ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক
, ০৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৭ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৭ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
যেমন- এই যে, হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি হযরত দাঊদ আলাইহিস সালাম উনাকে বয়স দিয়ে দিলেন- এক জায়গায় বললেন, ৬০ বছর। এক জায়গায় বললেন, ৪০ বছর। তাহলে উনি কত বছর দিয়েছিলেন? উনি ভুলে গেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! এই সাধারণ বিষয়টাই তো মানুষ বুঝেনি। উনি তো রসূল। একজন হযরত নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনি আবার ভুলে যান নাকি? না‘ঊযুবিল্লাহ! হ্যাঁ? সম্মানিত ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাহলে তো মহান আল্লাহ পাক তিনি ভুলে গেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! তাহলে এই হাদীছ শুদ্ধ হয় কি করে? এটাই তো মাদরাসায় পড়ায়। এটাই পড়ায়, এটাই পড়তেছে, এটা বিশ্বাস করতেছে। প্রথম মানুষ, প্রথম ভুল। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! এতটুকুই যারা বুঝলো না, তারা বাকিটা বুঝবে কোথা থেকে? বাকিটা কোনো দিন বুঝতে পারবে না। এটা হচ্ছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ
‘মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁর ভালাই চান, তাঁকে দ্বীনের ছহীহ সমঝ দেন। ’
ছহীহ সমঝের স্তর মানুষ জানে না, কতোগুলি স্তর আছে। এ বিষয়ে আবার মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنْ تَتَّقُوا اللَّهَ يَجْعَلْ لَكُمْ فُرْقَانًا
‘মুত্তাক্বী হলে মহান আল্লাহ পাক তিনি ফুরকান দান করেন। ’
ফুরকানটা কোন্ স্তরের? সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে ‘ফারূক্ব’ লক্বব দেওয়া হয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি উনাকে ফুরকান দিয়েছেন। উনাকে ফারূক্ব লক্বব দেওয়া হয়েছে। এটা উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো- ‘উনাকে এই লক্বব মুবারকটা কে দিয়েছেন?’ উনি বলেছিলেন, ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি দিয়েছেন। ’
الفاروق بين الحق والباطل
‘সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। ’
এই যে বিষয়টা- ছহীহ সমঝ তো উনার রয়েছেন। সেটাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, ‘আমার পরে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনি যা করবেন, তোমরা সবটা মেনে নিবে। উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সত্য-মিথ্যা পার্থক্য করার ছহীহ সমঝ দান করেছেন। উনি কখনো না হক্ব কাজ করবেন না। ’
তাহলে ছহীহ সমঝের কতো স্তর রয়েছেন। এটা মানুষ বুঝবে কিভাবে? এটা তো বুঝতে পারবে না। এই জন্য যিকির-ফিকির করতে হবে বেশি বেশি। আর তোমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করো বেশি বেশি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা করলে উনি খুশি হন। আর উনি তো হাযির-নাযির। আমি তো সেটাই বলি। মানুষ তো এটাও বুঝলো না। তারা বলে, উনি হাযির হন! নাযির হন! আরে হাযির-নাজির কবে হবেন? হ্যাঁ? কবে হবেন? তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি হাযির-নাযির হন? মহান আল্লাহ পাক তিনি হাযির-নাযিরই আছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি না; উনি হাযির-নাযির আছেনই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) শুধু পর্দার আড়ালে। দেখা যায়, দেখা যায় না। এতোটুকুই; আর কিছু না। এখন আমরা যা বলি, উনি শুনতেছেন না? সব শুনতেছেন। তাহলে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করলে, উনি খুশি হবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করতেছেন। আমরাও যদি করি, তাহলে হয়ে গেলো। ” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












