তিন জেলার মোহনায় পৌনে চারশ বছরের সুপ্রাচীন মসজিদ
এডমিন, ০৪ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৪ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) স্থাপত্য নিদর্শন

সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদটির বাইরের দৈর্ঘ্য ১৪.৪৮ মিটার ও প্রস্থ ৫.৯৪ মিটার। উপরে তিনটি গম্বুজ। সেখানে পদ্মফুলের নকশা। মসজিদের সামনের দেওয়ালে ফার্সি শিলালিপি রয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে হায়াতে আবদুল করিম নামে একজন এই ঐতিহাসিক মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।
হায়াতে আবদুল করিমের পরিচয় নিয়ে দুটি মত রয়েছে। প্রথমটি হলো তিনি এক রাজার কর্মকর্তা ছিলেন। আরেকটি পাওয়া তথ্যমতে, তিনি শাহ সাইয়্যিদ বাগদাদী নামের এক পীর সাহেবের মুরিদ ছিলেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীল মোতাহার হোসেন চৌধুরী বলেন, বড় শরীফপুরের মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই মানুষ আসেন। মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এ মসজিদের ভেতরে বাইরে পাঁচ শতাধিক মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।
কুমিল্লাস্থ মনোহরগঞ্জ জনকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলা সদর থেকে মসজিদটি ৪০ কিলোমিটার ও উপজেলা সদর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে। এই মসজিদের একদিকে ডাকাতিয়া নদী, অন্যদিকে নরহ খাল। পেছনে রয়েছে বিশাল নাটেশ্বর দিঘি। অদূরে মাজার শরীফ।
প্রত্মতত্ত্ব অধিদফতর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বলেন, এটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন মসজিদ। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আওতায় সংরক্ষিত।