পবিত্র লাইলাতুল বরাতে সংশয়বাদী ও নাসীকারীরা বালহুম আদল। ওদের অন্তরে মোহর পড়ে গেছে পবিত্র লাইলাতুল বরাতে বিশ্বাসী হওয়া ছাড়া কেউ মুসলমান হতে পারেনা।
মহিমান্বিত লাইলাতুল বরাত উনাকে উপলব্ধি ও উদযাপনের সর্বোত্তম স্থান হলো রাজারবাগ শরীফ
, ১৪ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৭ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ২১ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সম্মানিত হারাম মাসসমূহের মাঝে পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার ১৪ তারিখ দিবাগত রাত হচ্ছেন ‘পবিত্র শবে বরাত’। এ রাতের ফযীলত, নাযাত ও বরকতের কথা, দোয়া কবুলের বা দোয়া দ্বারা স্বীয় তাক্বদীর পরিবর্তন করার কথা প্রায় সকলেই অবগত।
আখিরী উম্মতের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার যেসব অমূল্য নিয়ামত মুবারক রয়েছে তার মধ্যে পবিত্র শবে বরাত একটি। বরাত বা তাক্বদীর ফায়সালার রাত হিসেবে এ রাতটি বিশেষ তাৎপর্যমন্ডিত। কাজেই বিশেষ আমল, দোয়া ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে এ রাতের ফযীলত হাছিলে প্রবৃত্ত হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তাক্বদীর খুব স্পর্শকাতর বিষয়। তাক্বদীর সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর আলোচনা অতীতের অনেক জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে। তবে তাক্বদীর দোয়া দ্বারা পরিবর্তিত হয় তাও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনারই কথা।
সুতরাং পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রিতে যখন মানুষের জন্ম-মৃত্যু, রিযিক বন্টনসহ, খাছ রহ্মত নাযিল করা হয় তখন সে রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থেকে স্বীয় তাক্বদীরকে মুবারক করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও কোন কোন মহল মনে করে যে, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র শবে-বরাত পালনের কোন নির্দেশনা নেই। কিন্তু আসলে তা সত্য নয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “এ বরকতময় রজনীতে আমার নিকট হতে প্রত্যেক হিক্বমত পূর্ণ কাজের ফায়সালা মুবারক করা হয়।” (পবিত্র সূরা দুখান শরীফ)
বর্তমান যামানাকে আখিরেরও আখির বলতে হয়। অর্থাৎ পবিত্র ক্বিয়ামত অতি নিকটবর্তী। পবিত্র ক্বিয়ামত উনার অনেক লক্ষণই এখন প্রকাশিত ও প্রতিভাত।
নামধারী, ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে‘সূ’রা- উলামায়ে হক্কানী রব্বানী, উলামায়ে মুহাক্কিক-মুদাক্কিকগণ উনাদের- ফতওয়া মুবারক উনার বিরোধিতা করবে, এটাই ক্বিয়ামতের বড় আলামত। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এদেরকে ‘কায্যাবদের চেলা’ বলা হয়েছে। এই চেলারা নতুন চমক তৈরির লক্ষ্যে এখন প্রচার করছে, ‘পবিত্র ইসলাম উনার মধ্যে ‘শবে বরাত’ বলতে কিছুই নেই।’ পাশাপাশি তারা আরো বলছে, ‘পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র মাজার শরীফ জিয়ারত, পবিত্র কদমবুছি এগুলো পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে জায়িয নেই। (নাঊযুবিল্লাহ)
কিন্তু তার বিপরীতে মহিলাদের জুমুয়াহ ও ঈদের জামায়াত, মহিলা মসজিদ, মহিলা জামায়াত, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম এসব কাজের জন্য তারা বড়ই উজ্জীবিত ও নিবেদিত। নাউযুবিল্লাহ!
এক্ষেত্রে একটি বিষয় খুব স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, যেসব বিষয় মানুষকে আমলমুখী করে সেসব বিষয়কে তাদের খুব ভয়। তারা সেগুলোর ঘোর বিরোধী। আর যেসব কাজ তাদের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতি তথা তাদের ধর্মব্যবসার সহযোগি বলে তারা মনে করে সেসব কাজের জন্য তারা খুব উদ্যোগী।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরই পবিত্র শবে বরাত উনার আগে বাতিল ফিরক্বার লোকেরা পবিত্র শবে বরাত উনার বিরুদ্ধে বলে। কিন্তু প্রতিবছরই এদেশের সাধারণ মুসলমান অত্যন্ত জওক-শওক এবং মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের সাথে পবিত্র শবে বরাত পালন করে বাতিল ফিরক্বাদের প্রত্যাখান করে। কিন্তু তারপরেও তাদের লাজ-শরম হয়না, তারা হিদায়েত হয়না। মূলত: এরা ঐ সম্প্রদায় যারা অন্ধ, বধির ও বোবা এবং যাদের অন্তরে মোহর পড়ে গেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১লা রজব মুবারক রাত্রি উনার কথা অনেকেই জানে না। দুই ঈদের রাতেও মানুষ থাকে অন্য কাজে ব্যস্ত। অপরদিকে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদরেরও তারিখ অনির্দিষ্ট থাকে। কেবলমাত্র পবিত্র লাইলাতুল বরাতেই দোয়া কবুলের পাশাপাশি তাক্বদীর পরিবর্তনের সুযোগ হিসেবে মানুষের কাছে অবারিত।
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদাভুক্ত সম্মানিত মুসলমানগণ উনাদের সবারই জানা আছে, ১৪ই শা’বান শরীফ উনার মুবারক রাত্রিতে মানুষের জন্ম-মৃত্যু, রিযিক বণ্টনসহ খাছ রহমত নাযিল করা হবে। তাই আজ বরাতের রাতে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থেকে স্বীয় তাক্বদীরকে মুবারক ও বরকতময় করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে এখানে উল্লেখ যে, পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনাকে উদযাপনের জন্য যমীনের মধ্যে একমাত্র উত্তম স্থান হলো পবিত্র রাজারবাগ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! কারণ এখানে অবস্থান করছেন মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি। তিনি সম্মানিত সুন্নতী তরীক্বায় পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনাকে উদযাপন করেন। মহিমান্বিত ও বেমেছাল মকবুল মুনাজাত শরীফ পরিচালনা করেন। সঙ্গতকারণেই এখানে বর্ষিত হয় বেমেছাল ও অপার রহমত, বরকত ও ফযীলতের ধারা। যে কেউ এখানে আসলে সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত লাভে ধন্য হয়ে আজীবনের জন্য হিদায়েতপ্রাপ্ত ও নিয়ামত লাভে ধন্য হতে পারেন। সবার জন্যই এ নিয়ামতের দ্বার খোলা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












