ইস্তাম্বুলে স্থাপত্যর ঐতিহাসিক সুলাইমানী মসজিদ
, ১৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ০২ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ২০ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) স্থাপত্য নিদর্শন
সুলাইমানী মসজিদের অবস্থান তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। মসজিদটির নির্মাণকাল ১৫৫০-১৫৫৮ খৃ:। মসজিদটি নির্মাণ করেছেন সমগ্র বিশ্বব্যাপী অত্যান্ত সুপরিচিত ঐতিহ্যবাহী উসমানীয় সালতানাদের বিখ্যাত স্থপতি মিমার সিনান। মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা উসমানীয় সালতানাতের সুলতান সুলাইমান কানুনী। মূল মসজিদের আয়তন দৈর্ঘ্য : ৫৯ মিটার, প্রস্থ ৫৮ মিটার = ৩৪২২ বর্গ মিটার। মসজিদের মূল গম্বুজের উচ্চতা ৫৩ মিটার। মসজিদে মিনার সংখ্যা ৪টি। মিনারের উচ্চতা ৭২ মিটার।
তুরস্কের ঐতিহাসিক নগরী ইস্তাম্বুল যখন উসমানীয় সালতানাতের রাজধানী ছিল, সেই সময়ে ১৫৫০ থেকে ১৫৫৮ খৃ: এর মধ্যবর্তী সময়ে নির্মাণ করা হয় সুলাইমানী মসজিদ (তুর্কীদের স্থানীয় ভাষায় সুলাইমানী কেমী)। মসজিদ নগরী হিসেবে খ্যাত ইস্তাম্বুলের অন্যতম বৃহৎ মসজিদ জামে সুলাইমানী, একই সাথে উসমানীয় স্থাপত্যের এটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। উসমানীয় সুলতান সুলাইমান আল কানুনী এই মসজিদ নির্মাণ করান ১৫৫৮ খৃ: এবং তার নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে সুলাইমানী মসজিদ। এই বৃহৎ আকৃতির মসজিদটি উসমানীয় সালতানাতের শৌর্য-বীর্যের প্রতীক হিসেবে নির্মাণ করা হয়। কারণ, ১৬শ শতকের প্রথমার্ধে সুলতান সুলায়মানের অধীনে উসমানীয় সালতানাত উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে, এই সুবিশাল মনোরম স্থাপত্যটি সেই সাফল্যেরই একটি বাস্তব নিদর্শন। উসমানীয়রা ১৪৫৩ খৃ: রোমানদের কাছ থেকে কনস্টানটিনোপোল বিজয় করে নেয় এবং এর নাম বদলে ইসলামবোল রাখা হয়, যা পরবর্তীতে উচ্চারণগতভাবে ইস্তাম্বুল হয়।
উসমানীয় সালতানাতের সুলতানরা শহরটিকে একটি ইসলামী শক্তিকেন্দ্রে পরিণত করে। সেই সাথে মসজিদ, হাসপাতাল, মাদরাসা (বিশ্ববিদ্যালয়), পাবলিক ইস্তেঞ্জাখানা, আশ্রয় কেন্দ্র, প্রশাসনিক ভবনসহ অবকাঠামোগতভাবে রাজধানী ইস্তাম্বুলকে এতো সুন্দর করে বিন্যাস্ত করা হয় যে, তৎকালীন ইস্তাম্বুল মহানগরী সমগ্র ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ আধুনিক নগরী হিসেবে খ্যাতী লাভ করে। (চলবে ইনশাআল্লাহ)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর অন্যতম আল্লাহর মসজিদ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খেজুরের পাতায় লিখা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৫)
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৪)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য স্থাপত্যের নজির বাংলাদেশে: মসজিদে নববী শরীফ উনার হুবহু নকশায় রাজারবাগ শরীফে সুন্নতী জামে মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই শরীফে
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৩)
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ির সবচেয়ে পুরনো ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদ
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (২)
১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)