সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে লিবাস বা পোশাকের বর্ণনাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। যেমন লিবাস বা পোশাক সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا
অর্থ: “হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য লিবাস বা পোশাক নাযিল করেছি। ”(পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ; পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬)
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ইহুদী-নাছারা অর্থাৎ কাফির-মুশরিকদের লিবাস বা পোশাক থেকে বেঁচে থাকো। ”
এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসলমানদের জন্য আলাদা বা নির্দিষ বাকি অংশ পড়ুন...
স্বাধীনা মেয়েদেরকে প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় চেহারা ঢাকার নির্দেশ মুবারক দিয়ে যিনি খ¦ালিক, যিনি মালিক, যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِأَزواجِكَ وَبَناتِكَ وَنِساءِ المُؤمِنينَ يُدنينَ عَلَيهِنَّ مِن جَلابيبِهِنَّ ذلِكَ أَدنى أَن يُعرَفنَ فَلا يُؤذَينَ -
অর্থ: মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা আপনার হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম এবং মুমিনগণ উনাদের বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছেÑ
عَنْ حَضْرَت أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ أَبَاهُ أُسَامَةَ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَسَانِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبْطِيَّةً كَثِيفَةً كَانَتْ مِمَّا أَهْدَاهَا دَحْيَةُ الْكَلْبِيُّ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَسَكَوْتُهَا امْرَأَتِيْ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَالَكَ لَمْ تَلْبَسِ الْقُبْطِيَّةَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ كَسَوْتُهَا امْرَأَتِي فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْهَا فَلْتَجْعَلْ تَحْتَهَا غِلالَةً إِنِّي أَخَافُ أَنْ يَصِفَ حَجْمَ عِظَامِهَا-
অর্থ: হযরত উসামা ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায় বাকি অংশ পড়ুন...
পুরুষের ক্বমীছ ও মহিলাদের ক্বমীছের মধ্যে পার্থক্য:
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছেÑ হযরত দিহ্ইয়া ইবনে খলীফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারকে মিশরের তৈরী অনেকগুলি কাপড় নিয়ে আসা হলো। তিনি আমাকে একটি কাপড় হাদিয়া মুবারক করে বলেন যে, উক্ত কাপড়কে দু’ টুকরা করে এক টুকরা দ্বারা আপনার আহলিয়ার জন্য ক্বমীছ তৈরী করুন, আর অন্য টুকরার দ্বারা উড়না তৈরী করুন। যখন তিনি বাড়ী বাকি অংশ পড়ুন...
সুন্নতী ক্বমীছের গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশ বুকের উপরে থাকবে
মূলত পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই সুন্নতী ক্বমীছের গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া অংশটি বুকের উপরেই হবে এবং এটাই পবিত্র সুন্নত মুবারক অন্তর্ভুক্ত।
পবিত্র সুন্নতী ক্বমীছ উনার জেব, জুরুব্বান এবং ফুতহা এর পরিচয়:
জেব শব্দটি এক বচন, বহু বচনে جُيُوب (জুয়ূবুন)। যা প্রথমে ক্বমীছ পরিধান করতে মাথা প্রবেশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তারপর গলাবন্ধনীকে একটি গুটলী দ্বারা আটকিয়ে দেয়া হয়।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফে সুন্নতী ক্বমীছ উনার গলা বন্ধনী এবং গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাঁড়া বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলাদের জন্য মোটা কাপড়ের ক্বমীছ পরিধান করাই সুন্নত:
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছেÑ
عَنْ حَضْرَت دِحْيَةَ بْنِ خَلِيفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبَاطِيَّ فَأَعْطَانِي مِنْهَا قُبْطِيَّةً فَقَالَ اصْدَعْهَا صَدْعَيْنِ فَاقْطَعْ أَحَدَهُمَا قَمِيصًا وَأَعْطِ الْآخَرَ امْرَأَتَكَ تَخْتَمِرُ بِهِ فَلَمَّا أَدْبَرَ قَالَ وَأْمُرِ امْرَأَتَكَ أَنْ تَجْعَلَ تَحْتَهُ ثَوْبًا لَا يَصِفُهَا-
অর্থ: হযরত দিহইয়া ইবনে খলীফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
ক্বমীছ পরিধান করা সুন্নত:
ক্বামিছ বা জামা বিভিন্ন রংয়ের হওয়া, সূতি কাপড়ের হওয়া, মোটা কাপড় হওয়া, ফুতহা বা গলাবন্ধনী সংশ্লিষ্ট ফাড়া অংশটি বুকের উপর হওয়া, গলাবন্ধনীকে আটকানোর জন্য কাপড়ের তৈরী একটি গুটলীযুক্ত হওয়া, কোণা ফাঁড়া না হওয়া বরং গোল হওয়া, ছয় টুকড়া বিশিষ্ট হওয়া, নিছফে সাক্ব হওয়া ইত্যাদি খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত।
মহিলাদের ক¦মীছকে دِرْعٌ (দিরউন) বলা হয়:
মহিলাদের সুন্নতী ক্বমীছ বা জামাকে دِرْعٌ (দিরউন) বলা হয়ে থাকে। যেমন এই বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফসহ বিভিন্ন কিতাবে উল্লেখ রয়েছে-
دِرْعُ الْمَرْأَةِ قَمِيْصُهَا-
অর্থ: মহিলাদের ক্ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে লিবাস বা পোশাকের বর্ণনাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। যেমন লিবাস বা পোশাক সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا
অর্থ: “হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য লিবাস বা পোশাক নাযিল করেছি। ” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ; পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬)
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ইহুদী-নাছারা অর্থাৎ কাফির-মুশরিকদের লিবাস বা পোশাক থেকে বেঁচে থাকো। ”
এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসলমানদের জন্য আলাদা বা নির্দিষ বাকি অংশ পড়ুন...












