যে মসজিদের গম্বুজে আছে বিশিষ্ট ১০ হযরত ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নাম মুবারক।
এডমিন, ০৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৯ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্থাপত্য নিদর্শন

১ম পর্বের পর.....
মসজিদটির নান্দনিকতা বাড়াতে নির্মাণ করা হয় ১৫টি গম্বুজ। গম্বুজের চারপাশে লেখা হয় হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম সহ আশারায়ে মুবাশশারা তথা দুনিয়ায় থাকা অবস্থায়ই পবিত্র জান্নাত উনার সুসংবাদ পাওয়া ১০ বিশিষ্ট হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নাম মুবারক।
স্থানীয়দের কাছে থেকে জানা যায়, এই ঐতিহাসিক মসজিদটির মধ্যে সবচেয়ে বড় গম্বুজ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১০ টন পিতল। এক সময় প্রকা- গম্বুজটি সূর্যালোকে ঝলমল করত। তবে এখন সেই ঝকমকে ভাব আর নেই।
মসজিদের এক মুসুল্লী বলেন, তার দাদা আবু সাইয়্যিদ দোভাষ ১৯৫০ খৃ: এ মসজিদ পুনর্নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এখন প্রতি ৫ বছর পর একবার রং করা হয়। একবার রং করার কাজ শেষ করতে প্রায় ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগে। এ মসজিদে বড় গম্বুজটি ছিল প্রায় ১৩ মণ রুপা ও পিতলের তৈরি। এ সুক্ষ্ম কাজের কারিগরের অভাবে সংস্কার কাজও সঠিকভাবে করা যায় না বলেও তিনি জানান। বৈরি আবহাওয়ায় এসব জিনিস যেমন নষ্ট হয়েছে তেমনি সংস্কারের সময়ও অনেক কিছু হারিয়ে গেছে। এখন আমরা বড় গম্বুজে সবুজ, গোলাপি ও হলুদ রং করে দিই।
সরেজমিনে দেখা যায়, কারিগরের অভাবে সূক্ষ¥ কাজগুলোর সংস্কার না হওয়ায় অনেক কিছু বিবর্ণ হয়ে গেছে। তবে এখনও আগের মতো মানুষের কাছে মসজিদটির আবেদন রয়েছে। প্রতিদিনই পর্যটকরা ভিড় করেন এ মসজিদ দেখতে।
চারপাশের দেয়ালগুলো ভেন্টিলেশন সিস্টেমের। দেয়ালের ফাঁক গলে ঢুকছে আলো-বাতাস। প্রাকৃতিক আলোর ঝরনায় ভেতরটা ঝলমল করে। আছে বাতাসের কোমল পরশ। স্থানীয়রা জানান, আশপাশেও অনেক নতুন মসজিদ গড়ে উঠলেও এ মসজিদে মুসুল্লির সংখ্যা বাড়ছে। দিনে গড়ে ৮ থেকে ৯শ’ লোক এ মসজিদে নামাজ পড়েন। শুক্রবারে মুসুল্লির সংখ্যা হাজার তিনেক ছাড়িয়ে যায়। সমাপ্ত।