প্রসঙ্গ: পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ ও পবিত্র যাকাত প্রদান।
, ৩০ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৩ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৩ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ প্রসঙ্গে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে মানবজাতি! একটি মহান ও বরকতপূর্ণ মাস তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করার জন্য হাজির হয়েছে।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের কাছে রিযিক চান না। কিন্তু সম্মানিত ইবাদতের জন্যই মানুষের সৃষ্টি। সম্মানিত ইবাদত অস্বীকারকারীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, “যারা অবিশ্বাসী তারা ভোগ-বিলাস ও পানাহারে ডুবে আছে, যেমন চতুষ্পদ জন্তু পানাহারে লিপ্ত থাকে। জাহান্নামই তাদের শেষ মঞ্জিল।”
পক্ষান্তরে ইবাদতের আহ্বান জানিয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম (রোযা) ফরয করা হয়েছে। যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল। অবশ্যই, তোমরা মুত্তাক্বী হতে পারবে।”
প্রকৃতপক্ষে ছিয়াম বা রোযার অর্থই হলো মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক উনার কাছে স্বতঃস্ফূর্ত ও নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক গ্রহণ ও বর্জন। এক্ষেত্রে রোযাদার নিজের নফসের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ঊর্ধ্বে উঠে যতটা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশের অনুগত হবে, তার আবদিয়াতের মাক্বাম তত সমুন্নত হবে। সাহরীতে বিলম্ব এবং তাড়াতাড়ি ইফতার করার মাধ্যমে সে আবদিয়াতই ফুটে উঠে। পানাহার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সমস্ত পাপাচার থেকে মুক্ত থেকে তাসবীহ-তাহলীল, তারাবীহ, যিকির-আযকার, ইতিকাফ করা, বেশি বেশি পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত সর্বোপরি পবিত্র যাকাত-ফিতরা আদায়ের মাধ্যমে বান্দার আবদিয়াতই পূর্ণঙ্গতা পায়।
পশু প্রবৃত্তি তথা নফসানিয়তকে বিলীন করে আখলাকে এলাহীতে ভূষিত হওয়ার মাঝেই রোযার সার্থকতা। সংযমের পাশাপাশি সহানুভূতির অনুশীলনই পবিত্র রোযার শিক্ষা। রোযা রেখে বিত্তবানও না খেয়ে থাকার কষ্ট প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করে। যা তাকে সহানুভূতিতে অনুপ্রাণিত করে। এক ফরযে ৭০ ফরযের ফযীলতের পাশাপাশি এই সহমর্মিতা তাই বিত্তবানদেরকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে পবিত্র যাকাত প্রদানে উৎসাহিত করে।
মূলত, পবিত্র ছলাত উনার পরেই পবিত্র যাকাত উনার স্থান। পবিত্র যাকাত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় স্তম্ভ। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র যাকাত শব্দটি বিভিন্ন গঠন প্রক্রিয়ায় ৫৮বার এসেছে। এর মধ্যে ৯বার ‘পবিত্র যাকাত প্রদান করো’ বলে নির্দেশ মুবারক দেয়া হয়েছে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন এবং যাকাত সংগ্রহকারীদের জন্য দোয়া মুবারকও করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, পবিত্র রোযা উনার সাথে পবিত্র যাকাত উনার একটা অন্তর্নিহিত সম্পর্ক রয়েছে। কারণ পবিত্র যাকাতও পবিত্রতা ঘটায়। তবে এ পবিত্রতা মালের বা অর্থের। আর অর্থের মূল মালিক হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি। কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশিত পথে অর্থ আয়-ব্যয়েই, ব্যক্তি, সমাজ তথা রাষ্ট্রের সফলতা ও সমৃদ্ধি। সে সফলতার দ্বার বন্ধ রেখে ভিন্ন পথে ঘুরে যে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় তার জন্য কেবল আফসোসই করা যায়।
উল্লেখ্য, আজকের বিশ্ব অর্থনীতি সুদের ভয়াবহতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, “বিশ্বে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ক্রমশঃ বেড়েই চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলো সুদ।” সুদী তথা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা কোনোদিনই সমাজের সাধারণ মানুষের জন্য সুখকর নয়।
বলার অপেক্ষা রাখে না, পবিত্র যাকাতবিহীন, পুঁজিবাদী, সুদী ও দুর্নীতি নির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বাংলাদেশেও দরিদ্রদের আরো দরিদ্র এবং বিত্তশালীদের আরো বিত্তবান করছে।
গভীর পরিতাপের বিষয়, আজকে মুসলমানগণ নামাযকে যতটা গুরুত্ব দেয়, যতটা আগ্রহভরে তারা মসজিদের পর মসজিদ করে, রোযা তাদের জীবনে যতটা প্রভাব বিস্তার করে সে তুলনায় যাকাতের বিষয়টি তাদের মানসিকতা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে।
মূলত, পবিত্র যাকাত অনাদায়ে এতসব ব্যর্থতার মূলে নামধারী মালানাদের নির্লিপ্ততাই অনেকাংশে দায়ী। কারণ পবিত্র যাকাত উনার গুরুত্ব ও তত্ত্ব ও তথ্য সংগ্রহ, এর প্রয়োগিক দিক বিশ্লেষণ ও সচেতনতা সৃষ্টি এবং এ সম্পর্কিত গবেষণা ও সমন্বয় সাধনের মতো মৌলিক কাজে তারা নির্লিপ্ত।
বাংলাদেশে ঠিকভাবে পবিত্র যাকাত আদায় করা হলে এক বছরেই বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীভূত করা যাবে। কাজেই বাংলাদেশ সরকারের উচিত সুদভিত্তিক অর্থনীতি বাদ দিয়ে যাকাতভিত্তিক অর্থনীতি চালু করা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












