হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদ
, ০৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৩ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২২ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) স্থাপত্য নিদর্শন
উল্লেখ্য যে, ১১৬৯ খৃ: সুলতান নূরুদ্দিন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহ উনার শাসনামলে কুচক্রী খৃষ্টানগণ কর্তৃক উমাইয়া মসজিদ সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হলেও মূল মসজিদের ইমারত থেকে কিছুটা দুরত্বে নির্মিত হওয়ার দরুন সেই দুর্ঘটনা থেকে মিনারটি রক্ষা পায়।
এই ঐতিহাসিক মসজিদের মিনার ব্যতীত আরও যে সকল উল্লেখযোগ্য বিভাগ রয়েছে তা হলো : ১. বায়তুস-সালাত বা নামায ঘর, ২. মিম্বর, ৩. মিহরাব, ৪. হুজরাতুল- খতীব বা খতীবের জন্য নির্মিত বিশ্রাম কক্ষ, ৫. হুজরাতুন-নবী, অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম উনার রওজা শরীফ, ৬. আভ্যন্তরিন আঙ্গিনা, যার বর্ণনা পূর্বে দেয়া হয়েছে।
মামলুক শাসনামলে মসজিদের সংস্কারঃ ১৪৮৮ খৃ: মামলুক সুলতান মামলুক কাইতবাঈ -এর নামানুসারে মসজিদের কাতিবায় মিনার নির্মিত হয়। এই মামলুক শাসনামলে এই মসজিদের অনেক উন্নতকরণের কাজ করা হয়। মামলুক শাসনামলে এই মসজিদের বিভিন্ন স্থানে মার্বেল পাথর দ্বারা সুশোভিত করা হয়। এই সময় মসজিদের অনেক অংশ পুনরুদ্ধার করা হয়। এই পুনরুদ্ধার কাজে সিরিয়া ও মিশরের মামলুক শাসনামলের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
উসমানীয় যুগঃ ১৫১৬ খৃ: উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে প্রথম সেলিম মামলুক রাজপরিবারের কাছ থেকে দামেস্ক বিজয় করেন। উমাইয়া মসজিদে তার শাসনামলের প্রথম জুমা’র নামাযে সুলতান নিজে উপস্থিত ছিলেন। উসমানীয় সম্রাট এই ঐতিহাসিক মসজিদটিকে কেন্দ্রীয় পরিষদের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জন্য উন্মুক্ত সম্পত্তি (ওয়াক্ফ) হিসেবে ঘোষণা করেন। এই ওয়াক্ফ স্টেটটি শহরের সর্ববৃহৎ স্টেট যেখানে ৫৯৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছিল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর অন্যতম আল্লাহর মসজিদ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খেজুরের পাতায় লিখা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৫)
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৪)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য স্থাপত্যের নজির বাংলাদেশে: মসজিদে নববী শরীফ উনার হুবহু নকশায় রাজারবাগ শরীফে সুন্নতী জামে মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই শরীফে
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৩)
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ির সবচেয়ে পুরনো ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদ
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (২)
১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)