নারীস্বাস্থ্য: স্বাভাবিক মাজুরতা চলাকালীন খাদ্য পানীয়
, ২৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
ছেলে ও মেয়ে একই সত্তা হলেও তাদের সবকিছুই আলাদা। টিনেজ থেকেই মেয়েদের পুষ্টির চাহিদা ছেলেদের থেকে ভিন্ন হয়। কারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে এ বয়সে স্বাভাবিক মাজুরতার বিষয়টি যুক্ত থাকে।
মাজুরতার ফলে মেয়েদের শরীর অনেক বেশি ক্ষয় হয়। দেখা দেয় আয়রনের ঘাটতি। ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয়। সুস্থ জাতি গঠনে মেয়েদের এ ঘাটতি পূরণে মনোযোগী হওয়া জরুরি।
এ সময় অভিভাবকরা সচেতন না হলে পরে এই মেয়েই যখন মা হবেন, নিজের সাথে গর্ভের সন্তানও রক্তশূন্যতায় ভুগবে। এজন্য মেয়েদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। মাজুর হলে হরমোনাল পরিবর্তনের সাথে শরীর থেকে অনেক বেশি আয়রন বের হয়ে যায়। এজন্য এ সময়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
গাঢ় রঙের খাবারে সাধারণত আয়রন বেশি থাকে। গাঢ় সবুজ শাক-সবজিতেও প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবারও দিতে হবে। এতে শরীরে আয়রনের শোষণ প্রক্রিয়া ভালো হবে। আয়রন জাতীয় খাবার বা মাছ-গোশত খাওয়ার সময়, সাথে লেবু দিতে হবে। তাহলে শরীরে আয়রনের শোষণ খুব কার্যকর হবে।
নদী ও সমুদ্রের বিভিন্ন মাছে আয়রনের পরিমাণ অনেক ভালো থাকে। ব্রাউন রাইসেও যথেষ্ট আয়রন রয়েছে। আমাদের প্রচলিত খাবারেও আয়রন রয়েছে। যেমন আখের গুড়ের শরবত হতে পারে আয়রনের অন্যতম একটি উৎস। তবে আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় বেশি বেশি চা-কফি পানের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কিশোর বয়সে মাজুরতা শুরু হলে পড়াশোনার চাপে রাত জাগতে হয়। এ সময় অনেকে কিছু সময় পরপর চা কিংবা কফি পান করেন। এগুলো শরীরে আয়রন শোষণে ব্যাঘাত ঘটায়। আরেকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। কারণ পানি কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












