জীবনী মুবারক
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত উওয়াইস বিন ‘আমির আল-ক্বারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৮)
, ২৮ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অন্য একটি বর্ণনায় আছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সাথে সাক্ষাতের পরে হযরত উওয়ায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আমীরুল মু’মিনীন আমাকে প্রসিদ্ধ করে দিয়েছেন এবং আমার নাম ছড়িয়ে গিয়েছে। অতঃপর তিনি পাঠ করলেন-
اللهم صل على سيدنا محمد وعلى آله وسلام
অর্থাৎ তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ছলাত ও সালাম (দুরুদ শরীফ) পাঠ করলেন এবং অবনত মস্তক হলেন। অতঃপর বহুদিন পর্যন্ত উনার কোন খোঁজ খবর পাওয়া গেল না। পরবর্তীতে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত আমলে তিনি ফিরে আসেন এবং ছিফফীনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শাহাদাত মুবারক বরণ করেন। শাহাদাতের পরে উনার শরীর মুবারকে চল্লিশটির অধিক আঘাত দেখা গিয়েছিল। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)
এই যুদ্ধ সংঘটিত হয় হিজরী ৩৮ সনে।
উনার কতিপয় ক্বওল শরীফ:
১। যে ব্যক্তি তিনটি জিনিষকে মুহব্বত করে, জাহান্নাম তার গলার খুব নিকটে:
-- অধিক খাদ্য ভক্ষণকারী।
-- অহংকারী পরিচ্ছদ পরিধানকারী।
-- আমীরের (বড়লোকদের) মোসাহেবী।
২। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে চিনতে পেরেছে, তার কাছে কোন কিছুই গোপন নেই। তার মাধ্যমেই মহান আল্লাহ পাক উনাকে জানা যায়।
৩। নির্জনতাতেই প্রশান্তি।
৪। তাওহীদের জ্ঞান শুধু তখনই লাভ হয়, যখন মহান আল্লাহ পাক ছাড়া অন্য চিন্তা মনে স্থান না পায়। একাকী থাকা ঠিক নয়। কারণ শয়তান দুই ব্যক্তিকে একত্রে দেখলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মনকে মহান আল্লাহ পাক উনার সমীপে হাযির রাখবে, তাহলে শয়তান সেখানে সুযোগ পাবে না।
৫। উচ্চ আসন তালাশ করছিলাম, বিনয় দ্বারা তা পেয়েছি। সর্দারী পেতে চেয়েছিলাম, সত্যের মাঝে তা পেয়েছি। গৌরব তালাশ করে দরিদ্রতার মধ্যে তা পেয়েছি। আভিজাত্য তালাশ করে পরহেজগারীর মধ্যে তা পেয়েছি। মহত্ব তালাশ করে তুষ্টিতে (কানা‘য়াত) তা পেয়েছি। নির্ভরতা তালাশ করে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি নির্ভরতায় (তাওয়াক্কুল) তা লাভ করেছি। (তাযকিরাতুল আওলিয়া)
সূত্রসমূহ: তাবাকাতে ইবনে সা‘দ, হেলইয়াতুল আওলিয়া, তাযকিরাতুল আওলিয়া, সিয়ারু আলামিন নুবালা, মুসলিম শরীফ।
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনবী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












