ইস্তাম্বুলে স্থাপত্যর ঐতিহাসিক নিদর্শন সুলাইমানী মসজিদ
এডমিন, ২৪ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৭ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) স্থাপত্য নিদর্শন

সুলাইমানী মসজিদ কমপ্লেক্স তৎকালীন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মসজিদ কমপ্লেক্স ছিল। যাকে তুর্কী ভাষায় “কুলিয়া” বলা হয়, অর্থাৎ স্বয়ংসম্পূর্ণ মসজিদ কমপ্লেক্স। কেননা এতে মসজিদের পাশাপাশি আরও অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ছিল ১- দারুশ শিফা বা হাসপাতাল। ২- বিদ্যালয় । ৩- হাম্মামখানা বা পাবলিক বাথ। ৪। আশ্রয়কেন্দ্র । ৫- অতিথি ভবন । ৬- চারটি স্বতন্ত্র দ্বীনি শিক্ষালয় বা মাদরাসা। ৭- দারুল হাদীস বা উচ্চতর হাদীস গবেষণা কেন্দ্র। ৮। মেডিক্যাল কলেজ। ৯। বিনামূল্যে অসহায় দরিদ্রদের জন্যে খাদ্য তৈরী ও বিতরণ কেন্দ্র।
মোটকথা সুলতান সুলাইমান এই মসজিদকে একটি পরিপূর্ণ দ্বীনীকেন্দ্ররূপে নির্মাণ করেন। নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক নির্মিত পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার সার্বিক কর্মকান্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে উনার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালনের জন্য পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার আদলে মসজিদে সুলাইমানীর কার্যক্রম বিন্যাস্ত করেন এবং এই মসজিদকে দ্বীনী, সামাজিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রিয় কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্ররূপে প্রতিষ্ঠিত করেন।
উল্লেখ্য যে, এই মসজিদ কমপ্লেক্সের পিছন দিকে একটি মনোরম বাগান ও কবরস্থান রয়েছে। দাফন করা হয়েছে এই ঐতিহাসিক মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান সুলাইমান কানুনীকে, তাঁর আহালিয়া শাহজাদী রোক্সেলানা (যিনি হাসেকী হারেম) নামে পরিচিত । সুলতান সুলাইমানের কন্যা মিহরিমা সুলতান, মাতা শাহজাদী সালেহা ও বোন শাহজাদী আসিয়া। এই মসজিদ নির্মাণের পিছনে যে মূল প্রেরণা সুলতান সুলাইমানের অন্তরে কাজ করেছিল তা তিনি অন্তিম সময়ে ব্যক্ত করে গেছেন। যা তার কবরের ফলকে আজও উৎকীর্ণ আছে। “হে আল্লাহ পাক! আপনার এই নগন্য বান্দা তার সাধ্যানুযায়ী আপনার পবিত্র ঘর নির্মান করেছে, শুধুমাত্র এই প্রত্যাশায়, যেন পরকালে অনন্ত জীবনে তাকে আপনার রহমত মুবারক উনার ছায়াতলে একটু আশ্রয় দিন”।