সম্পাদকীয়-১
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
, ২২ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৮ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৭ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ০২ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) ইতিহাস
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
একজন ‘মুসলমান’ তাঁর সম্মানিত ‘ইসলামী’ জীবন-যাপনের সুযোগ পাবেন।
একজন ‘মুসলমান’, সম্মানিত ‘ইসলামী মূল্যবোধ’ বজায় রেখে স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলতে পারবেন; ফিরতে পারবেন।
একজন ‘মুসলমান’ তাঁর চারপাশের আবহে সম্মানিত ‘ইসলামী পরিবেশ’ পাবেন।
একজন মুসলমান- ‘তিনি চলাফেরা করলে কোনো বেপর্দা নারীর মুখোমুখি হবেন না। ’ একজন মুসলমান তার কানে- ‘কোনো গান-বাজনার আওয়াজ আসবে না। ’ একজন মুসলমান- তিনি ‘সুদমুক্ত অর্থনীতির’ সুযোগ পাবেন। একজন মুসলমান- ‘তিনি শিক্ষায় পবিত্র ইসলামী শিক্ষার গভীরতা পাবেন। ’
একজন মুসলমান ‘তিনি সম্মানিত শরীয়তী আইনের সমাহার পাবেন। ’
মূলত, এসবই হচ্ছে একজন মুসলমানের একান্ত দ্বীনি অধিকার। আর রাষ্ট্রদ্বীন- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম’ পালনের সুযোগের অধিকার প্রদান সাপেক্ষে রাষ্ট্রযন্ত্র অবশ্যই সাংবিধানিকভাবে প্রতিটি মুসলমানকে সে সুযোগ দানের জন্য দায়বদ্ধ।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র মুসলমানদের সে কাঙ্খিত দ্বীনি অধিকার প্রদানে লজ্জাজনকভাবে ব্যর্থ।
রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি আচরণে একথা সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত। এক বিজ্ঞাপনের উদাহরণ যদি এক্ষেত্রে দেয়া হয় তাও চরম।
একজন মুসলমান পথচারীর আজ প্রতি মুহূর্তে হাজারো কবীরাহ গুনাহ হয়। হাজারো চোখের ব্যভিচার হয়। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রে চলমান বিজ্ঞাপনী ব্যবহারের কারণে। প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে, বিল্ডিংয়ের ছাদে ছাদে বা দেয়ালে দেয়ালে প্রায় বিবস্ত্র নারীর বিশাল বিজ্ঞাপন টানানো আছে। এসব বিবস্ত্র বাহারী বিজ্ঞাপন মূলত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ক্ষত-বিক্ষত করে চলছে।
এসব বিজ্ঞাপন একজন রক্ত-গোশতের মানুষকে বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত নারীর সান্নিধ্য পাবার জন্য প্ররোচিত করছে। যার পরিণতি হচ্ছে নারীটিজিং, সম্ভ্রমহরণ, পরকীয়া থেকে খুন-খারাবী ইত্যাদি।
আবার বিলাসী ফ্ল্যাট বা আয়েশী উপকরণের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রতি মুহূর্তে প্রত্যেক মানুষকে অঢেল বিত্ত-বৈভবের অধিকারী হতে প্রলুব্ধ করছে।
যার পরিণতি হচ্ছে ঘুষ, দুর্নীতি থেকে মজুদদারী, মুনাফাখোরী তথা সিন্ডিকেট। তার যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে সম্মানিত ‘ইসলামী মূল্যবোধ’ অনুযায়ী একজন সাধারণ মুসলমান যে শুধু দুনিয়াতেই বঞ্চিত হচ্ছে তা নয়; বরং আখিরাতেও সে লাঞ্ছিত হবার উপক্রম হচ্ছে।
সাধারণ মুসলমান সাধারণ প্রবৃত্তির অধিকারী। যার প্রভাবে সে বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত বিবস্ত্র নারীর প্রতি দৃষ্টিপাতে বিভোর হতেই পারে। নাঊযুবিল্লাহ!
এতে করে তার লক্ষ লক্ষ কবীরাহ গুনাহ হচ্ছে। যার পরিণতি আখিরাতে হাবিয়াহ দোযখ। অথবা আগুনের তৈরি নারীর আলিঙ্গনের শাস্তি। নাঊযুবিল্লাহ!
দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রযন্ত্রের বেখেয়ালের বিজ্ঞাপনে সাধারণ মুসলমান, পরকালে দোযখের আগুনে প্রজ্বলিত হবার উপযুক্ত হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র এর অবাধ পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্রই যে ৯৮ ভাগ মুসলমানকে, ‘রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম’ উনার এদেশে প্রতি মুহূর্তে জাহান্নামী তৈরি করছে; রাষ্ট্রযন্ত্র সে দায় এড়াতে পারে কী?
রাষ্ট্রযন্ত্র ৯৮ ভাগ মুসলমানকে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের পরিবেশ বা অধিকার দিচ্ছে; সে কথা বলতে পারে কী?
