মক্কা শরীফ উনার নগরীতে সহজে এবং নিরাপদে সফর করার উদ্দেশ্যে ১৯০০ সালে ‘দ্য হেজাজ রেলওয়ে’ প্রকল্প শুরু করেছিলেন দ্বিতীয় আবদুল হামিদ, যিনি ওসমানিয়া সালতানাতের (বর্তমান তুরস্ক) সুলতান ছিলেন।
তার আগ পর্যন্ত উটের কাফেলায় কয়েক সপ্তাহ ধরে মক্কা শরীফে সফর করতেন মুসলিম ব্যবসায়ী ও হজ্জযাত্রীরা।
সে সময় দামেস্ক থেকে মক্কা শরীফে পৌঁছাতে অন্তত ৪০ দিন সময় লাগতো। যাত্রা পথে শুষ্ক মরুভূমি আর পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কাফেলার বহু যাত্রীর মৃত্যু হত।
রেলওয়ে প্রতিষ্ঠার পরে এই ৪০ দিনের যাত্রা নেমে আসে মাত্র পাঁচ দিনে।
এই প্রকল্পের অধীনে রেল বাকি অংশ পড়ুন...
ঠোঁট কেটে রান্না করা লোয়া:
জন্ম ইংল্যান্ডে। ১ম দিকে ছিলো পকেটমার। এরপর চুরিসহ অনেক অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তারপর আমেরিকায় এসে ১৭২২ সালে একটি দস্যু দলের নেতৃত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে নৌদস্যু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে লোয়া। গোড়ার দিকে পোর্ট রোজওয়েতে নোঙর তোলা ১৩টি মাছ ধরার জাহাজ লুট করে লোয়ার দল। বিভিন্ন জাহাজ লুট করার পর বন্দিদের ঠোঁট কেটে রান্না করে তাদের সেটা খেতে বাধ্য করতো লোয়ার।
দস্যুদের মানচিত্র তৈরিকারী টমাস টিউ:
‘পাইরেট রাউন্ড’ নামে পরিচিত নৌদস্যুদের মানচিত্রটি তৈরি করে টমাস। পরে হেনরি এভারি এবং উইলিয়াম কিডের মতো বাকি অংশ পড়ুন...
১৯২১ সালে সার্বিয়া, মন্টিনিগ্রো, বুলগেরিয়া এবং গ্রিস একসাথে তৎকালীন উসমানীয় সালতানাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। উসমানীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর বুলগেরিয়া থেকে তুর্কি ভাষাভাষী মুসলমানদের বের করে দেয়া হয়। বুলগেরিয়া থেকে বিতাড়িত হয়ে মুসলমানরা ইস্তাম্বুলে এসে আশ্রয় নেন। কিন্তু বুলগেরিয়া থেকে আসতে অনেক মুসলমান কলেরায় আক্রান্ত হন। এছাড়াও সে সময় ইস্তাম্বুলেও অনেক অধিবাসী কলেরায় আক্রান্ত ছিলেন। একদিকে যুদ্ধ অন্যদিকে রোগ-ব্যাধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন উসমানীয়রা।
আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য উসমানীয় প্রশাসন গঠন করে বাকি অংশ পড়ুন...
মক্কা শরীফ উনার নগরীতে সহজে এবং নিরাপদে সফর করার উদ্দেশ্যে ১৯০০ সালে ‘দ্য হেজাজ রেলওয়ে’ প্রকল্প শুরু করেছিলেন দ্বিতীয় আবদুল হামিদ, যিনি ওসমানিয়া সালতানাতের (বর্তমান তুরস্ক) সুলতান ছিলেন।
তার আগ পর্যন্ত উটের কাফেলায় কয়েক সপ্তাহ ধরে মক্কা শরীফে সফর করতেন মুসলিম ব্যবসায়ী ও হজ্জযাত্রীরা।
সে সময় দামেস্ক থেকে মক্কা শরীফে পৌঁছাতে অন্তত ৪০ দিন সময় লাগতো। যাত্রা পথে শুষ্ক মরুভূমি আর পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কাফেলার বহু যাত্রীর মৃত্যু হত।
রেলওয়ে প্রতিষ্ঠার পরে এই ৪০ দিনের যাত্রা নেমে আসে মাত্র পাঁচ দিনে।
এই প্রকল্পের অধীনে রেল বাকি অংশ পড়ুন...
‘মরুভূমির চিতা’ ফখরুদ্দীন পাশা। তিনি ছিলেন উসমানীয় খিলাফতের সেই সাহসী জেনারেল, যিনি আরব বিশ্বাসঘাতক, ব্রিটেন এবং তার মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে টানা ৭২ দিন একাই লড়াই করেছিলেন। পরবর্তীতে উনার বীরত্ব ও সাহসিকতায় প্রভাবিত হয়ে উনাকে ‘টাইগার অব দ্যা ডেজার্ট’ তথা ‘মরুভূমির চিতা’ আখ্যা দেয়া হয়। ইতিহাস উনাকে ‘মুহাফিযে মদীনা’- ‘মদীনার রক্ষক’ নামে স্মরণ করে।
তিনি উসমানী খিলাফতের একজন সাহসী জেনারেল ছিলেন। তবে যে বিষয়টি উনার ব্যক্তিত্বকে বিখ্যাত করেছিলো তা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ সময়। যোগ্য মুসলিম শাসকের অভাবে তুরস্ক এবং পূর্ব ইউরোপে তখন উসমানী সালতানাতকে একেবারেই দুর্বল করে দিয়েছে ব্রিটিশ বাহিনী। আর এদিকে আরবে ব্রিটিশদের দোসর হিসেবে আরবভূমি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছিল আরবের মুনাফিক শাসকরা। বাকি ছিল শুধু পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার ভূমি।
ষোড়শ শতকের পর থেকে আরবের পবিত্র ভূমি পবিত্র মক্কা শরীফ এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার খিদমত করছিলেন উসমানীয় সালতানাতের সুলতানরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হেজাজ অঞ্চলের শেষ গভর্নর ছিলেন মুহম্মদ ফখরুদ্দিন পাশা। ইতিহাসে তিনি বি বাকি অংশ পড়ুন...
