দিনাজপুরে সারে ৫০০ বছর পূর্বের ঐতিহাসিক সুরা মসজিদ
, ২৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৩ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ১২ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) স্থাপত্য নিদর্শন
সুরা মসজিদ মসজিদ বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। এটি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন মসজিদ। ঐতিহাসিক এই মসজিদে গ্রানাইটসহ নানা মূল্যবান পাথরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
সুরা মসজিদের নির্মাণকাল নিয়ে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। কেউ কেউ এ মসজিদকে সৌর মসজিদ বলে ডেকে থাকেন। আবার কেউ বলেন সুরা মসজিদ। কারো কাছে এ মসজিদ শাহ সুজা মসজিদ নামেও পরিচিত। একেকজনের কাছে একেক নামে পরিচিত ইসলামিক এই ঐতিহাসিক এ নির্দশনটি।
দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে ও ঘোড়াঘাট-হিলি পাকা সড়কে লাগানো প্রাচীন নিরাশয়ের পরেই এই মসজিদটি অবস্থিত।
স্থানীয়দের মতে, সুর শব্দের অর্থ জিন। শত শত বছর আগে জিনেরা এক রাতে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে স্থানীয় অনেকের বিশ্বাস। আবার মসজিদটির কারুকার্য ও স্থাপত্যেশৈলী দেখে কেউ কেউ ধারণা করেন, ১৬ শতকে সুলতানি আমলে হোসেন শাহীর শাসনকালে এটি নির্মাণ করা হয়। এই মসজিদকে আসমানি বা গায়েবি অর্থাৎ লোক চক্ষুর আড়ালে তৈরি হওয়া মসজিদ বলেও দাবি করা হয়। আবার মুরুব্বিরা বলেন, মুঘল আমলে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা এই মসজিদ নির্মাণ করেন। তাই তারা একে শাহ সুজা মসজিদ বলে ডাকেন।
তবে এর নির্মাণ ও গঠনশৈলী দেখে ধারণা করা যায়, শাহ সুজার ক্ষমতা গ্রহণের অনেক আগে এটি নির্মিত হয়েছে। যেহেতু এই মসজিদটির কোনো শিলালিপি নেই, তাই গঠনশৈলীর ওপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য নির্মাণকাল বের করা হয়। স্থাপত্যশৈলী ও নির্মাণের কলাকৌশল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ধারণা করা হয়, সুলতান হোসেন শাহর আমলের নিদর্শন এটি।
চিত্র: ঐতিহাসিক সুরা মসজিদের লতাপাতার নান্দনিক টেরাকোটা। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)
সুলতানি আমলের নান্দনিক স্থাপত্য সুরা মসজিদ প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত। নামাজের কক্ষ ও বারান্দা। মসজিদটির ওপরে বর্গাকার এক গম্বুজবিশিষ্ট নামাজ কক্ষ এবং পূর্ব ভাগে ছোট তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি বারান্দা রয়েছে। নামাজের কক্ষের মাপ ৭ দশমিক ৮৪মিটার বাই ৭ দশমিক ৮৪মিটার এবং বারান্দার মাপ ৪ দশমিক ৮৪ মিটার লম্বা ও ২ দশমিক ১২ মিটার চওড়া। চুন সুড়কির সাহায্যে ছোট আকৃতির ইট দ্বারা নির্মিত মসজিদের দেয়াল ১ দশমিক ৮০ মিটার প্রশস্ত। নামাজ কক্ষের চার কোণে চারটি ও বারান্দায় দুটি কালো পাথরের মিনার রয়েছে।
চলবে ইনশাল্লাহ.....
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর অন্যতম আল্লাহর মসজিদ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খেজুরের পাতায় লিখা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৫)
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৪)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য স্থাপত্যের নজির বাংলাদেশে: মসজিদে নববী শরীফ উনার হুবহু নকশায় রাজারবাগ শরীফে সুন্নতী জামে মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই শরীফে
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৩)
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ির সবচেয়ে পুরনো ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদ
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (২)
১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)