মূলত, এসব দায়িত্ববোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
‘কবর’ ‘জাহান্নাম’ ‘জান্নাত’ ইত্যাদি ইসলামী শব্দের কথা বললেই শুধু হবেনা। শুধুমাত্র প্রসঙ্গ টানলেই হবেনা।
এখন দেশে ইসলামী আবহের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে
বিশেষত মহাসমারোহে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে
মুসলমানদের জান্নাতে ভালো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বিগত সরকারের জান্নাত-জাহান্নাম আলোচনা ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভালো থাকাকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জান্নাতের সহিত তুলনা করেছে। বিগত সময়ে ১৫ আগষ্টে তৎকালীন সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ভুল করে বলেছে, ‘আমরা কায়মনোবাক্যে দোয়া করি মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন বঙ্গবন্ধুকে জাহান্নামের ভালো জায়গায় স্থান করে দেন। ’ অবশ্য বক্তব্যের সাথে সাথে তৎকালীন মন্ত্রী সংশোধন করে জাহান্নামের পরিবর্তে জান্নাতের কথা উল্লেখ করে। অর্থাৎ জাহান্নাম যে ভীষণ লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির অবস্থান তাতে যাওয়া যে মোটেও সম্মানজনক ও সুখের নয় এই ভাব ঐ প্রতিমন্ত্রীর কথায় যথারীতি প্রকাশ পেয়েছে। এর জন্যই যারা টাকা পাচার করেছে তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেছে, ‘যারা ঘুষখোর তাদের জায়গা হবে জাহান্নামে। ’ নাউযুবিল্লাহ!
মুলত; মুসলমান মাত্রই জান্নাত-জাহান্নামের উচ্চারণ এবং অনুভূতির সহিত অভ্যস্ত ও বিশ্বস্ত।
প্রসঙ্গত, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, কবর হলো পরকালের প্রথম মঞ্জিল। এই জন্য কবর দেখলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার দাড়ি মুবারক কান্নার পানিতে ভিজে যেতো। পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, তোমরা বেশি বেশি কবর যিয়ারত করো। এতে তোমাদের দিল জিন্দা থাকবে।
কবর একটি বিশেষ ইসলামী চেতনা সম্পৃক্ত শব্দ। সাবেক সরকার প্রধান জান্নাত-জাহান্নামের কথা বলেছে। কিন্তু স্বয়ং সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা উল্লেখ করেছে কবরের কথা। বিগত বছর তিনি ব্যক্ত করেছেন, কোভিড মানুষকে একটি শিক্ষা দিয়ে গেছে যে, ধন-সম্পদ-অর্থ এগুলো কিছুই না। মরলে তো সব রেখেই যাবে। কবরে কিছুই নিয়ে যেতে পারবে না। কাজেই সম্পদের পিছু ছুটে নিজেকে মানুষের কাছে অসম্মানের জায়গার কোনো মানে হয় না।
প্রসঙ্গত, আমাদের কথা হল কবর, জাহান্নাম, জান্নাতের উদাহরণ সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা দিচ্ছে। সাংবিধানিকভাবে বিধিবদ্ধ রাষ্ট্রদ্বীন ইসলামের এই দেশে, ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের এই দেশে এইসব ইসলামী শব্দের ব্যবহার খুবই প্রাসঙ্গিক ও আবশ্যিক।
কিন্তু কথা হল জনগণকে জাহান্নাম হতে পানাহ চাওয়ার, জান্নাত যাওয়ার আরজি এবং কবরের হিসেব থেকে মাফ পাওয়ার জন্য সরকারের দায়িত্বশীলরা দায়িত্ব পালন করতেছে কী? পথ ও পরিক্রমা উপহার দিতেছে কি? জাহান্নামের আমলগুলো হতে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করছে কী? হালাল-হারামের চেতনাবোধ জাগরিত করছে কী?
গান-বাজনা, সিনেমা, খেলাধুলা, সুদ-ঘুষ ইত্যাদি সব হারাম অনুষঙ্গ রাষ্ট্রীয়ভাবে চালালে জনগণতো তাতে প্ররোচিত হবেই। নাজায়েয কাজে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে জনগণ সেইসব কাজ করবেই। অতঃপর জাহান্নামে যাবেই। নাউযুবিল্লাহ! কিন্তু একথা অনিবার্য সত্য, রাষ্ট্রযন্ত্র তথা সরকারের কর্তাব্যক্তিরা এদেশের জাহান্নামী ব্যক্তিদের দায়ভার হতে মুক্তি পেতে পারেনা।
সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা কবর সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করে। কিন্তু কবরের আযাব হতে নিরাপত্তা লাভ করে জনসাধারণকে জান্নাতে যাওয়ার পথকে সরকারের কর্তা ব্যক্তিদেরই প্রশস্ত করতে হবে। সব হারাম কাজ বন্ধের বিপরীতে নেক কাজের মনন, মানসিকতা, আবহ ও পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যথাযথ ইসলামী ইলিম ও আমলের চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
বিশেষ করে সব নেক কাজের সমাহার বা তদুর্ধ্ব সম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জনগণকে স্বত:স্ফূর্তভাবে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কেমন ছিলো মোঘল সালতানাতের গোলন্দাজ এবং অশ্বারোহী বাহিনী
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পান্থনিবাস ও সরাইখানা নির্মাণে মুসলমানদের অনবদ্য অবদান
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩৯)
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুসলমানদের শিক্ষা-দীক্ষার বিরোধিতায় বিধর্মী-অমুসলিমরা
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলার হিন্দু ধনিক-বণিক, বেনিয়া শ্রেণী, ব্যাংকার প্রভৃতির সাথে এক গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলিম
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইউরোপকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছেন আফ্রিকান মুসলমানরা
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গুজরাটের সুলতান মুজাফফর শাহের পরহেজগারিতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩৭)
০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কেমন ছিলেন ইসলামী ইতিহাসের প্রথম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঐতিহাসিক মুসলিমবাগ ঈদগাহ-ই কি আজকের ঢাকেশ্বরী মন্দির?
২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১২টি চন্দ্রমাসের নাম এবং নামকরণের সার্থকতা (২)
২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঐতিহাসিক খেমকারান যুদ্ধ: যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয়তাবোধের উদ্ভব
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












