শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃ বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান সময়ে ইহুদী ফান্ড দ্বারা পরিচালিত ওহাবী, সালাফী, লা’মাযহাবী ফেরকার লোকেরা সমাজে ইচ্ছামত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে জাল, মওজু, দ্বয়ীফ বলে অপপ্রচার করছে। নাউযুবিল্লাহ! তাদের মতবাদের বিপক্ষে মনে হলেই সেটাকে তারা জাল বলছে। আর এ জন্য তারা উছুলে হাদীছ শরীফ উনার বিভিন্ন অপব্যাখ্যার আশ্রয়ও গ্রহণ করতে কার্পণ্য করছে না। শত শত বছর ধরে উম্মত যে হাদীছ শরীফ উনার উপর আমল করে আসছে কেউ কোন আপত্তি করে নাই অথচ হাল যামানায় এসব ওহাবীরা হঠাৎ আবির্ভূত হয়ে জাল! জাল! বলে চিৎকার শুরু করেছে।
তাদের ধারণা পবিত্র বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ ছাড়া পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, إتمام ‘ইতমাম’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে চূড়ান্ত, পরিপূর্ণ, পূর্ণকরণ ইত্যাদি। কোন একজন লেখক যখন একটা কিতাব লিখবেন তখনি শুরুতেই কি চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ করে লেখার কোন কারণ আছে? কিতাবাদি যারা বুঝেন তারা জানেন, একজন লেখক একটা কিতাব লেখার পর একটা সময় মনে করেন এই কিতাবে আরো কিছু দলীল সংযুক্ত করা দরকার তখন তিনি আগের কিতাবকে পূর্ণতা দেয়ার জন্য ‘ইতমাম’ দিয়ে আরেকটা সংস্করণ করেন। অথবা লেখক যদি চান আগের কিতাবের সংক্ষিপ্ত রূপ তৈরী করবেন তিনি তখন পরবর্তী একটা সময়ে গিয়ে মুখতাছার বা সংক্ষিপ্ত আকারে লিখেন। আর ক্ষেত্র বিশেষে এই ক বাকি অংশ পড়ুন...
(১৯২-১৯৪)
قَالَ الْعَارِفُ الشَّعْرَانِيُّ: فَإِنْ قُلْت فَهَلْ يَجِبُ عَلَى الْمَحْجُوبِ عَن الِاطِّلَاعِ عَلَى الْعَيْنِ الْأُولَى التَّقَيُّدُ بِمَذْهَبٍ مُعَيَّنٍ؟
فَالْجَوَابُ: نَعَمْ يَجِبُ عَلَيْهِ ذَلِكَ لِئَلَّا يَضِلَّ فِي نَفْسِهِ وَيُضِلَّ غَيْرَهُ.
অর্থ: হযরত ইমাম আরিফ শা’রানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যদি আপনি প্রশ্ন করেন, যে লোক শরীয়ত উনার প্রথম ঝরণা (কুরআন মাজীদ ও সুন্নাহ শরীফ) উনার প্রকৃত মর্মার্থ সম্পর্কে না জানে, তার জন্য কি (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) এক নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসরণ করা ওয়াজিব হবে? এ প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো- হ্যাঁ, সে লোকের জন্য (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) এক নির্দিষ্ট ম বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রেরণ করেছেন কেন, জানেন?
চারটা পবিত্র আয়াত শরীফ আছে এক রকম। তার মধ্যে একটা পবিত্র আয়াত শরীফ হচ্ছে মূল। সেটা বললে বাকীগুলো হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
لَقَدْ مَنَّ اللهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
অর্থাৎ মু’মিনদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার ইহসান, তাদের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন রসূল ছ বাকি অংশ পড়ুন...
বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ নাম শুনলে পৃথিবীবাসীর কাছে আর যেন কোন দলীলই প্রয়োজন হয় না। এখানে যা আছে চোখ বুজে মানুষ মেনেও নেয়। যেহেতু হাদীছ শরীফ উনার কিতাব সেহেতু মেনে নিবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আক্বীদার ক্ষেত্রে উছূল হচ্ছে যখন এমন কোন বর্ণনা পাওয়া যাবে, যা সম্মানিত আক্বীদা ও শান মান উনার খিলাফ তখন উক্ত বর্ণনা নিয়ে চিন্তা ফিকির করতেই হবে।
ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি হাদীছ শরীফ উনার প্রসিদ্ধ কিতাব আবু দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ উনার মধ্যে এমন রেওয়ায়েত আছে যেখানে উল্লেখ আছে- আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫৮. প্রসঙ্গ : এক মুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয, গোঁফ ছোট করে রাখা সুন্নত, মু-ন করা বিদয়াত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : দাড়ি রাখা জরুরী নয় বরং সুন্নত। দূর থেকে বুঝা যায়, এতটুকু পরিমাণ দাড়ি রাখলেই চলে। একমুষ্টি পরিমাণ রাখা শর্ত নয়। আর গোঁফ মু-ন করাই সুন্নত।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : দাড়ি কমপক্ষে একমুষ্টি পরিমাণ লম্বা করা ফরয-ওয়াজিব। অর্থাৎ একমুষ্টি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কাটা বা ছাঁটা হারাম। চার মাযহাবের ইমামগণ উনারা এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। আর গোঁফ মু-ন করা ফতওয়াগ্রাহ্য মতে মাকরূহ্ তাহরীমী ও বিদ্য়াত। গোঁফ কাঁচি বাকি অংশ পড়ুন...
(৩) মিশর ও সিরিয়াবাসীগণ উনাদের পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন:
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিলে সবচাইতে অগ্রগামী ছিলেন মিশর ও সিরিয়াবাসী। মিশর সুলতান প্রতি বছর পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান রাত্রে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতেন। ইমাম হযরত সামছুদ্দীন সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, ‘আমি ৭৮৫ হিজরী সনে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান রাতে সুলতান বরকুকের উদ্যোগে আল জবলুল আলীয়া নামক কেল্লায় আয়োজিত মীলাদ শরীফ মাহফিলে হাজির হয়েছিলাম। ওখানে আমি যা কিছু বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
বাতিল আক্বীদা ও ফিরক্বার লোকদের বক্তব্য হচ্ছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার তারিখ নিয়ে মতভেদ; তাই মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন করা ঠিক নয়। আর ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ বিলাদত শরীফ উনার দিন এটা সবচেয়ে দুর্বল মত। ” এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের ফায়সালা কি?
জাওয়াব: (২য় অংশ)
হযরত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের বর্ণনা মতে, কোন মুসলমান নামধারী আলিম ও জাহিল নামধারী ব্যক্তির প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার রহমত উনার বাকি অংশ পড়ুন...












