বংশীয় পবিত্রতা মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
অর্থ: (আমার হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: আয়াত শরীফ ২১৯)
‘তাফসীরে কবীর শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
فَالْاٰيَةُ دَالَّـةٌ عَلـٰى اَنَّ جَمِيعَ ابَاءِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانُوْا مُسْلِمِيْنَ.
অর্থ: এই আয়াত শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্রদের মধ্য হতে একজন ছাত্র খুব ভাল ছিলো, যে খুব মেধাবী ও সমঝদার ছিলো। সে ছাত্রটাকে তিনি একদিন মাদরাসা বা দর্সগাহ থেকে বের করে দিলেন। যখন বের করে দেয়া হলো, তখন অন্যান্য ছাত্র যারা ছিলো, তারা হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রোবের কারণে, উনাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করতে সাহস পেলো না, চুপ করে রইলো। কিন্তু তারা মনে মনে ফিকির করলো, এই ছেলেটা ছাত্র হিসেবে খুবই ভাল, তাকে কেন বের করে দেয়া হলো। অবশ্যই এটার কারণ জানতে হবে। কোন এক অবসর সময় অন্য এক বিশিষ্ট ছাত্র, হযরত ইমাম আহমদ বি বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ থেকে মুখ ঢেকে পর্দা করা ফরয হওয়ার দলীল:
(১৮)
পর-নারীর সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টিকারী জাহান্নামী :
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ رَسُول اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ نَظَرَ إلَى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ أَجْنَبِيَّةٍ عَنْ شَهْوَةٍ صُبَّ فِي عَيْنَيْهِ الْآنُكُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-
অর্থ: মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি পর-নারীর সৌন্দর্যের প্রতি কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় দৃষ্টি করলো, কিয়ামতের দিন তার দু’চোখে গলিত সীসা বাকি অংশ পড়ুন...
হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ক্বওল শরীফ:
হযরত ইমাম যারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন-
وقال الامام قسطلانى قد ثبت ان الانبياء يحجون ويلبسون فان قلت كيف يصلون ويحجون ويلبون وهم اموات فى الدار وليست دار عمل فالجواب انهم كالشهداء بل افصل منهم والشهداء احياء عند ربهم يرزقون فلايبعد ان يحجوا ويصلوا
অর্থ: ইমাম কুসতলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নিশ্চয়ই একথা প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের রওযা শরীফে পবিত্র হজ্জ করেন, পবিত্র তালবিয়া পড়েন। যদি প্রশ্ন করা হ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মুহম্মদ ইবনুল হুসাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাঁদীর মৃত্যুতে খুবই দুঃখিত হলেন। তার কাফন-দাফনের ব্যবস্থার জন্য তিনি বাজারে গেলেন। ফিরে এসে দেখেন তার কাফন পড়ানো হয়ে গেছে, আতর-গোলাপ লাগানো হয়েছে। তার দেহ দু’টি সবুজ রংয়ের বেহেশতী চাদরে ঢাকা। এতে দু’ছতরে দু’টো কথা লিখা আছে। প্রথমে লিখা আছে-
لا اله الا الله محمد رسول الله
তারপর লিখা আছে-
الا ان اولياء الله لا خوف عليهم ولا هم يحزنون.
হযরত ইবনুল হুসাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বন্ধুবর্গকে নিয়ে তার জানাযা এবং দাফন শেষে পবিত্র সূরা ইয়াসীন শরীফ পাঠ করে বাড়ী ফিরে এলেন। বাড়ী ফিরে তিনি দু’রাকাত নাম বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ رَسُول اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ نَظَرَ إلَى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ أَجْنَبِيَّةٍ عَنْ شَهْوَةٍ صُبَّ فِي عَيْنَيْهِ الْآنُكُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-
অর্থ: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি পর-নারীর সৌন্দর্যের প্রতি কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় দৃষ্টি করলো, কিয়ামতের দিন তার দু’চোখে গলিত সিসা ঢেলে দেয়া হবে।
(বাহরুর রায়িক-৮/২১৮, নাছবুর রা-ইয়াতি লিয-যাইলায়ী-৪/২৪০, ফতহুল ক্বদীর-১০/২৫, দুরারুল হুক্কাম শরহু গুরারিল আহকাম-১/ বাকি অংশ পড়ুন...
মামলুক সালতানাতের সময় মাদরাসা কার্যক্রমের সিংহভাগই ছিলো শরীয়াহকেন্দ্রীক। সহযোগী হিসেবে নাহু, সরফ, লোগাহ ইত্যাদিও পড়ানো হতো। যেমন কেউ যদি তাফসির বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে চায়, তাকে অবশ্যই আরবি ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করতে হবে। নাহু সরফ বুঝতে হবে। অন্যান্য বিষয়েও পারঙ্গম হতে হবে। এসব ইলম ছাড়া তাফসীর বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য তাফসীরের সহযোগী হিসেবে এসব বিষয় ছাত্রদের পড়ানো হতো। ইলমে শরীয়ার অন্যান্য বিষয়গুলোর জন্যও এসব সহযোগী ইলমের সমান প্রয়োজন পড়তো। সেজন্য উলুমে শরিয়ার পাশাপাশি এ বিষয়গুলোও ছাত্রদের শেখানো হতো।
তখন ইলম বাকি অংশ পড়ুন...
ফরজ থেকে অতিরিক্ত যে ইলিম রয়েছে, তা সকলের জন্য নয়। তা ব্যক্তি বিশেষের জন্য, অর্থাৎ ব্যক্তি বিশেষকে ফরজের অতিরিক্ত ইলিম দিতে হবে। অন্যথায় সে ইলিমের অপব্যবহার করবে। যার ফলশ্রুতিতে সে নিজেও গোমরাহ হবে, মানুষকেও সে গোমরাহ করবে। যা হয়েছে অতীতে, বর্তমানে হচ্ছে, সামনে হবে। অপাত্রে ইলিম দান করলে সে তার অপব্যবহার করবে। যার ফলশ্রুতিতে সে নিজেও গোমরাহ হবে, মানুষকেও গোমরাহ করবে।
এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি খুব পরহেযগার ও মুত্তাক্বী ছিলেন, যেটা বলার অপেক্ষাই রাখেনা। পূর্ববর্তী যামানায় প্রত বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই যিনি হাক্বীক্বী আলিম হবেন, উনার এই গুণগুলি থাকতে হবে- দুনিয়া থেকে বিরাগ হতে হবে, আখেরাতের প্রতি ঝুঁকে থাকতে হবে, গুণাহ্র প্রতি সতর্ক থাকতে হবে, ইবাদতের মধ্যে সবসময় মশগুল থাকতে হবে, সুন্নতের পাবন্দ হতে হবে, মাথার তালু থেকে পায়ের তলা। মুসলমানদের সম্ভ্রম নষ্ট করা যাবে না, সম্পদের প্রতি লোভ করা যাবে না এবং সব সময়েই মানুষকে নছীহত করার মধ্যে থাকতে হবে, তাহলে উনি হবেন হাক্বীক্বী আলিম। যেটা
إِنَّمَا يَخْشَى اللهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
.এর ব্যাখ্যার অন্তর্ভুক্ত। কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তিকেই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য মহান আল্লাহ পাক ত বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুজ জামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সকল ফিক্বাহ ও ফতওয়ার কিতাবে একথাই উল্লেখ আছে যে, উলামায়ে মুতাকাদ্দিমীন অর্থাৎ পূর্ববর্তী ফক্বীহ উনাদের মতে সকল ইবাদতের বাকি অংশ পড়ুন...












