পরিচিতি মুবারক:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম তিনি বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন বনু হিলাল গোত্রে, উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মুবারক হযরত হারিছ বিন হাযান আলাইহিস সালাম, সম্মানিতা মাতা উনার নাম মুবারক হযরত হিন্দা বিনতে আওফ আলাইহাস সালাম। (তাবাক্বাত, আনসাবুল আশরাফ)
উনার পূর্ব নাম মুবারক ছিল র্বারা। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই নাম মুবারক পরিবর্তন করে হযরত মায়মুনা আলাইহাস সালাম রাখেন। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু বাকি অংশ পড়ুন...
তাইয়াম্মুমের জরুরী মাসায়িল
১. মাটিতে কোনো নাজাসাত পতিত হয়ে তা যদি শুকিয়ে যায় এবং দুর্গন্ধও চলে যায়, তবে উক্ত মাটি পাক এবং তার উপর নামায পড়া জায়িয হবে। কিন্তু সেই মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম জায়িয হবে না।
২. যদি কোনো স্থানে কাদা বা ভিজা মাটি ব্যতীত অন্য কোনো জিনিস না পাওয়া যায়, তবে তা কাপড়ে বা শরীরে মেখে, শুকানোর পর উক্ত মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম করাই উত্তম যদিও কাদা মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম জায়িয রয়েছে।
আর যদি নামাযের ওয়াক্ত ফউত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে কাদা মাটি দ্বারাই তাইয়াম্মুম করে নামায আদায় করতে হবে, নামায ক্বাযা করা যাবে না।
৩. বন্ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র জুমু’আহ উনার নামাযের খুতবাতে, পবিত্র ঈদ উনার খুতবাতে লাঠি ব্যবহার করা আখাছ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক। যারা খুতবার সময় লাঠি ব্যবহার করা বিদ্য়াত বা মাকরূহ্ বলে থাকে, তাদের সে বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভ্রান্ত।
কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবা মুবারক দেয়ার সময় লাঠি মুবারক ব্যবহার করেছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে-
إِنَّ النَّبِي বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৪৬. প্রসঙ্গ : আযানের সময় অঙ্গুলী চুম্বন করা মুস্তাহাব সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : আযানের সময় নবীজি উনার নাম মুবারক শুনে অঙ্গুলী চুম্বন করে চোখে লাগানো বিদয়াত ও নাজায়িয। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : মারফূ ছহীহ্ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং নিজে আযানে হাবীবে খোদা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শুনে অঙ্গুলী চুম্বন করে চোখে লাগিয়েছেন। তাই এটা খাছ সুন্নতে ছাহাবা। মাসিক আ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৩৭. প্রসঙ্গ: শরীয়তে উমরী ক্বাযা নামায অবশ্যই রয়েছে
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: শরীয়তে উমরী ক্বাযা বলতে কোন ক্বাযা নামায নেই। তাই উমরী ক্বাযা আদায় করা বিদয়াত ও নাজায়িয।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: শরীয়তে উমরী ক্বাযা অবশ্যই রয়েছে। ফিক্বাহ্র বড় বড় সব কিতাবেই দু’প্রকার ক্বাযা নামাযের কথা উল্লেখ আছে। (১) ক্বাযায়ে আদা। অর্থাৎ যে ক্বাযা নামায সম্পর্কে নিশ্চিত জানা রয়েছে। (২) ক্বাযায়ে উমরী। অর্থাৎ যে ক্বাযা নামায সম্পর্কে নিশ্চিত জানা নেই। অর্থাৎ ক্বাযা থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে। তাক্বওয়ার জন্যে উমরী ক্বাযা আদায় কর বাকি অংশ পড়ুন...
৩৪. প্রসঙ্গ: তাহাজ্জুদ নামায
জামায়াতে আদায় করা বিদ্য়াত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: তাহাজ্জুদ নামাযসহ অন্যান্য নফল নামায জামায়াতে আদায় করা জায়িয। তাই তারা বিশেষভাবে রমযান মাসে তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে আদায় করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: তারাবীহ্, ছলাতুল ইস্তিস্কা ও ছলাতুল কুসূফ, এই তিন প্রকার নামায ব্যতীত কোন সুন্নত বা নফল নামাযই জামায়াতে আদায় করা জায়িয নেই। বরং ফক্বীহ্গণ উনাদের মতে তা মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়্যাহ্।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৭, ১৩, ১৪, ৩১, ৪১, ৫৩, ৭০ ও ৮২ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৩১. প্রসঙ্গ: পর্দা করা ফরয, বেপর্দা হওয়া হারাম
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: বাতিলপন্থীরা পর্দাকে কোনই গুরুত্ব দেয়না; তার প্রমাণ “চার দলের বৈঠক। ” গত ১৩ ফেব্রুয়ারী/২০০৪ তারিখে পল্টন ময়দানে চার দলের জনসভায় কতিপয় মৌলভীকে একজন বেপর্দা ও বেগানা মহিলার সাথে বসে থাকতে দেখা গেছে এবং রমযান মাসে কতিপয় নামধারী মৌলভী মহিলার সাথে পাশাপাশি বসে ইফতার করেছে। (দৈনিক ইনকিলাব, ইত্তেফাক, সংগ্রাম, দিনকাল, জনকণ্ঠ ইত্যাদি)
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: পর্দা করা হচ্ছে ফরযে আইন, যা কুরআন শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত। আর হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, “যে দে বাকি অংশ পড়ুন...
