স্থাপত্য-নিদর্শন
গৌরবের স্মারক: হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক মসজিদ
, ২৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ০১ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১৬ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্থাপত্য নিদর্শন
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, যা চাঁদপুর জেলার অন্যতম প্রধান মসজিদ ও ঐতিহাসিক স্থাপনা, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি শুধুমাত্র একটি ইবাদতের স্থান নয়; বরং মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর হিসেবে এটি অসংখ্য মুসলিমের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। এই মসজিদ তার স্থাপত্যশৈলী, কারুকাজ এবং পরোলৌকিক পরিবেশের কারণে দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তি লাভের প্রত্যাশায় অসংখ্য মুসল্লীকে আকর্ষণ করে।
ইতিহাস:
হাজীগঞ্জ মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করা হয় ১৩৪৫ হিজরী সনের ০৫ই রবীউল আউওয়াল শরীফ। মসজিদের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় ১৩৫০ হিজরী সনের ১২ই রমাদ্বান শরীফ।
মসজিদ প্রতিষ্ঠার দিন তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার বেশ কিছু আলোচিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী স্থাপত্যের সৌন্দর্য:
হাজীগঞ্জ মসজিদে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার স্থাপত্যশৈলীর প্রকাশ সর্বোচ্চ রূপ প্রকাশ পেয়েছে। মেহরাব, গম্বুজ, এবং সুউচ্চ মিনারে কুরআনিক আয়াত ও নকশার যে শিল্পায়ন দেখা যায়, তা মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও ভক্তি বৃদ্ধি করে। মসজিদের প্রতিটি অংশে পরিশুদ্ধতা এবং জাকজমকের সাথে পরোলৌকিক এক অনুভূতি ফুটে ওঠে।
ইবাদতের কেন্দ্রস্থল:
হাজীগঞ্জ মসজিদে প্রতিদিন হাজার হাজার মুসল্লী পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন। বিশেষ করে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার শেষ জুমুয়া যা জুমাতুল বিদা নামে পরিচিত; এদিন অনেক মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন, যা এই মসজিদকে দেশের অন্যতম বৃহৎ জামাতের স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
পরোলৌকিক প্রেরণা:
স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, এই মসজিদটি মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের ফয়েজ ও বরকতে শিরক ও বিদয়াত মুক্ত। বহু মানুষ তাদের মানত পূরণের জন্য এবং দোয়া কবুলের আশায় এখানে ছুটে আসেন।
সামাজিক অবদান:
মসজিদের অধীনে পরিচালিত মাদরাসা, এতিমখানা, এবং লিল্লাহ বোর্ডিং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা বিস্তারের এবং সমাজসেবার এক অনন্য উদাহরণ। ওয়াকফ এস্টেটের আয়ের মাধ্যমে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানগুলো এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
উপসংহার:
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক মসজিদ শুধু একটি মসজিদ নয়; এটি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলো ছড়ানো এক গৌরবময় স্মারক। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য ইবাদতের পাশাপাশি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ঐতিহ্য এবং পরোলৌকিক শক্তির এক মহান উৎস। মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর হিসেবে এই মসজিদ কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিমদের হৃদয়ে আলোকিত হয়ে থাকবে। ইনশাআল্লাহ!
সংকলনে: মুহম্মদ নাঈম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণে মুসলমানদের অবদান
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক মসজিদ “মসজিদ নেগারা”
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে মসজিদ থেকে গভীর রাতে ভেসে আসতো যিকিরের আওয়াজ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩৮)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদ হযরত শাহ মখদুম রুপোশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৬)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৫)
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৪)
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৩)
০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (২)
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্থাপত্যশৈলীর অনন্য স্থাপনা মানিকগঞ্জের ‘ওয়াসি মহল’
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (১)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












