স্থাপত্যশৈলীর অনুপম নিদর্শন আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ
, ১৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২১ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) স্থাপত্য নিদর্শন
১ম পর্বের পর...
রাত এলেই আলোর ঝলকানিতে অপরূপ অবয়বে শোভিত হয় মসজিদটি। চতুর্দিকে রং-বেরঙের আলোকসজ্জা দূরের দর্শনার্থীকেও আকৃষ্ট করে। মসজিদের ভেতেরও রয়েছে একাধিক ঝাঁড়বাতির আলো। বেশ দূর থেকেই মসজিদের গম্বুজ ও নির্মাণাধীন মিনার দ্ইুটি দৃষ্টি কাড়ে। রাতের বেলা এক অন্যরকম আবহের সৃষ্টি হয়। আর পরিবেশ ও আঙিনা- সব মিলিয়ে বেশ শান্ত ও মনোরম।
আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদের স্থাপত্যশৈলী যে কোনো দর্শককে মুগ্ধ করবে। বিশেষ করে মসজিদের সম্মুখের উচ্চ দুইটি সিঁড়ি এবং ব্যতিক্রমী প্রবেশপথ ও প্রধান ফটক যে কারও দৃষ্টি কাড়ে।
মসজিদের পাশেই রয়েছে পাঠাগার ও ইস্তেঞ্জাখানা। সেইসঙ্গে মসজিদের প্রবেশ পথের দুই সিঁড়ির পাশে কাঁচে ঘেরা অটো ফিল্টার করা পানি দিয়ে অজু করার ব্যবস্থাও রয়েছে। দেশের বাহিরে থেকে আনা উন্নতমানের মার্বেল পাথরসহ কাঠের কারুকাজে মসজিদের বিভিন্ন স্থানকে আকর্ষণীয় করতে নান্দনিক নকশার কাজের যেন খামতি নেই কোথাও। মসজিদটিতে প্রায় পাঁচ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মসজিদটি তৈরির প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে মসজিদের প্রশাসনিক কর্মমর্তার কাছ থেকে জানা যায়, সখের বশেই ২০১২ খৃ: একদিন এর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মুহম্মদ আলী সরকার তার স্ত্রীকে নিয়ে এখান দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন। তখন মসজিদের জায়গাটা ছিল বনের বাগান। হঠাৎই তার স্ত্রী তাকে বললেন আমার কিছু টাকা আছে আপনি কোনো কাজে লাগান। তখন তিনি বললেন- তাহলে এখানে একটি মসজিদ করি। এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে আমার সামনেই কথা হলো। পরবর্তীতে এরই বাস্তবায়নে ২০১৪ খৃ: মসজিদটির কাজ শুরু করা হয়। এখানে তার স্ত্রী সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করলেও পাশাপাশি তিনি ও তার সন্তানরাও সবাই এখানে অর্থায়ন করেছেন।
মসজিদটির নির্মাণকারী প্রয়াত আলহাজ মোহাম্মদ আলী সরকারের পরিবারের এক সদস্যর কাছ থেকে জানা যায়, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর নির্মাণে আমরা কাজ করেছি। নিজেদের প্রচার চাই না। তবে এ মসজিদ নির্মাণের উদ্যোক্তা মুহম্মদ আলী সরকার বেঁচে থাকলে তিনি এখানে নামাজ আদায় করতে পারতেন। সেটা দেখতে পেলে বেশি ভালো লাগত।’ সমাপ্ত।
-সম্পাদনায়; মহম্মদ নাঈম
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর অন্যতম আল্লাহর মসজিদ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খেজুরের পাতায় লিখা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৫)
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৪)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য স্থাপত্যের নজির বাংলাদেশে: মসজিদে নববী শরীফ উনার হুবহু নকশায় রাজারবাগ শরীফে সুন্নতী জামে মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই শরীফে
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৩)
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ির সবচেয়ে পুরনো ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদ
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (২)
১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)