সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় জীবনী মুবারক আল হাদিয়্যাতুল ইলাহিয়্যাহ ফী সীরাতি হাবীব ওয়া মাহবূবিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (পর্ব- ৭১)
, ২৫ রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৯ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ০২ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩৫তম বৎসর মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ পুনর্নির্মাণ: এ বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ পুনর্নির্মাণ করা হয়। এ সময় সম্মানিত হাজরে আসওয়াদ মুবারক স্থাপন করার বিষয় নিয়ে কুরাইশ উনাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। প্রত্যেক গোত্রই চাচ্ছিলেন উনারাই সম্মানিত হাজরে আসওয়াদ মুবারক স্বস্থানে পুনঃস্থাপন করবেন, অন্য কেউ নয়। উনাদের এই মতবিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এমনকি উনারা পরস্পর যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হন। তখন কুরাইশ উনাদের মধ্যে একজন প্রবীণতম ব্যক্তি তিনি পরামর্শ দিলেন,
يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ اِجْعَلُوْا بَيْنَكُمْ فِيْمَا تَخْتَلِفُوْنَ فِيْهِ اَوَّلَ مَنْ يَّدْخُلُ مِنْ بَۢابِ هٰذَا الْمَسْجِدِ يَقْضِىْ بَيْنَكُمْ فِيْهِ فَفَعَلُوْا
‘হে কুরাইশ সম্প্রদায়গণ! আপনারা যেই বিষয়ে মতবিরোধ করছেন, সেই বিষয়ে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দরজা মুবারক দিয়ে সর্বপ্রথম যিনি প্রবেশ করবেন, উনাকে আপনাদের পরস্পরের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফয়সালা মুবারককারী হিসেবে গ্রহণ করুন। তখন উনারা সকলে এই প্রস্তাবে সম্মত হন।’
দেখা গেলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দরজা মুবারক দিয়ে প্রবেশ করলেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখে সকলেই সমস্বরে বলে উঠলেন,
هٰذَا اَلْاَمِيْنُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَضِيْنَا
‘ইনি হচ্ছেন আল আমীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। (উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফয়সালা মুবারক মেনে নিতে) আমরা সকলেই রাজি।’ সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর উনারা বিষয়টি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পেশ করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
هَلُمَّ اِلَىَّ ثَوْبًا فَاُتِىَ بِهٖ
‘আমাকে একটি কাপড় বা চাদর মুবারক এনে দিন। উনার নিকট তা আনা হলো।’
فَبَسَطَهٗ وَوَضَعَ الْحَجَرَ فِيْهِ
‘তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাপড় বা চাদর মুবারকখানা বিছিয়ে সেখানে সম্মানিত হাজরে আসওয়াদ মুবারক রাখলেন।’
অন্য বর্ণনায় রয়েছেন,
فَوَضَعَهٗ فِيْهِ بِيَدِهٖ
‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নিজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) সম্মানিত হাজরে আসওয়াদ মুবারক সেই কাপড় বা চাদর মুবারক উনার উপর রাখলেন।’ সুবহানাল্লাহ!
তারপর ইরশাদ মুবারক করলেন, প্রত্যেক গোত্র থেকে একজন করে এসে চাদর মুবারক উনার ৪ কোণা ধরুন। তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী প্রত্যেক গোত্র থেকে একজন করে প্রতিনিধি চাদর মুবারক উনার ৪ কোণা ধরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার দেয়াল মুবারক উনার সন্নিকটে নিয়ে যান। অতঃপর
اَخَذَهٗ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَضَعَهٗ بِيَدِهٖ
‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নিজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) সম্মানিত হাজরে আসওয়াদ মুবারক ধরে দেয়াল মুবারক উনার মধ্যে স্থাপন মুবারক করেন।’ সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম, ইবনে হিশাম, ইবনে ইসহাক্ব, আল বিদয়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্, মুসনাদে আহমাদ, আখবারু মাক্কাহ্, আর রওদ্বুল উন্ফ, শারহুয যারক্বানী, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্, ‘ঊয়ূনুল আছার, মাজমাউয যাওয়াইদ ইত্যাদি)
* সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মশগূল থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












