নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত, আদব, তা’যীম-তাকরীম মুবারক উনার কতিপয় দৃষ্টান্ত (২)
, ০১লা রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৭ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৬ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১১ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
তিনি উনার ক্বওমের নিকট ফিরে যেয়ে তা এভাবে বর্ণনা করেন-
اَىُّ قَوْمٍ وَاللهِ لَقَدْ وَفَدْتُ عَلَى الْمُلُوْكِ وَقَدَمْتُ عَلَى قَيْصَرَ وَكِسْرٰى وَالنَّجَاشِىِّ وَاللهِ اِنْ رَاَيْتُ مَلِكًا قَطُّ يُعَظِّمُه اَصْحَابُهٗ مَا يُعَظِّمُ اَصْحَابُ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدَنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاللهِ اِنْ يَتَنَخَّمْ نُخَامَةً اِلَّا وَقَعَتْ فِىْ كَفِّ رَجُلٍ مِّنْهُمْ فَدَلَكَ بِهَا وَجْهَه وَجِلْدَه وَاِذَا اَمَرَهُمُ ابْتَدَرُوْا اَمْرَه وَاِذَا تَوَضَّاَ كَادُوْا يَقْتَتِلُوْنَ عَلَى وَضُوْئِهِ وَاِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوْا اَصْوَاتَهُمْ عِنْدَه وَمَا يُحِدُّوْنَ اِلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيْمًا لَهٗ
অর্থ: “হে আমার ক্বওম! মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আমি দুনিয়াবী অনেক শাসকদের কাছে প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছি| কায়সার-কিসরা ও হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছেও প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছি| মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনারা যেভাবে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করেন সেভাবে আমি আর কাউকে দেখিনি তাদের শাসককে সম্মান করতে| মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম!
اِنْ يَتَنَخَّمْ نُخَامَةً اِلَّا وَقَعَتْ فِىْ كَفِّ رَجُلٍ مِّنْهُمْ فَدَلَكَ بِهَا وَجْهَهٗ وَجِلْدَهٗ
তিনি যখনই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল বারাকাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র থুথু মুবারক) ফেলেন তখন উনাদের কেউ না কেউ তা উনাদের হাতে নিয়ে নেন এবং (বরকত লাভের জন্য) উনাদের চেহারা ও শরীর মুবারক-এ মাখেন| সুবহানাল্লাহ!
وَاِذَا اَمَرَهُمُ ابْتَدَرُوْا اَمْرَهٗ
তিনি যখন উনাদেরকে কোন আদেশ মুবারক দেন তখন উনারা সঙ্গে সঙ্গে তা পালন করেন| সুবহানাল্লাহ!
وَاِذَا تَوَضَّاَ كَادُوْا يَقْتَتِلُوْنَ عَلَى وَضُوْئِهِ
তিনি যখন সম্মানিত অযূ মুবারক করেন তখন উনার সম্মানিত অযূর পানি মুবারকের জন্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনারা প্রতিযোগিতা শুরু করে দেন| সুবহানাল্লাহ!
وَاِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوْا اَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهٗ
তিনি যখন সম্মানিত কথা মুবারক বলেন, তখন উনারা উনাদের আওয়াজ মুবারক নিচু করে (নিরবে) অত্যন্ত মনোযোগের সাথে শ্রবণ করেন| সুবহানাল্লাহ!
وَمَا يُحِدُّوْنَ اِلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيْمًا لَهٗ
উনার প্রতি বেমেছাল তা’যীম মুবারক উনার কারণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা কখনোই উনার দিকে তীক্ষè দৃষ্টিতে তাকান না| ” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, শু‘আবুল ঈমান ৩/১০৫)
মুহব্বতের একটা ধরণ এমনও রয়েছে যে, হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন-
وَمَا كَانَ اَحَدٌ اَحَبَّ اِلَىَّ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ وَلَا اَجَلَّ فِىْ عَيْنِىْ مِنْهُ وَمَا كُنْتُ اُطِيْقُ اَنْ اَمْلَأَ عَيْنَيَّ مِنْهُ اِجْلَالًا لَهٗ وَلَوْ سُئِلْتُ اَنْ اَصِفَهٗ مَا اَطَقْتُ لِاَنِّىْ لَمْ اَكُنْ اَمْلَأُ عَيْنَيَّ مِنْهُ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেয়ে অধিক মুহব্বতের ব্যক্তিত্ব আমার নিকট আর কেউ নেই| আমার চোখে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেশী মর্যাদাবান| (আমার অন্তর মুবারকে উনার প্রতি এতো সম্মান-মর্যাদা আর মুহব্বত ছিলো যে,) আমি উনার দিকে কখনো চোখ তুলে তাকাতে পারতাম না| আমাকে যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (জিসিম মুবারক) উনার বর্ণনা দিতে বলা হয়, আমি পারব না| কারণ, আমি দুচোখ ভরে কখনো উনাকে দেখতে পারিনি| ” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ১৯২) (অসমাপ্ত)
-মুহম্মদ ইমামুল হুদা|
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












