মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বিষয়ে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল এবং অপপ্রচারের দলীলভিত্তিক দাঁতভাঙ্গা জবাব (৮)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এডমিন, ১১ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২০ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

২. ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার এবং হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের ক্বওল শরীফ দ্বারা দলীল:
এখন বলার বিষয় হচ্ছে, যেদিন নাফরমানী করা হয় না, গুণাহ লেখা হয় না, সেদিন যদি ঈদের দিন হয়। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বৎসরে ৩৬৫ দিনই যদি নাফরমানী থেকে বাঁচতে পারে, তাহলে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার এবং হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের ক্বওল শরীফ অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির জন্য ৩৬৫ দিনই ঈদের দিন। যদি তাই হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থেই তো সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলে ঈমান-আমল, দ্বীন ইসলাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং রহমত-বরকত, সাকীনাহসহ সমস্ত প্রকার নিয়ামত মুবারক হাছিল করেছে, করছে এবং অনন্তকাল যাবৎ সমস্ত প্রকার নিয়ামত মুবারক হাছিল করতেই থাকবে। উনাকে সৃষ্টি না করা হলে, কায়িনাতের কোনো কিছুই সৃষ্টি করা হতো না এবং উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক না আনা পর্যন্ত কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক দেয়া হয়নি। অর্থাৎ সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান আনার পর, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করার বিষয়ে সম্মানিত ওয়াদা মুবারক দেয়ার পর মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার প্রতি যদি কেউ ঈমান না এনে লক্ষ কোটি বছর নেক আমল করে, তার এক র্যারা পরিমাণ নেক আমলও কস্মিনকালেও গ্রহণযোগ্য হবে না; রবং সে কাট্টা কাফির চির জাহান্নামী হবে। তাহলে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেদিন দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনলেন, সেই দিন অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) যে রোযার ঈদ, কুরবানীর ঈদ, জুমুয়ার ঈদসহ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে যত ঈদ রয়েছে সমস্ত ঈদের সাইয়্যিদ অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সেটা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না। সুবহানাল্লাহ!
(পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকুন।)