সুওয়াল:
কিছু বাতিল ফিরকা বের হয়েছে তারা প্রচার করে বেড়াচ্ছে, যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, আমাকে তোমরা যেভাবে নামায পড়তে দেখেছো সেভাবে নামায আদায় করো। তাছাড়া বাজারে বদ আক্বীদা ও বাতিল ফিরক্বার কিছু বইপত্র বের হয়েছে যাতে লিখা হয়েছে, ‘পুরুষ ও মহিলার নামায আদায়ের পদ্ধতি একই রকম। কোনরূপ প্রভেদ বা পার্থক্য নেই। ’ এ বিষয়ে সঠিক ফায়ছালা কি হবে?
জাওয়াব:
বাতিল ফিরকার উক্ত বক্তব্য এবং লেখা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ তথা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ইমাম ও ফক্বীহ্গণের মত ও পথের স বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সুন্নতী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা সুন্নতী পণ্যের ব্যবসা করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব: (৫ম অংশ) * শিমলা: মাথায় পাগড়ী বাধার সময় পাগড়ীর যে অংশটুকু ঘাড়ের দিকে ঝুলিয়ে রাখা হয় তাকে শিমলা বলা হয়। শিমলা চার আঙ্গুল থেকে ১ হাত হওয়া বাঞ্চনীয় এবং তা দু’কাঁধের মধ্যখানে ঝুলিয়ে রাখা উত্তম। শিমলা ছাড়া পাগড়ী পরিধান করা বিজাতীয় লক্ষণ।
* সুন্নতী রুমাল: পাগড়ীর উপর সাদা রুমাল ব্যবহার করা পবিত্র সুন্নত মুবারক। পবিত্র রুমাল পরিধান করার তরতীব হচ্ছে- পাগড়ীর উপর মাঝ বরাবর রাখতে হবে। অতঃপর সুন্নতী রুমালের ডানপাশ বাম কাঁধের উপর দিয়ে নীচের দিক বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
হজ্জের ফরজ কয়টি ও কি কি?
জাওয়াব:
হজ্জের ফরজ হচ্ছে- ৩টি।
(১) ইহরাম বাঁধা অর্থাৎ মীকাত হতে ইহরাম বাঁধা।
(২) ওকুফে আরাফা অর্থাৎ ৯ই জিলহজ্জের দ্বিপ্রহরের পর হতে অর্থাৎ সূর্য ঢলার পর হতে ১০ই জিলহজ্জ সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত যে কোন সময় আরাফার ময়দানে উপস্থিত থাকা।
(৩) তাওয়াফে জিয়ারত অর্থাৎ ১০, ১১ ও ১২ই জিলহজ্জ তারিখের মধ্যে কা’বা শরীফ তাওয়াফ করা।
সুওয়াল:
হজ্জের মধ্যে ওয়াজিব কি কি?
জাওয়াব:
হজ্জের মূল ওয়াজিব ৫টি।
(১) সাফা মারওয়া পাহাড়ের সাঈ করা।
(২) মুজদালিফায় অবস্থান।
(৩) রমী বা কঙ্কর নিক্ষেপ করা।
(৪) মাথা মুন্ডন করা।
(৫) তাওয় বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অন্যতম ছাত্র, ছিয়াহ সিত্তাহ্র অন্যতম ইমাম হযরত আবূ ঈসা তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “সুনানে তিরমিযী শরীফে” পবিত্র তারাবীহ্ নামায উনার রাকায়াত সংখ্যা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন-
قال الترمذى رحمة الله عليه واكثر اهل العلم على ما روى عن حضرت الفاروق الاعظم عليه السلام و حضرت امام الاول كرم الله وجهه عليه السلام وغيرهما من اصحاب النبى صلى الله عليه وسلم عشرين ركعة وهو قول الثورى وابن المبارك والشافعى وقال هكذا ادركت الناس بمكة يصلون عشرين ركعة.
অর্থ: ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া স বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصّـِدِّيْقَةِ عَلَيـْهَا السَّلَامُ قَالَتْ كُنْتُ اَنَامُ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَاىَ فِي قِبْلَتِهٖ فَاِذَا سَجَدَ غَمَزَنِـىْ فَقَبَضْتُّ رِجْلَىَّ وَاِذَا قَامَ بَسَطْـتُّهُمَا
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে ঘুমিয়ে থাকতাম আর আমার মহাসম্মান বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصّـِدِّيْقَةِ عَلَيـْهَا السَّلَامُ اَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ اَكُوْنُ نَائِمَةً وَّرِجْلَاىَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلّـِىْ مِنَ اللَّيْلِ فَاِذَا اَرَادَ اَنْ يَّسْجُدَ ضَرَبَ رِجْلَىَّ فَقَبَضْتُّهُمَا فَسَجَدَ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ঘুমিয়ে থাকতাম। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাহ্ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহা বাকি অংশ পড়ুন...
একটি কথা বলা জরুরী, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قَدْ مُنِعَ صِيَامُ خَمْسَةِ اَيَّامٍ يَوْمُ الْعِيْدِ الْفِطْرِ وَ عِيْدِ الْاَضْحٰي وَ ثَلَاثَةِ اَيَّامٍ بَعْدَه
অর্থ : পাঁচদিনে রোযা রাখা নিষেধ করা হয়েছে, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আদ্বহা এবং ঈদুল আদ্বহার পরের তিনদিন”।
আরো বর্ণিত আছে-
قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَصُوْمُوْا لِهذِه الْاَيَّامِ فَاِنَّهَا اَيَّامُ اَكْلٍ وَشُرْبٍ وَبِعَالٍ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন “তোমরা এই দিনগুলোতে রোযা রাখবে না। কেননা নিশ্চয়ই এই দিনগুলো পানাহার এবং হা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র যিলহজ্জ্ব শরীফ উনার চাঁদ উঠার পর যা করণীয়:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحٰي عِيْدًا جَعَلَهُ اللهُ لِهٰذِهِ الْأُمُّةِ قَالَ لَه رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا مَنِيْحَةً أُنْثٰى أَفَأُضْحِيَّ بِهَا قَالَ لَا وَلٰكِنْ خُذْ مِنْ شَعْرِكَ وَأَظْفَارِكَ وَتَقُصَّ شَارِبَكَ وَتَحْلِقُ عَانَتَكَ فَذٰلِكَ تَمَامُ أُضْحِيَّتِكَ عِنْدَ اللهِ (ابو داود شريف)
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদেরকে মুহব্বত ও অনুসরণ-অনুকরণ করার কথা খোদ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে, উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ও উলিল আমরগণ উনাদেরকে অনুসরণ করো। ’ আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদেরকে মুহব্বত করো। ক বাকি অংশ পড়ুন...
এ কথা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে আসমানী ইলমই সমস্ত ইলমের মূল। আসমানী ইলম হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমেই প্রকাশিত-প্রসারিত হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে ইমামুস্ সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন পৃষ্ঠপোষক। উনারই মাধ্যমে ইলমের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা প্রসারিত হয়েছে।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস্ সালাম তিনি পবিত্র ক্বদরিয়া তরীক্বা উনার অন্যতম কা-ারী। আবার পবিত্র নকশবন্দিয়ায়ে মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বাও উনারই মুবারক উসীলায় শক্তিশালী হয়েছে। বলা হয়, সাইয়্যিদুনা হ বাকি অংশ পড়ুন...












