মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল পবিত্রতা মুবারক (১)
, ৩০ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
আল্লামা হযরত ইমাম আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে মাহমূদ হাফিযুদ্দীন নাসাফী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৭১০ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘মাদারিকুত তান্যীল ওয়া হাক্বাইকুত তা’ওইল (তাফসীরে নাসাফী শরীফ)’ উনার মধ্যে বলেন,
اِنَّ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقَ الْاَعْظَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا قَاطِعٌ بِكِذْبِ الْمُنِافِقِيْـنَ لِاَنَّ اللهَ عَصَمَكَ مِنْ وُقُوْعِ الذُّبَابِ عَلـٰى جِلْدِكَ لِاَنَّهٗ يَقَعُ النَّجَاسَاتِ فَيَتَلَطَّخُ بِـهَا فَلَمَّا عَصَمَكَ اللهُ مِنْ ذٰلِكَ الْقَدْرِ مِنَ الذَّرِّ فَكَيْفَ لَا يَعْصِمُكَ عَنْ صُحْبَةِ مَنْ تَكُوْنُ مُتَلَطِّخَةٌ بِـمِثْلِ هٰذِهِ الْفَاحِشَةِ وَقَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ ذُو النُّوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِنَّ اللهَ مَا اَوْقَعَ ظِلَّكَ عَلَى الْاَرْضِ لِئَلَّا يَضَعَ اِنْسَانٌ قَدَمَهٗ عَلـٰى ذٰلِكَ الظِّلِّ فَلَمَّا لَـمْ يُـمَكِّنْ اَحَدًا مَنْ وَضَعَ الْقَدَمَ عَلـٰى ظِلِّكَ كَيْفَ يُـمَكِّنُ اَحَدًا مِنْ تَلْوِيْثِ عِرْضِ زَوْجَتِكَ وَكَذَا قَالَ اِمَامُ الْاَوَّلِ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِنَّ حَضْرَتْ جِبْـرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَخْبَـرَكَ اَنَّ عَلـٰى نَعْلَيْكَ قَذَرًا وَاَمَرَكَ بِاِخْرَاجِ النَّعْلِ عَنْ رِّجْلِكَ بِسَبَبِ مَا اِلْتَصَقَ بِهٖ مِنَ الْقَذَرِ فَكَيْفَ لَا يَاْمُرُكَ بِاِخْرَاجِهَا بِتَقْدِيْرِ اَنْ تَكُوْنَ مُتَلَطِّخَةٌ بِشَىْءٍ مِّنَ الْفَوَاحِشِ
অর্থ: “(ইফক্বের ঘটনার সময় মুনাফিক্বরা যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়, তখন) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য মুবারক করে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমি মুনাফিক্বদের মিথ্যাকে অর্থাৎ মুনাফিকগুলো যে মহাসম্মানতি ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার বিরুদ্ধে কাট্টা মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছে, সেটাকে বাতিল ঘোষণা করছি। তারা যা রটাচ্ছে এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক অর্থাৎ শরীর মুবারক) উনার উপর মাছি বসা থেকে আপনাকে হেফাযত মুবারক করেছেন। কারণ মাছি ময়লার মধ্যে বসে ময়লাযুক্ত হয়ে যায়। কাজেই, মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন আপনাকে ঐ র্যারা পরিমাণ, অনু পরিমাণ বিষয় থেকে হেফাযত মুবারক করেছেন, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে আপনাকে এমন কারো সংস্পর্শ থেকে হেফাযত মুবারক করবেন না, যিনি এই ধরণের ফাহিশাহ্ বা অশ্লীল-অশালীন বিষয়ের সাথে জড়িত থাকবেন? অর্থাৎ কস্মিনকালেও তিনি এমন বিষয়ের সাথে কোনভাবেই জড়িত নন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। শুধু তাই নয়; বরং উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত পবিত্রতা লাভ করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই, মুনাফিক্বগুলো যেটা রটাচ্ছে, এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ। আর সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার ছায়া মুবারক যমীনে পতিত করেন নি, যেন ঐ ছায়া মুবারক উনার উপর মানুষ তার পা না রাখতে পারে। কাজেই, যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি কাউকে আপনার ছায়া মুবারক উনাকে পদদলিত করার ক্ষমতা দেন নি, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে কাউকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার সম্মান-ইয্যত, মর্যাদা মুবারক উনাকে কলুষিত করার ক্ষমতা দিবেন? (অর্থাৎ কস্মিনকালেও এটা সম্ভব না। মূলত মুনাফিক্বগুলো যেটা রটাচ্ছে, এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন, উনারাই হচ্ছেন সমস্ত পবিত্রতার মালিক। উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত পবিত্রতা লাভ করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!) আর অনুরূপভাবে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই (মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে) হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আপনাকে সংবাদ মুবারক দিয়েছেন যে, আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র না’লাইন শরীফ) উনার মধ্যে সামান্য পরিমাণ অপবিত্রতার ছোয়া রয়েছে। আর আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) থেকে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক খুলে ফেলার জন্য হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ আরজী পেশ করেছিলেন এ কারণে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক উনার মধ্যে সামান্য পরিমাণ অপবিত্রতার ছোয়া লেগেছিলো। (যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হয় যে), যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি এই ধরণের ফাহিশাহ্ বা অশ্লীল-অশালীন বিষয়ের সাথে জড়িত থাকতেন, না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে অপসারণ করার জন্য কিভাবে আপনাকে বলবেন না? অর্থাৎ কস্মিনকালেও এটা সম্ভব না। মূলত মুনাফিক্বগুলো যেটা রটাচ্ছে, এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। শুধু তাই নয়; বরং উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত পবিত্রতা লাভ করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাদারিকুত তানযীল ২/৪৯২)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৮)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












