ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত কোনো কথা মুবারক বলেননি, কোনো কাজ মুবারক করেননি বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (الإبل) বা উট মুবারক ছিলেন ৪টি। যথা-
(১) ‘ক্বাছওয়া’ (الْقَصْوَاءُ)। যাতে সাওয়ার হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের সফরে গমন করেন এবং পবিত্র বিদায় হজ্জের সময় পবিত্র আরাফার ময়দানে খুতবা মুবারক দেন। (বুখারী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৪৪০০; তিরমিযী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৩৭৮৬)
(২) ‘আযবা’ (الْعَضْبَاءُ) ও (৩) ‘জাদ‘আ’ (الْجَدْعَاءُ) নামে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আরও দু’টি উষ্ট বাকি অংশ পড়ুন...
(১)
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক| সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক|
হিজরি সনের তৃতীয় মাস হলো মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ|
‘রবী’ আর ‘আউয়াল’ যুক্ত হয়ে রবীউল আউওয়াল| শব্দ দু’টি আরবী| ‘রবী’ শব্দের অর্থ হলো বসন্ত, আর ‘আউয়াল’ শব্দের অর্থ প্রথম| তাহলে রবীউল আউওয়াল শব্দের অর্থ দাঁড়ায় প্র বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুয যুফাফ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “আমরা যখন হাবশাহ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ তাশরীফ মুবারক নেই, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খায়বরে অবস্থান মুবারক করছিলেন। কেউ কেউ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গিয়েছেন।
وأقمت بالمدينة حتى قدم النبي صلى الله عليه وسلم فدخلت عليه
‘আর আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে স বাকি অংশ পড়ুন...
কুরাঈশ কাফিরদের অত্যাচার যখন চরমে, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে আবিসিনিয়ায় হিজরত মুবারক করার অনুমতি প্রদান করেন।
১১ জন পুুরুষ ও ৪ জন মহিলা- এই ১৫ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের একটি কাফেলা আবিসিনিয়ায় প্রথম গমন করেন। এটা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম হিজরত। জেদ্দা থেকে মাথা পিছু তখনকার ৮ আনা ভাড়ায় নৌকা যোগে উনারা আবিসিনিয়ায় পৌঁছেন।
উক্ত দলে বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গাঢ় খয়েরী রঙের চামড়ার তৈরী মোজা মুবারক পরিধান করেছেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত ইবনে বুরায়দা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন-
ان حضرت النجاشى رحمة الله عليه اهدى الى رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خفين اسودين ساذجين فلبسهما ومسح عليها.
অর্থ: নিশ্চয়ই হাবশার বাদশাহ নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মুবারক খিদমতে গাঢ় খয়েরী রঙের সাদামাটা বাকি অংশ পড়ুন...
আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার ৫ম সালের কথা। মুশরিকরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের উপর যুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাদের অভিপ্রায় ছিলো এর মাধ্যমে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। না‘ঊযুবিল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কিছু সংখ্যক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে হাবশায় (আবিসিনিয়ায়) হিজরত মুবারক করার অনুমতি মুবারক দেন। ওই সময় হাবশার বাদশাহ ছিলেন নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
وَجَاءَ مِصْدَاقُ ذٰلِكَ فِـىْ قِصَّةِ النَّجَاشِىِّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ لَمَّا سَـمِعَ مِنْ حَضْرَتْ جَعْفَرٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰـى عَنْهُ عَنْهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَـقَالَ اَشْهَدُ اَنَّهٗ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاَنَّهُ الَّذِىْ نَـجِدُ فِـى الْاِنْـجِيْلِ وَاَنَّهُ الَّذِىْ بَشَّرَ بِهٖ حَضْرَتْ عِيْسَى بْنُ مَرْيَـمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَا قَالَهٗ اَيْضًا وَاللهِ لَوْلَا مَا اَنَا فِيْهِ مِنَ الْمُلْكِ لَاَتَـيْـتُهٗ حَتّٰـى اَكُوْنَ اَنَا اَحْـمِلُ نَـعْلَيْهِ وَاُوَضِّئُهٗ
অর্থ: “এর প্রমাণ আবিসিনিয়ার বাদশা হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ঘটনা মুবারক-এ রয়েছেন। যখন তিনি হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্ বাকি অংশ পড়ুন...