আল-আহসা - পূর্ব সৌদি আরবের বুকে বিস্তৃত এক প্রাচীন মরুদ্যান, যা শুধু আরবই নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য এক অনন্য ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বিস্ময়। ‘আল-আহসা’ নামটি আরবি ‘আল-হিসা’-এর বহুবচন, যার অর্থ শক্ত বালুমাটির নিচে জমা পানির আধার। বালির গভীরে লুকানো প্রাকৃতিক মিঠা পানি হাজার বছর ধরে এই শুষ্ক অঞ্চলে সবুজ জীবনের ধারক ও বাহক হয়ে আছে।
পারস্য উপসাগরের উপকূল থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত আল-আহসা সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বৃহৎ অংশ জুড়ে বিস্তৃত। এই মরুদ্যান ঐতিহাসিকভাবে খ্যাতি পেয়েছে সূচিকর্মের শিল্প ও ঐতিহ্যবাহী ‘বি বাকি অংশ পড়ুন...
আর মাত্র কিছুদিন পরেই বিশ্বব্যাপী পালিত হবে পবিত্র কুরবানীর ঈদ। মুসলমানরা এই দিনে পশু কুরবানী করবেন মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জনের জন্য। পাশাপাশি, সম্মানিত শরীয়ত উনার রীতিনীতি পালনের মাধ্যমে এই দিনে মুসলমানগণ খুশি প্রকাশ করে থাকেন। পূর্বের মুসলমান শাসনগুলোতেও পবিত্র কুরবানীর ঈদ বিশেষ রীতিনীতির সাথে পালিত হতো। বিশেষ করে পবিত্র এই দিবস উনার সাথে ঐতিহ্যবাহী উসমানীয় সালতানাতের বিশেষ কিছু তাহযীব জড়িত রয়েছে।
তুরস্কে পবিত্র কুরবানীর ঈদ ‘কুরবান বাইরাম’ নামে পরিচিত। উসমানীয়রা পবিত্র কুরবানীর ঈদ অত্যন্ত জা বাকি অংশ পড়ুন...
(১ম পর্ব)
ফিলিস্তিনের গাজা থেকে দুই মাইল উত্তরে কিবুটস এলাকা। হিটলার থেকে বাঁচতে পোল্যান্ড থেকে আসা ইহুদীরা কৃষি খামার গড়ে তুলেছিলো।
১৯৩৩ সালে জার্মানিতে নাৎসি নেতা হিটলারের ক্ষমতায় আসার পর ইহুদীদের বিতাড়ন করা হয়। বহু ইহুদী তখন পালিয়ে এসে ফিলিস্তিনে আশ্রয় নিতে থাকে।
ফিলিস্তিনে আরব মুসলমানদের কৃষি খামার ছিলো। তারা কয়েক শতাব্দী ধরে সেখানে বসবাস করছিলেন।
১৯৩৯ সালে ব্রিটেনের সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে যেখানে বলা হয়েছিলো, পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ৭৫ হাজার ইহুদী অভিবাসী আসবে ফিলিস্তিনি ভূখ-ে।
ব্রিটেনের এ ধরনের পরিকল বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৯০ খ্রি: সন। উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাসনকাল। সে সময় ঘরে বাইরে শত্রু বিরাজমান। গাদ্দারদের ষড়যন্ত্রে উসমানীয় শাসন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন মুহূর্তেই শাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। উসমানীয় শাসনের ভিত্তি মজবুত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তিনি।
এমনই এক সঙ্কটাপন্ন মুহূর্তে খবর এলো, ফরাসি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চলচ্চিত্র নির্মাতা কুলাঙ্গার হেনরি বর্নিয়ার মুসলমানদের সম্মানিত ঈমান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান মুবারকে অবম বাকি অংশ পড়ুন...
রহমত, বরকত, সাকীনা এবং মাগফিরাতের মাস পবিত্র রমাদ্বান শরীফ। ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি ইতিহাসের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি, তবে মুসলিম উম্মাহর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস। এই পবিত্র মাসেই এমন অনেক বিজয় অভিযান সম্পন্ন হয়েছে যা মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসের গতিধারাকে পরিবর্তিত করেছে।
মহাপবিত্র বদর জিহাদ
সম্মানিত ২য় হিজরী শরীফ উনার ১৭ই রমাদ্বান শরীফ পবিত্র মদীনা শরীফ উনার দক্ষিণ-পশ্চিমে বদর প্রান্তরে পবিত্র বদর জিহাদ সংঘঠিত হয়। সম্মানিত জিহাদ মুবারকে মুসলমান উনাদের সংখ্যা ছিলেন ৩১৩ জন। বিপরী বাকি অংশ পড়ুন...