২৮. প্রসঙ্গ: ইসলাম উনার নামে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হারাম
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: সরকারকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে কুশপুত্তলিকা দাহ করা জায়িয। কেননা, নবীজি কাফিরদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে খেজুর গাছ পুড়িয়েছেন বা দাহ করেছেন। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: কুশপুত্তলিকা বানানো ও দাহ করা উভয়টিই হারাম ও নাজায়িয। কেননা, এটা সম্পূর্ণই বিধর্মীদের আমল ও পদ্ধতি। কুশপুত্তলিকা দাহ করাকে খেজুর গাছ পোড়ানোর সাথে ক্বিয়াস করা সুস্পষ্ট কুফরী। কেননা, খেজুর গাছ মূর্তি নয়। পক্ষান্তরে কুশপুত্তলিকা দাহ হচ্ছে মূর্তি তৈরী করা ও তা পোড়ানো যা হিন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈদের নামাযের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাযের মতো নয়। যেমনঃ ঈদের দুই রাকায়াত নামাযে কোনো আযান, ইক্বামাত নেই। এতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর রয়েছে। সেগুলো আদায়ের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিম্নে সেই নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো :
পবিত্র ঈদের নামায আদায় করার পদ্ধতি
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার নিয়ত-
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلهِ تَعَالى رَكْعَتَىْ صَلوةِ الْعِيْدِ الْاَضْحى مَعَ سِتَّةِ تَكْبِيْرَات وَاجِبُ اللهِ تَعَالى اِقْتَدَيْتُ بِهذَا الْإِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَرُ.
বাংলায় নিয়ত করলে এভাবে করবে: মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষ্যে পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا اَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ كَتَبَ عَلَيْكُمُ الْـحَجَّ فَقَامَ حَضْرَتْ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَقَالَ اَفِيْ كُلَّ عَامٍ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَسَكَتَ حَتّٰى قَالَـهَا ثَلَاثًا قَالَ لَوْ قُلْتُهَا نَعَمْ لَوَجَبَتْ وَلَوْ وَجَبَتْ لَـمْ تَعْمَلُوْا بِهَا، اَوْ لَـمْ تَسْتَطِيْعُوْا اَنْ تَعْمَلُوْا بِـهَا، اَلْـحَجُّ مَرَّةً، فَمَنْ زَادَ فَتَطَوُّعٌ.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
ওযু ব্যতীত তাওয়াফ করলে তার হুকুম কি?
জাওয়াব:
ওযু ব্যতীত তাওয়াফে কুদূম ও তাওয়াফে বিদা করলে ছদকা ওয়াজিব। আর অপবিত্র অবস্থায় তাওয়াফে কুদূম অথবা তাওয়াফে বিদা করলে একটি ছাগল দম দিতে হবে।
আর ওযু ব্যতীত তাওয়ারফে যিয়ারত করলে একটি ছাগল দম হিসেবে দিতে হবে। আর অপবিত্র অবস্থায় তাওয়াফে যিয়ারত করলে একটি উট দম হিসেবে দিতে হবে। তবে পুনরায় তাওয়াফ করা উত্তম। আর পুনরায় তাওয়াফ করলে দম দেয়া ওয়াজিব হবে না।
সুওয়াল:
তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করা কি? তা যদি নির্দিষ্ট সময় আদায় না করে তার হুকুম কি?
জাওয়াব:
তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করা ফরয। তা যদি নির্দ বাকি অংশ পড়ুন...
পানি পাওয়া সত্ত্বে ও যেসব ক্ষেত্রে তাইয়াম্মুম জায়িয:
যেসব দ্বীনি কাজে বা ইবাদতে ত্বহারাত শর্ত নয়, সে সকল কাজে পানি পাওয়া সত্ত্বে¡ও তাইয়াম্মুম জায়িয। যেমন-
১. মসজিদে প্রবেশ করার জন্য,
২. পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ পড়া ও লিখার জন্য,
৩. দ্বীনি ইলিম শিক্ষা দিতে বা শিক্ষা করতে,
৪. কবর যিয়ারত করতে,
৫. রোগীকে দেখতে, ৬. মৃত্যু ব্যক্তিকে দাফন করতে,
৭. সালাম দেয়া ও তার জাওয়াব দেয়ার জন্য,
৮. ঘুমের জন্য ও ঘুম থেকে উঠে,
৯. নাপাক অবস্থায় কোনো কিছু খেতে,
১০. আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থানের জন্য,
১১. মৌখিক খুতবা পড়ার জন্য,
১২. ছাফা-মারওয়া দৌড়াতে,
১৩. উটে বাকি অংশ পড়ুন...












