সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার আরো কতিপয় বৈশিষ্ট্য মুবারক (৫)
, ২৬ রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২০ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ০৩ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
অন্ধকারে-আলোতে, দিনে-রাতে এবং সামনে-পিছনে সমান দেখা:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,
كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرٰى فِى الظَّلْمَاءِ كَمَا يَرٰى فِى الضَّوْءِ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আলোতে যেমন দেখতেন; ঠিক অন্ধকারেও তদ্রƒপই দেখতেন। ” সুবহানাল্লাহ! (বাইহাক্বী, ইবনে আসাকির, খাছাইছুল কুবরা ১/১০৪ ইত্যাদি)
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন,
كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرٰى بِاللَّيْلِ فِى الظُّلْمَةِ كَمَا يَرٰى بِالنَّهَارِ فِى الضَّوْءِ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দিনের আলোতে যেমন দেখতেন; ঠিক রাতের অন্ধকারেও তদ্রƒপই দেখতেন। ” সুবহানাল্লাহ! (বাইহাক্বী, খাছাইছুল কুবরা ১/১০৪)
হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু বর্ণনা করেন,
اِنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اِنِّىْ لَاَنْظُرُ اِلٰى مَا وَرَائِىْ كَمَا اَنْظُرُ اِلٰى مَا بَيْنَ يَدَىَّ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই অবশ্যই আমি আমার সামনে যা আছে সেটা যেমন দেখি, আমার পিছনে যা আছে সেটাও তেমনই দেখি। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ, মুস্তাদরকে হাকিম, আবূ নাঈম, খছাইছুল কুবরা ইত্যাদি)
অন্য বর্ণনায় এসেছেন,
اِنِّىْ وَاللهِ لَاُبْصِرُ مَنْ وَّرَائِىْ كَمَا اُبْصِرُ مَنْ بَۢيْنَ يَدَىَّ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! নিশ্চয়ই আমি আমার সামনে যে আছে তাকে যেমন দেখি, আমার পিছনে যে আছে তাকেও তেমনই দেখি। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)
‘মুসলিম শরীফ’ উনার অন্য বর্ণনায় এসেছেন,
وَالَّذِىْ نَفْسُ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهٖ لَوْ رَاَيْتُمْ مَا رَاَيْتُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيْلًا وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيْرًا قَالُوْا وَمَا رَاَيْتَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَاَيْتُ الْجَنَّةَ وَالنَّارَ
অর্থ: “ঐ মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! উনার কুদরতী হাত মুবারক-এ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল কুদরত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রাণ মুবারক) আমি যা দেখি, আপনারা যদি তা দেখতেন তাহলে কম হাসতেন, বেশি কাঁদতেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ উনারা জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কী দেখেন? তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি সম্মানিত জান্নাত মুবারক এবং জাহান্নাম দেখি। অর্থাৎ কায়িনাতের সমস্ত কিছুই দেখি। ” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শ্রবণ মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنِّىْ اَرٰى مَا لَا تَرَوْنَ وَاَسْمَعُ مَا لَا تَسْمَعُوْنَ اَطَّتِ السَّمَاءُ وَحُقَّ لَهَا اَنْ تَئِطَّ وَالَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِهٖ مَا فِيْهَا مَوْضِعُ اَرْبَعَةِ اَصَابِعَ اِلَّا وَمَلَكٌ وَاضِعٌ جَبْهَتَهٗ سَاجِدٌ لِلّٰهِ
অর্থ: “হযরত আবূ যার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি যা দেখতে পাই আপনারা তা দেখতে পান না। আর আমি যা শুনতে পাই আপনারা তা শুনতে পান না। (ভারী ওযনে) আসমান কড়মড় করছে, আর এরূপ শব্দ করা তার জন্য মানানসই। ঐ মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! যাঁর কুদরতী হাত মুবারক-এ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল কুদরত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রাণ মুবারক) আসমানের মধ্যে চার অঙ্গুলি পরিমাণ জায়গাও খালি নেই, যেখানে একজন না একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি উনার কপাল মুবারক অবনত করে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য সিজদারত নন অর্থাৎ সমস্ত জায়গায় হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য সিজদারত রয়েছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ, ইবনে মাজাহ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ حَكِيْمِ بْنِ حِزَامٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ بَيْنَمَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِىْ اَصْحَابِهٖ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمْ اِذْ قَالَ لَهُمْ تَسْمَعُوْنَ مَا اَسْمَعُ قَالُوْا مَا نَسْمَعُ مِنْ شَيْءٍ قَالَ اِنِّىْ لَاَسْمَعُ اَطِيْطَ السَّمَاءِ وَمَا تَلَامُ اَنْ تَئِطَّ مَا فِيْهَا مَوْضِعَ شِبْرٍ اِلَّا وَعَلَيْهِ مَلَكٌ سَاجِدٌ اَوْ قَائِمٌ
অর্থ: “হযরত হাকীম ইবনে হিযাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে সম্মানিত ছোহবত মুবারক দান করা অবস্থায় ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা কি শুনতে পাচ্ছেন, যা আমি শুনতে পাচ্ছি? হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ উনারা বললেন, আমরা তো কিছুই শুনতে পাচ্ছি না। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আসমানের চড়চড় শব্দ শুনছি। কোনো কোনো সময় কোন কোন অংশ থেকে এরূপ শব্দ শোনা যায়। কেননা, আসমানে অর্ধহাত পরিমাণ জায়গাও এমন নেই, যেখানে কোনো একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি সিজদারত অথবা দ-ায়মান অবস্থায় নেই অর্থাৎ সব স্থানেই হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সিজদারত রয়েছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আবূ নাঈম)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












