নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাস্সাম মুবারক উনার মধ্যে যা কিছু ছিলেন, সমস্ত কিছু ছিলেন পূত-পবিত্র থেকে পূত-পবিত্রতম ও মেশক-আম্বরসহ অন্যান্য সুগন্ধি থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি সুগন্ধিময় এবং যারা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন নাজাত মুবারক অথবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা’ মুবারক পান করতে পেরেছেন উনারা প্রত্যেকেই সর্বোচ্চ জান্নাতী (৫)
, ১৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৫ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اُمَيْمَةَ بِنْتِ رُقَـيْـقَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَـنْـهَا قَالَتْ كَانَ لِلنَّبِـىِّ صلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ قَدَحٌ مِّنْ عِيْدَانٍ فَـيَـبُـوْلُ فِيْهِ يَضَعُهٗ تَـحْتَ السَّرِيرِ فَجَاءَتِ امْرَاَةُ ۣ اسْـمُهَا سَيِّدَتُـنَا حَضْرَتْ بَرَكَةُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ فَشَرِبَــتْهُ فَطَـلَـبَهٗ فَـلَمْ يَـجِدْهُ فَقِيْلَ شَرِبَـتْهُ سَيِّدَتُـنَا حَضْرَتْ اُمِّـىْ بَـعْدَ اُمِّـىْ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُـنَا حَضْرَتْ بَـرَكَةُ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ) فَـقَالَ لَقَدِ احْتَظَرَتْ مِنَ النَّارِ بِـحِظَارٍ
অর্থ: “হযরত উমাইমাহ বিনতে রুক্বাইক্বাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা কাঠের পাত্র মুবারক ছিলেন, যাতে (রাতের বেলায়) তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা’ মুবারক করে চকি মুবারক উনার নিচে রেখে দিতেন। সুবহানাল্লাহ! (এক রাতে তিনি ঐ পাত্র মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা’ মুবারক করে পাত্র মুবারক যথা স্থানে রেখে দেন। ) সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আলাইহাস সালাম তিনি এসে তা পান করে ফেলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তা তালাশ করেন; কিন্তু তা পেলেন না। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক বলা হলো, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আলাইহাস সালাম তিনি তা (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা’ মুবারক) পান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَقَدِ احْتَظَرَتْ مِنَ النَّارِ بِـحِظَارٍ
‘নিঃসন্দেহে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আলাইহাস সালাম তিনি অবশ্যই একটি বিশাল রক্ষাকবচ দিয়ে নিজেকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেছেন’। ” সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্)
মহাসম্মানিত শরীয়ত উনার মাসআলা হচ্ছেন- মানুষের ইস্তিঞ্জা ও রক্ত নাপাক এবং তা খাওয়া বা পান করা হারাম। কেউ যদি তা হালাল মনে করে পান করে, সে কাট্টা কাফির হয়ে চির জাহান্নামী হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাস্সাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীর মুবারক) উনার মধ্যে যা কিছু ছিলেন, সমস্ত কিছু পূত-পবিত্র থেকে পূত-পবিত্রতম এবং মেশক-আম্বরসহ অন্যান্য সুগন্ধি থেকে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি সুগন্ধিময়। শুধু তাই নয়; যারা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন নাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রক্ত মুবারক) অথবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা’ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোট ইস্তিঞ্জা মুবারক) পান করতে পেরেছেন উনারা প্রত্যেকেই সর্বোচ্চ জান্নাতী। স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার সুসংবাদ হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতটুকু বুলন্দ করেছেন, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
খ্বাালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন! আমীন! আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












