেমন্ড অফ টারান্টো’ মুসলমানদের নিকট প্রতিজ্ঞা করে, মুসলমানরা অস্ত্রত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কোনো ক্ষতি করা হবে না।
মাআরা শহরের মুসলমানরা অস্ত্রত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করার সাথে সাথেই খ্রিস্টানরা তাদের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে মুসলমানদের উপর নির্মমভাবে গণহত্যা চালানো শুরু করে, অনেকটা স্পেনের এপ্রিল ফুলের মতো। ওই দিনে মাআরা শহরের কমপক্ষে ২০ হাজার মুসলমান অধিবাসীকে শহীদ করা হয়।
তখন ছিলো ডিসেম্বর মাস। শীতের কারণে ক্রুসেডারদের খাদ্য ও রসদের যোগানে ঘাটতি দেখা দেয়। তখন ক্রুসেডাররা মুসলমানদের লাশ থেকে গোশত কেটে কেটে রান্না করে খাওয়া শুরু করে।
ঐতিহাসিক দলিলে রয়েছে, , Radulph of Caen নামক এক ক্রুসেডার সেনা পোপের কাছে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করে, " In Ma’aarra, our troops boiled pagan adults alive in cooking pots; they impaled Muslims on spits and devoured them grilled."
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নবী হিসেবে স্বীকার করে না খ্রিস্টানরা, তাই ক্রুসেডাররা তাদের লেখায় মুসলমানদের ‘প্যাগান’ বা কিতাব বহির্ভূত হিসেবে উল্লেখ করতো। পোপের কাছে লেখা উক্ত চিঠির বক্তব্য অনুযায়ী, মুসলিম জনগণকে খ্রিস্টানরা জীবন্ত অবস্থায় ফুটন্ত পানিতে ছেড়ে দিয়ে সিদ্ধ করতো এবং মুসলমানদের গোশত ভক্ষণ করতো। অনেক ক্ষেত্রে শিকে গেঁথে কাবাব বানিয়ে মুসলমানদের গোশত ভক্ষণ করতো খ্রিস্টানরা। নাউযুবিল্লাহ!
অর্থাৎ মানুষের গোশত খাওয়ার অভ্যাস হলো খ্রিস্টানদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন সময়ে খবরে প্রকাশিত হয়েছে যে, ব্রিটিশ কথিত রাজপরিবারে মানুষের গোশত খাওয়ার চল ছিলো। এটিই স্বাভাবিক, কারণ এই ব্রিটিশ কথিত রাজপরিবারই ছিলো ক্রুসেডের মূল উদ্যোক্তা। খ্রিস্টানদের মানুষের গোশত খাওয়ার এই অভ্যাস গঠিত হয়েছে তাদের উপর লা’নত বর্ষণের কারণে, যেই লা’নত তারা অর্জন করেছিলো ক্রুসেডের সময়ে মুসলমানদের গোশত ভক্ষণ করার মাধ্যমে।
-গোলাম মুর্শিদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কেমন ছিলো মোঘল সালতানাতের গোলন্দাজ এবং অশ্বারোহী বাহিনী
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পান্থনিবাস ও সরাইখানা নির্মাণে মুসলমানদের অনবদ্য অবদান
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩৯)
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুসলমানদের শিক্ষা-দীক্ষার বিরোধিতায় বিধর্মী-অমুসলিমরা
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলার হিন্দু ধনিক-বণিক, বেনিয়া শ্রেণী, ব্যাংকার প্রভৃতির সাথে এক গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলিম
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইউরোপকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছেন আফ্রিকান মুসলমানরা
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গুজরাটের সুলতান মুজাফফর শাহের পরহেজগারিতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩৭)
০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কেমন ছিলেন ইসলামী ইতিহাসের প্রথম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঐতিহাসিক মুসলিমবাগ ঈদগাহ-ই কি আজকের ঢাকেশ্বরী মন্দির?
২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১২টি চন্দ্রমাসের নাম এবং নামকরণের সার্থকতা (২)
২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঐতিহাসিক খেমকারান যুদ্ধ: যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয়তাবোধের উদ্ভব
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












