বরিশালে স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন দৃষ্টিনন্দন বায়তুল আমান জামে মসজিদ
, ০৮ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৮ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) স্থাপত্য নিদর্শন
![বরিশালে স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন দৃষ্টিনন্দন বায়তুল আমান জামে মসজিদ](https://www.al-ihsan.net/uploads/1690414637_.png)
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের চাংগুরিয়া গ্রাম। একসময়ের অজপাড়া গাঁ হলেও এখন এখানে ছুটে আসে নানা প্রান্তের মানুষ। কারণ এখানে আছে মনমুগ্ধকর মসজিদ-বায়তুল আমান জামে মসজিদ। এই মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ কমপ্লেক্সের আলোতেই যেন গোটা গ্রাম আজ আলোকিত।
দিনরাত লোকজন লেগেই থাকে। মসজিদের রূপ দেখে মন যেন ভরে না পথিকের। দিনের বেলায় এক রূপ। রাতে আবার আভা ছড়াতে থাকে রতেœর মতো।এ মসজিদকে ঘিরেই গুঠিয়ায় রীতিমতো গড়ে উঠেছে হাট-বাজার ও হোটেল।
মসজিদটি নির্মাণ করেছেন গ্রামের বাসিন্দা শিল্পপতি এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। নির্মাণশৈলী থেকে শুরু করে কারুকাজ, সাউন্ড সিস্টেম থেকে লাইটিং; সব কিছুতেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
মসজিদের ইমামের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘মসজিদটি নির্মাণের আগে প্রতিষ্ঠাতা তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে শারজাহ, তুরস্ক, দুবাই,পবিত্র মদিনা শরীফ, ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ভ্রমণ করে নানা ধরনের মসজিদ দেখে এর নকশা তৈরি করেন। তবে হুবহু কোনওটার আদলে এটি বানানো হয়নি। অন্যসব মসজিদের দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন দিক জুড়েই এর নকশা করা হয়।’
১৪ একর জমির ওপর প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয় বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স। তিন বছর ১৪০ জন শ্রমিক কাজ করেছেন এটি গড়তে। ২০০৬ খৃ: অক্টোবরে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়।
এই মসজিদের সাউন্ড সিস্টেম থেকে শুরু করে, কাঠের কাজ ও লাইটিং এর জন্য কাজ করেছেন আলাদা কারিগররা।
মসজিদের কেন্দ্রীয় গম্বুজের চারপাশে বৃত্তাকার ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে লেখা হয়েছে পবিত্র আয়াতুল কুরসি শরীফ। ভেতরের চারপাশ জুড়ে ক্যালিগ্রাফিতে লেখা পবিত্র সূরা আর রহমান শরীফ। ভেতরের চারকোনের চার গম্বুজের নিচে প্রবেশ তোরণের সামনে ও ভেতরের দর্শনীয় কয়েকটি স্পটে শোভা পাচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বিভিন্ন আয়াত শরীফের ক্যালিগ্রাফি। মসজিদ লাগোয়া মিনারটির উচ্চতা ১৯৩ ফুট।
আছে আলপনা, বর্ণিল কাচ, মার্বেল, গ্রানাইট ও সিরামিকের কারুকাজ। ভেতরের নয়টি গম্বুজে বিশালাকৃতির নয়টি দামি ঝাড়বাতি বসানো হয়েছে। মেঝেতে বসানো হয়েছে সাদা মার্বেল পাথরের টাইলস। চলবে ইনশাল্লাহ...
সূত্র: ইন্টারনেট।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ও মসজিদ
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইউরোপে মুসলিম সভ্যতার অন্যন্য এক নিদর্শন “বিবি-হায়েবাত মসজিদ”
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৩)
১২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (২)
০৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (১)
২৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দূরের গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুন
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নক্ষত্রের উজ্জ্বলতার মাপকাঠি
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)