ছাহিবে কা’বা কাওসাইনে আও আদনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযিমুশ শান মি’রাজ শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক (৩)
, ১৩ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

মুসনাদে বাযযার, তাবারানী ও দালায়িলুন নবুওয়াহ লিল বাইহাক্বীতে বর্ণিত আছে, “খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যখন আমরা কা’বা শরীফ থেকে বুরাকে করে যাচ্ছিলাম তখন আমরা খেজুর গাছওয়ালা একটি যমীনে পৌঁছলাম। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি দয়া করে এখানে তাশরীফ নিন। আমি নামলাম এবং সেখানে নামায আদায় করলাম। তারপর আবার বুরাকে উঠলাম। অতঃপর হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন: আপনি কি জানেন অর্থাৎ আপনি তো জানেন, কোথায় আপনি নামায পড়েছেন? আমি বললাম, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন। তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আপনি নামায পড়েছেন মদীনা শরীফ-এ (মসজিদুন নববী শরীফ-এ)। নাসায়ী শরীফ-এও বর্ণিত রয়েছে, এটাই আপনার হিজরতের স্থান হবে ইনশাআল্লাহ। (মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবশ্যই তা জানতেন। কেননা তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের ইলমের অধিকারী। এখানে উম্মতকে শিক্ষা দেয়ার জন্যই এরূপ বলা হয়েছে। ) অতঃপর বুরাক চলতে লাগলো এবং আমরা এক স্থানে পৌঁছলাম। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমাকে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি দয়া করে এখানে তাশরীফ রাখুন। অতঃপর খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বুরাক থেকে নামলেন এবং নামায আদায় করলেন। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আপনি কি জানেন, অর্থাৎ আপনি তো জানেন কোথায় নামায আদায় করলেন? আমি বললাম, মহান আল্লাহ পাক তিনিই ভালো জানেন। তিনি বললেন, আপনি মাদায়েন শহরে নামায পড়েছেন, হযরত মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গাছের নিচে। অন্য বর্ণনায় আছে, এটা সিনা বা তুর পর্বতের উপত্যকা, যেখানে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে কথা বলেছেন।
অতঃপর বুরাক খুব দ্রুত গতিতে তার দৃষ্টি পর্যন্ত পা ফেলে চলতে লাগলো। তারপর আমরা এক জায়গায় পৌঁছলাম যার সৌধগুলো আমাদের সামনে প্রকাশিত হলো। তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখানে তাশরীফ নেন। তারপর আমি নামলাম এবং নামায আদায় করলাম। অতঃপর হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন: আপনি কি জানেন কোথায় নামায পড়েছেন? অর্থাৎ আপনি তো জানেন। তিনি সবকিছুই জানার পরও বললেন: মহান আল্লাহ পাক তিনিই ভালো জানেন। তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, এটা বাইতুল লাহাম। যেখানে হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন।
পরিশেষে আমরা ইয়ামনী দরজা মুবারক দিয়ে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এ প্রবেশ করি এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম অসংখ্য অগণিত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সেখানে আমার আগমনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। হযরত জিবরীল আলাইহিমুস সালাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে আমাকে জামায়াতের ইমামতি করতে হবে তা জানালে আমি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমাম হিসেবে নামায আদায় করি।
‘বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ-এ’ রয়েছে অতঃপর হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমার হাত মুবারক ধরে বুরাকে করে আকাশের দিকে নিয়ে গেলেন। অন্যত্র রয়েছে, আমাদের সামনে মি’রাজ শরীফ (আরোহণের সিঁড়ি) হাজির করা হলো আমরা বুরাকে করে সিঁড়ি পথ দিয়ে আসমানে উঠে গেলাম। হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম নামক ফেরেশতা উনার সাথে সাক্ষাৎ হলো। যিনি দুনিয়ার আকাশের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। তার অধীনে সত্তর হাজার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা রয়েছেন। উনাদের মধ্যে প্রত্যেক হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সঙ্গীয় বাহিনী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা হলো এক লাখ। মহান খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই শুধুমাত্র উনার বাহিনীদের সংখ্যা জানেন। ’
-আল্লামা সাইয়্যিদ আহমদ শাবীব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (১)
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল শান-মান মুবারক
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড’
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জিন-ইনসানকে জাহান্নামে যত শাস্তি দেয়া হবে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি শহীদ করেছে, তাকে এককভাবে সকলের অর্ধেক শাস্তি দেয়া হবে
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব- ‘ক্বিছ্ছাতুল গ্বরানীক্ব’
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড’
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)