মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৮)
, ০৪ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০২ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কারণে যালিম হওয়া সত্ত্বেও একজন শাসককে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতীভাবে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করলেন এবং তার শত্রুকে গায়িবী তীর দ্বারা নিশ্চিহ্ন করে দিলেন এবং ঘোষণা মুবারক দিলেন, ‘তুমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করেছো, তাই আমি তোমাকে রক্ষা করেছি। যদি তুমি আরো বেশি সম্মান করো, তাহলে আমি তোমার সম্মান আরো বাড়িয়ে দিবো। ’ সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন-
وَحُكِىَ عَنْ بَعْضِ الْـخُلَفَاءِ اَنَّهٗ كَانَ يَـجُوْرُ فِـىْ حُكْمِهٖ وَكَانَ ظَالِمًا لٰكِنْ لَّه عَادَةٌ يُـحِبُّ قِرَاءَةَ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَعْمَلُ الْوَلِيْمَةَ لِقِرَاءَتِهٖ وَكَانَ لَه اِبْنُ عَمٍّ يَرُوْمُ الْـخِلَافَةَ وَيَـتَوَقَّعُ لَهُ الدَّوَاهِىْ حَتّٰـى اَرَادَ اَنْ يَّقْتُلَه وَيَنْزَعَ الْـمُلْكَ مِنْهُ فَلَمَّا كَانَ فِـىْ بَعْضِ الْاَيَّامِ وَهُوَ فِـىْ خَلْوَةٍ مُنْفَرِدٌ عَنِ النَّاسِ مِنْ غَـيْـرِ سِلَاحٍ وَلَا خَادِمٍ عِنْدَه اِذْ دَخَلَ عَلَيْهِ اِبْنُ عَمِّهٖ وَهَجَمَ عَلَيْهِ وَالْـخَنْجَرُ بِيَدِهٖ وَقَالَ لَه مَنْ يُّـخَلِّصُكَ مِنِّـىْ يَا خَبِيْثُ بَيْنَ النَّاسِ فَجَرٰى عَلٰى لِسَانِ الْـخَلِيْفَةِ يُـخَلِّصُنِـىْ مِنْكَ مَوْلِدُ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا اِسْتَتَمَّ كَلَامَه حَتّٰى خَرَجَ مِنَ الْـحَائِطِ نَبْلَةٌ اَصَابَتْ فُؤَادَه فَخَرَّ مَيِّـتًا وَسَـمِعَ هَاتِفًا يَّـقُوْلُ عَظَّمْتَ مَوْلِدَ حَبِـيْبِـىْ سَيِّدِنَا مَوْلـٰنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَجَّيْنَاكَ فِـاِنْ زِدْتَّ زِدْنَاكَ فَتَابَ الْـخَلِيْفَةُ عَنِ الْـجَوْرِ وَالظُّـلْمِ وَصَارَ يُنْفِقُ ثُلُثَ مَالِهٖ فِـىْ كُلِّ سَنَةٍ عَلٰى مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “একজন খলীফার ব্যাপারে বর্ণিত রয়েছে যে, সে তার শাসনামলে যুলুম-অত্যাচার করতো এবং সে ছিলো একজন যালিম। তবে তার একটি আদত বা অভ্যাস ছিলো- সে মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে মুহব্বত করতো এবং মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে ওলীমা বা মেহমানদারীর আয়োজন করতো। সুবহানাল্লাহ! তার একজন চাচাতো ভাই ছিলো, সে খিলাফত কামনা করতো এবং খলীফার জন্য বিভিন্ন দুর্ঘটনা প্রত্যাশা করতো। এমনকি খলীফাকে হত্যা করে তার থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে চাইতো। অতঃপর একদিন যখন খলীফা নিরস্ত্র অবস্থায় এবং কোনো খাদিম-খুদ্দাম ব্যতীত লোকজন থেকে পৃথক হয়ে একাকী জনমানবহীন স্থানে যায়, তখন হঠাৎ খলীফার চাচাতো ভাই তার নিকট আসে এবং সে খঞ্জর হাতে খলীফার উপর আক্রমণ করে বলে, ‘হে মানুষরূপী খবীছ! তোমাকে আমার থেকে কে রক্ষা করবে?’ তখন খলীফার জবান দিয়ে (নিজের অজান্তেই) বের হয়ে গেলো, ‘মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফই আমাকে তোমার থেকে রক্ষা করবেন। ’ সুবহানাল্লাহ! খলীফার কথা পূর্ণ না হতেই অদৃশ্য থেকে একটি তীর এসে তার হৃদপি-ে আঘাত করে, ফলে সাথে সাথেই সে মরে (যমীনে) পড়ে যায়। তখন খলীফা (মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে) গায়িবী নেদা মুবারক শুনতে পায়, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলছেন- ‘তুমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদত শরীফ উনাকে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করেছো, তাই আমি তোমাকে রক্ষা করেছি। যদি তুমি আরো বেশি সম্মান করো, তাহলে আমি তোমার সম্মান আরো বাড়িয়ে দিবো। ’ সুবহানাল্লাহ! অতঃপর খলীফা অন্যায়-অত্যাচার, যুলুম-নির্যাতন থেকে তওবা করেন এবং প্রতি বছর মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে উনার ধন-সম্পদের এক তৃতীয়াংশ খরচ করতে থাকেন। ” সুবহানাল্লাহ! (কিতাবু ফাদ্বায়িলি মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ নং পৃষ্ঠা, রিসালাতু মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪ নং পৃষ্ঠা)
