মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনূ কুরাইজা উনার জিহাদ মুবারক:
হযরত আবূ লুবাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নিজেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার খুঁটির সাথে বাঁধা প্রসঙ্গে:
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত যে, হযরত আবূ লুবাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَخُونُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ وَتَخُونُوا أَمَانَاتِكُمْ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
অর্থ: বাকি অংশ পড়ুন...
মুনাফিক্ব বিশরকে হত্যা:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ حَتّٰى يُحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوْا فِيْ أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا
অর্থ: “আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! তারা কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আপনাকে তাদের সমস্ত বিষয়ে ফয়সালাকারী হিসেবে মেনে না নিবে। তাদের অন্তরে কোনোরূপ সংকীর্ণতা অনুভব করবে না। অতঃপর তারা আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফয়সালা মুবারক উনাকে বিনা চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বালে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মেনে না নিবে। ” ( বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন একজন আরব কবি। উনাকে অল্প বয়সী ছাহাবীদের মধ্যে গণ্য করা হয়। একজন সম্ভ্রান্ত বংশোদ্ভূত ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারণে তিনি গোত্রের নেতা ছিলেন। একজন অশ্বারোহী এবং একজন কবি হিসাবে উনার খ্যাতি ছিলো।
জাহিলিয়াতের যুগেও তিনি নিজের জন্য মদ্যপান হারাম করেছিলেন। পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পূর্বেই তিনি সম্মানিত ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। উনার গোত্রের তিন শত সওয়ারী নিয়ে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে আগমন করেন এবং সম্মানিত ই বাকি অংশ পড়ুন...
আবূ আফাক:
তাদের এই কথার জবাবে হযরত নাহদিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি নিম্নোক্ত কবিতা পাঠ করেন-
تُكَذّب دِينَ اللّهِ وَالْمَرْءَ أَحْمَدَا ... لَعَمْرُ الّذِي أَمْنَاكَ إذْ بِئْسَ مَا يُمْنَى
حَبَاك حَنِيفٌ آخِرَ اللّيْلِ طَعْنَةً ... أَبَا عَفَكٍ خُذْهَا عَلَى كِبَرِ السّنّ
فَإِنّي وَإِنْ أَعْلَمْ بِقَاتِلِك الّذِي ... أَبَاتَك حِلْسَ اللّيْلِ مِنْ إنْسٍ اوْ جِنّي
‘তুমি মহান আল্লাহ পাক উনার দ্বীনকে মিথ্যা বলো এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দম্ভভরে অস্বীকার করো। সেই মহান সত্তা উনার ক্বসম, যিনি তোমাকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন, কি নিকৃষ্ট সেই নিরাপত্তা।
রাত্ বাকি অংশ পড়ুন...
আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে হত্যা:
যেসব মুশরিকরা আমর ইবনে আব্দে উদ্দের পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলো, আমর ইবনে আব্দে উদ্দের ধরাশায়ী হওয়ার দৃশ্য দেখে তাদের অন্তরে এতটাই ভয়-ভীতি সৃষ্টি হলো যে, তারা নিজেদের অজান্তেই লাগাম ধরে নিজেদের ঘোড়াগুলোকে পরিখার দিকে চালনা করলো এবং একমাত্র নওফেল ছাড়া তাদের সবাই তাদের নিজেদের সেনাশিবিরে ফিরে গেলো। নওফেলের ঘোড়া পরিখার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলো এবং সে নিজেও মাটিতে পড়ে গিয়ে কঠিন আঘাত পেয়েছিলো। পরিখার নিকট দায়িত্বরত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা তার দিকে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকলেন, তাই সে চ বাকি অংশ পড়ুন...
আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে হত্যা:
অন্য বর্ণনায় রয়েছেন, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে বললেন, ‘তুমি না মহান আল্লাহ পাক উনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছো যে, যদি সম্মানিত কুরাইশ উনাদের কোনো ব্যক্তি তোমাকে বন্ধুত্বের দিকে আহ্বান করে তবে তুমি তা গ্রহণ করবে।’ সে বললো, ‘হ্যাঁ; আমি তা বলেছি।’ তিনি বললেন, ‘তাহলে শুনো-
فأنا أدعوك إلى الله وإلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وإلى الإسلام فقال لا حاجة لي بذلك
‘আমি তোমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র র বাকি অংশ পড়ুন...
