সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় জীবনী মুবারক আল হাদিয়্যাতুল ইলাহিয়্যাহ ফী সীরাতি হাবীব ওয়া মাহবূবিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (পর্ব- ৩৬)
, ১৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৪ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পূর্বপুরুষ ও পূর্বমহিলা আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রত্যেকের সম্মানিত কপাল বা চেহারা মুবারক-এ ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পূর্ণ চাঁদের ন্যায় দৃশ্যমান ছিলেন:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
اِنَّ ذٰلِكَ النُّوْرَ كَانَ ظَاهِرًا فِىْ مَنْ يَّنْتَقِلُ اِلَيْهِ مِنْ اٰبَائِهٖ
অর্থ: “নিশ্চয়ই সেই ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রত্যেকের মধ্যে (পূর্ণ চাঁদের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে) দৃশ্যমান ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ ১/৪৭)
মূলত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পূর্বপুরুষ ও পূর্বমহিলা আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রত্যেকের সম্মানিত কপাল বা চেহারা মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পূর্ণ চাঁদের ন্যায় দৃশ্যমান ছিলেন। তবে, সমস্ত বর্ণনা কিতাবাদির মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌঁছেনি।
সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত চেহারা মুবারক-এ ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম’:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
كَانَ النُّوْرُ عَلٰى وَجْهِهٖ كَالْهِلَالِ يَتَوَقَّدُ شُعَاعَهٗ لَا يَمُرُّ بِشَيْءٍ اِلَّا سَجَدَ لَهٗ وَلَا يَرَاهُ اَحَدٌ اِلَّا اَقْبَلَ نَحْوَهٗ
অর্থ: “চাঁদ যেমন তার আলোকরশ্মি প্রজ্বলিত করে থাকে, ঠিক তদ্রƒপ সুস্পষ্টভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত চেহারা মুবারক-এ ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ দেখা যেতেন এবং চাঁদের আলোর ন্যায় সেখান থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার রশ্মি মুবারক বিচ্ছুরিত হতেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি কোনো কিছুর (যেমন- পশু-পাখি, গাছ-পালা, তরুলতা ইত্যাদির) পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে সেগুলো উনাকে সিজদাহ্ করতো আর জিন-ইনসান উনাকে সম্মান করতো। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তিই সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক দেখতো, সে মুহব্বতের সাথে উনার নিকট অগ্রসর হতো।” সুবহানাল্লাহ! (শরফুল মুস্ত¡ফা শরীফ ১/৩৩১)
পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব মুবারক-এ উনার আলোচনা মুবারক এবং রোম ও পারস্যের কথিত বাদশাদের পক্ষ থেকে নিজ মেয়েদেরকে উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ দেয়ার জন্য দূত প্রেরণ:
‘সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ’ কিতাবে উল্লেখ রয়েছেন,
بَعَثَ اِلَيْهِ قَيْصَرُ رَسُوْلًا لِيَتَزَوَّجَ اِبْنَتَهٗ لَمَّا وَجَدَ فِى الْاِنْجِيْلِ مِنْ صِفَتِهٖ فَاَبٰى
অর্থ: “সম্মানিত ও পবিত্র ইনজীল শরীফ-এ সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক পেয়ে, উনার নিকট তৎকালীন রোমের কথিত শাসক দূত প্রেরণ করেছিলো, তার কন্যাকে উনার নিকট সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ দেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি উক্ত প্রস্তাব অস্বীকার করেন। অর্থাৎ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/২৭০)
‘শরফুল মুস্ত¡ফা’ কিতাবে উল্লেখ রয়েছেন,
وَبَعَثَ اِلَيْهِ قَيْصَرُ حَفِيْدُ هِرْقِلَ مَلِكُ الرُّوْمِ وَطَلَبَ اِلَيْهِ اَنْ يُّزَوِّجَ اِبْنَتَهٗ مِنْهُ لَمَّا وَجَدَ فِى الْاِنْجِيْلِ مِنْ قِصَّتِهٖ وَهُوَ اَنَّ النُّوْرَ كَانَ فِىْ وَجْهِهٖ ظَاهِرًا فَاَبٰى
অর্থ: “আর তৎকালীন কথিত রোমের শাসক সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ দূত প্রেরণ করে উনার নিকট এই আরযী পেশ করে যে, সে তার স্বীয় কন্যাকে উনার নিকট সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ দিতে চায়। আর এই ঘটনাটি ঘটেছিলো, যখন সে পবিত্র ইনজীল শরীফ-এ সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম উনার আলোচনা মুবারক পেয়েছিলো। আর উনার সম্মানিত চেহারা মুবারক-এ ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনাকে সুস্পষ্টভাবে দেখা যেতেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি (রোমের কথিত শাসকের) উক্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।” সুবহানাল্লাহ! (শরফুল মুস্ত¡ফা ১/৩৩১)
অনুরূপ বর্ণনা পারস্যের কথিত শাসকের ক্ষেত্রেও রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