এখন বলার বিষয় হচ্ছে যে, একজন যালিম শাসক যদি বৎসরে একবার মাত্র মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কারণে এই বিশেষ নেয়ামত মুবারক লাভ করে, তাহলে কেউ যদি অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন, তাহলে তিনি কত বেমেছাল নেয়ামত মুবারক লাভ করবেন? মূলত এটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। কাজেই কেউ যদি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ঐ ব্যক্তি উনাকে দায়িমীভাবে গাইবী মদদ মুবারক করবেন। সৃষ্টির জানা-অজানা সমস্ত প্রকার বিপদ-আপদ, বালা-মুছীবত থেকে কুদরতীভাবে হিফাযত করবেন এবং উনাকে বিশেষ নিসবত মুবারক দানে ধন্য করবেন। সুবহানাল্লাহ! পৃথিবীর কোনো অপশক্তি কাস্মিনকালেও উনার কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্বীয় অবস্থানস্থলে, বাড়িতে, প্রয়োজনে রাস্তায় সম্মানিত কুরবানী করা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত (৩)
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রিয়া না করা, অহংকার না করা এবং দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত বিশেষ নির্দেশনা মুবারক
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রিয়া না করা, অহংকার না করা এবং দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত বিশেষ নির্দেশনা মুবারক
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রিয়া না করা, অহংকার না করা এবং দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত বিশেষ নির্দেশনা মুবারক
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রিয়া না করা, অহংকার না করা এবং দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত বিশেষ নির্দেশনা মুবারক
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রিয়া না করা, অহংকার না করা এবং দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত বিশেষ নির্দেশনা মুবারক
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রিয়া না করা, অহংকার না করা এবং দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত বিশেষ নির্দেশনা মুবারক
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রিয়া না করা, অহংকার না করা এবং দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত বিশেষ নির্দেশনা মুবারক
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রিয়া না করা, অহংকার না করা এবং দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত বিশেষ নির্দেশনা মুবারক
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
একই মহাসম্মানিত দো‘আ মুবারক প্রায় ৩৫ বার বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক বার পাঠ করার মহাসম্মানিত হাক্বীক্বত মুবারক
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানতি মক্ববূল মুনাজাত শরীফ উনার সময় স্বয়ং সাইয়্যদিুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবয়্যিীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ‘আমীন! আমীন!’ বলা
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সরাসরি মহাসম্মানিত দীদার মুবারক এবং অসীম ইলিম মুবারক উনাদের বহিঃপ্রকাশ
০৭ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)