সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় জীবনী মুবারক আল হাদিয়্যাতুল ইলাহিয়্যাহ ফী সীরাতি হাবীব ওয়া মাহবূবিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (পর্ব- ৫৭)
, ১১ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৫ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৪ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
শত্রুদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমরা যখন পথের মাঝে ছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম ৪০ জন খৃষ্টান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা আলোচনা করতেছে। তাদের সাথে ছিলো বিষাক্ত তরবারী। তাদের সর্দার আমাদেরকে দেখা মাত্রই দলের লোকদেরকে বললো, তোমাদের মঙ্গল হোক! তোমরা এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সন্তান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ধরো এবং শহীদ করো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তিনিই হচ্ছেন তোমাদের উদ্দেশিত ব্যক্তিত্ব মুবারক।
فَقُلْتُ وَا سَيِّدَنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدَاهْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفَتَحَ عَيْنَيْهِ وَرَمَقَ بِطَرْفِهٖ نَحْوَ السَّمَاءِ وَاِذَا بِنَارٍ نَزَلَتْ مِنَ السَّمَاءِ فَاَحْرَقَتْهُمْ عَنْ اٰخِرِهِمْ فَقَالَ زَوْجِىْ اَنَّ لِهٰذَا الْمَوْلُوْدِ لَشَأْنًا وَسَوْفَ يَعْلُوْ اَمْرَهٗ
অর্থ: “তখন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক স্মরণ করে বলতে লাগলাম বিপদ! বিপদ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুনাওওয়ার মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চক্ষু মুবারক) খুলে হালকাভাবে আকাশের দিকে তাকালেন। সাথে সাথে আসমান থেকে আগুন এসে তাদের সবাইকে জ্বালিয়ে দিলো। এটা দেখে আমার মহাসম্মানিত আহাল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় আওলাদ উনার অনেক বড় মর্যাদা মুবারক রয়েছেন। অচিরেই উনার হুকুম মুবারক সবার উপর বিজয় লাভ করবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (নুয্হাতুল মাজালিস)
* সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গ্রহণ করার পর অনেক খায়ের-বরকত মুবারক লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!
* সম্মানিত বনূ সা’দ গোত্রের চারণভূমি অনুর্বর ছিলো, সেটা সবুজ-সতেজ হয়ে ওঠে ও ফসল বৃদ্ধি পায় এবং উনাদের গোত্রে খায়ের-বরকত মুবারক বৃদ্ধি পেতে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
* সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “দুনিয়াবী দৃষ্টিতে যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক দুই মাস, তখনই তিনি সব জায়গায় বিচরণ করেন। তৃতীয় মাসে তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) উনার উপর ভর দিয়ে দ-ায়মান হন। চতুর্থ মাসে তিনি দেয়াল ধরে হাঁটা মুবারক শুরু করেন। পঞ্চম মাসে হাঁটা শুরু করেন। যখন ছয় মাস পূর্ণ হলেন, তখন তিনি দ্রুত হাঁটা শুরু করেন। সপ্তম মাসে তিনি সকল প্রান্তে দৌড়াতে শুরু করেন। আর যখন আট মাস অতিবাহিত হলেন, তখন তিনি এমনভাবে কথা মুবারক বলতে শুরু করেন, যা সকলেই স্পষ্টভাবে বুঝতে পারতো। নবম মাসে তিনি বিশুদ্ধ ভাষায় কথা মুবারক বলা শুরু করেন। দশম মাসে তিনি তীর নিক্ষেপ শুরু করেন। ” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খমীস ১/২২৫, শাওয়াহিদুন নুবুওওয়াত)
* সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি আরো বলেন, “অন্য ছেলেরা এক মাসে যা বাড়তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক দিনে তা বাড়তেন, অন্যরা এক বছরে যা বর্ধিত হতো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একমাসে তা বর্ধিত হতেন। সুবহানাল্লাহ! সূর্যের ন্যায় জ্যোতির্ময় এক সম্মানিত নূর মুবারক প্রতিদিন উনার উপর এসে উনাকে ঢেকে রাখতো, আবার চলে যেতো। ”
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












