সংস্কারের অভাবে জৌলুস হারাচ্ছে ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদ
, ০৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ১০ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) স্থাপত্য নিদর্শন
শাহবাগ থেকে টিএসসি যাওয়ার পথে চারুকলা অনুষদের পর ডান দিকেই পড়বে ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদ। মসজিদের ডান পাশে রয়েছে ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও বামে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর। মসজিদের পেছনের দিকে ছিল ঘন সবুজ বৃক্ষের বাগান। এখন সেখানে সামাজিক বিজ্ঞান ভবন।
ব্রিটিশ শাসন আমলের পূর্বে ভারতবর্ষ প্রায় সাড়ে পাঁচশ' বছর মুসলিম শাসনামলে ছিল। এ সময় ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন শিল্পশৈলীসহ মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন শত শত মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তেমনি পাকিস্তান আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণশৈলী, কারুকার্য ও নান্দনিকতায় মসজিদটি অনন্য। মসজিদটির তিন দিকে রয়েছে খোলা প্রাঙ্গণ। মসজিদের পিছনের দিকে রয়েছে সবুজের সমারোহ বৃক্ষারাজি দ্বারা আচ্ছাদিত। মসজিদে ওজুখানার ব্যবস্থাটিও চমৎকার।
মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর:
তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.ওসমান গনি ও অন্যান্য প্রফেসরের উপস্থিতিতে ১৯৬৬ খৃ: ২০ ডিসেম্বর মসজিদটির ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এ মসজিদটি পবিত্র রমাদ্বান মাসের এক জুমুয়া বার উদ্বোধনের পর মাগরিবের নামাজ আদায় করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩টি মসজিদের মধ্যে এটি সেন্ট্রাল। ৫ বিঘা জমির ওপর মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত।
মসজিদে দু'টি মিনার, ভিতরে রয়েছে গোলাকার বেশ কিছু পিলার, কারুকার্য খচিত দরজা-জানালা, ঝাড়বাতি নয়টি, আলমারি ২টি। মসজিদের ভিতরে ২৩ লাইন (কাতার) এ নামাজে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি কাতারে ৭৫-৮০ জন মুসুল্লী দাঁড়াতে পারেন। এছাড়া মসজিদের বারান্দার অংশে রয়েছে আরো ১০টি কাতার। সেখানেও প্রতি কাতারে ৭৫-৮০ জন দাঁড়াতে পারে। প্রতি জুমুয়া বার মসজিদে প্রায় আড়াই হাজার মুসল্লির সমাগম হয়।
আমল ও শিক্ষাদান:
মসজিদের মুয়াজ্জিন জানিয়েছেন, সপ্তাহে ছয়দিন বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বাচ্চাদের ফ্রি কোরআন শরীফ শিক্ষা দেয়া হয়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর:
"মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই। যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই"- কবি আশা করেছিলেন-তাঁর কবরের পাশ দিয়ে নামাজী ভাইয়েরা যাবেন, পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি তিনি কবরে শুয়ে শুনতে পাবেন।তাতেই তাঁর কবর আজাব থেকে রেহাই পাবেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাছিদার কথাগুলো যেন মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করেছেন। তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে দাফন করা হয়েছে। মসজিদের পাশে আরো কবর দেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড.ওসমান গনি সহ স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের। যার কারণে গোটা দেশের মানুষ এই মসজিদটি সম্পর্কে ভিন্ন রকম আকর্ষণ অনুভব করে থাকে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৩)
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ির সবচেয়ে পুরনো ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদ
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (২)
১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ও মসজিদ
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইউরোপে মুসলিম সভ্যতার অন্যন্য এক নিদর্শন “বিবি-হায়েবাত মসজিদ”
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৩)
১২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (২)
০৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)