ফযীলত ও বুযূর্গী:
হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মক্কা শরীফ বিজয়ের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাজীদের পানি পান করানোর বংশীয় দায়িত্বটি উনাকে প্রদান করেন।
হুনাইনের জিহাদে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একই বাহনে আরোহী ছিলেন। এই জিহাদে তিনি খুবই বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন এবং স্বীয় উচ্চ আওয়াজে যুদ্ধের গতি পাল্টিয়ে দিয়েছিলেন।
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নূরে বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ حَدَّثَ بِحَدِيثٍ وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ
অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করে (ছহীহ বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই) অভিমত পোষণ করে যে, এই হাদীছ শরীফখানা মওজু বা মিথ্যা সে ব্যক্তি মিথ্যাবাদীদের অর্ন্তভুক্ত। (মুসনাদে আহমদ ৪/২৫৫: হাদীছ শরীফ নং ১৮২৬৬, শরহুস সুন্নাহ ১/২৬৬: হাদীছ শরীফ নং ১২৩, মুসনাদে আবু যায়িদ ১/৩০৬: হাদীছ শরীফ নং ২০৬৭, শুয়াবুল ঈমান-মুকাদ্দিমা ১/৮৪, তাফসীরে ইবনে কাছীর ২/৩৬৬)
অ বাকি অংশ পড়ুন...
এক বুযূর্গ ব্যক্তি, মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী, বুযূর্গ ছিলেন। সেই দেশের যে বাদশাহ ছিলো, সে উক্ত বুযূর্গ বা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীর মুরীদ ছিলো। তিনি নছীহত করতেন, তা’লীম দিতেন। বাদশাহও প্রায় সময় তার পীর সাহেব অর্থাৎ সেই ওলীআল্লাহ বা বুযূর্গ ব্যক্তির খানকা শরীফে আসতো। এসে নছীহত হাছিল করে তা’লীম নিয়ে যেতো। একদিন সেই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, বুযূর্গ ব্যক্তি তিনি নছীহত করলেন যে, মানুষের অন্তরের মধ্যে দুনিয়ার মুহব্বত বেশী হয়ে গিয়েছে। মানুষ দুনিয়াতে গরক (মশগুল) থাকার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে গাফিল হয়ে গিয়েছে। তবে ক বাকি অংশ পড়ুন...
ফাতাহ বা ফাতহুন (فتح) আরবী শব্দ। শাব্দিক অর্থ বিজয়। যে নূর মুবারক উনার উছিলায় বিজয় অর্জিত হয়, উনাকে নূরুল ফাতাহ মুবারক হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যা চুল নামে অভিহিত হয়, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে তা ‘নূরুল ফাতাহ মুবারক’ নামে সম্বোধন করতে হবে। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ عَبْد الْحَمِيدِ بْن جَعْفَرٍ رحمة الله عليه عَنْ أَبِيهِ أَنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ رَضِىَ الله تَعَالى عَنْهُ فَقَدْ قَلَنْسُوَةً لَهُ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ فَقَالَ اطْلُبُوهَا فَلَمْ يَجِدُوهَا ثُمَّ طَلَبُوهَا فَوَجَدُوهَا বাকি অংশ পড়ুন...
আব্দুল্লাহ ইবনে ক্বামীয়াহর চরম পরিণতি:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে- পবিত্র উহুদ যুদ্ধ থেকে আব্দুল্লাহ ইবনে কামিয়াহ পবিত্র মক্কা শরীফে ফিরে আসে। এরপর সে তার মেষপালের খোঁজে পাহাড়ের দিকে যায়। কারণ, তার মেষপাল পাহাড়ে চড়তো। সে দেখতে পায়, মেষপাল পাহাড়ের চূড়ায় চড়ছে। সে পাহাড়ের চূড়া বেয়ে উঠে মেষের পাল তাড়িয়ে আনতে গেলে হঠাৎ করে শক্তিশালী একটা ছাগল তাকে শিং দিয়ে প্রচ- জোরে গুঁতা মারে। গুঁতার ধাক্কা সামলাতে না পেরে সে মাটিতে পড়ে যায়। সে আর মাটি থেকে উঠতে সক্ষম হয়নি। ছাগলটি তাকে একের পর এক গুঁতা মারতে থাকে, আর সে গড়াতে গড়াতে নিচে পড়তে থাকে। ত বাকি অংশ পড়ুন...
অর্থাৎ কিছু মুনাফিক ও কাফির, মুশরিক তারা চু-চেরা কীল-কাল করতো যে, উনারা দুনিয়া তালাশী। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! যা কাট্টা কুফরী কথা। এখানে বলা হয়ে থাকে, উনাদের ভাতা মুবারক বৃদ্ধি করার জন্য উনারা বলেছিলেন। আসলে উনাদের জন্য না। উনাদের হাতে যা থাকতো উনারা তা দান-খয়রাত করে শেষ করে দিতেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারকে ওয়াক্বিয়া বর্ণিত রয়েছে। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রত্যেকের শান মুবারকে ওয়াক্বিয়া মুবারক রয়েছ বাকি অংশ পড়ুন...












