এ আয়াত প্রসঙ্গে বলা হয়, আয়াত শরীফ যখন নাযিল হলো; নাযিল হওয়ার পর আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনাকে প্রথম ডেকে বললেন, “হে হযরত উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম! আপনাকে একটা বিষয় বলা হবে। তাড়াহুড়া করে কোন জবাব দিবেন না। আপনি আপনার পিতা-মাতা যারা রয়েছেন, উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জবাব দিবেন। ”
তখন হযরত উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম বললেন, “অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল ছল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
জিন-ইনসানসহ যত মাখলূকাত রয়েছে, যাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন বা হাছিল করার জন্য। তারা যদি সেটা বুঝতে পারতো, তাহলে অবশ্যই তারা দুনিয়াবী জিন্দেগীকে প্রাধান্য না দিয়ে আখিরাত বা পরকালকেই প্রাধান্য দিতো।
সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন যে, হাক্বীক্বত দুনিয়াবী জিন্দেগী ক্রীড়া-কৌতুক এবং খেল-তামাশার মত এবং প্রকৃত জিন্দে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র সূরা হাশর শরীফ উনার ৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেনে তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। ”
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ -নির্দেশ মুবারক মেনে চলার কথা বলেছেন এবং তিনি যে বিষয়ে নিষেধ করেছেন তা থেকে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা মাঊন শরীফ উনার সংক্ষিপ্ত ছহীহ্ তাফসীর বা ব্যাখ্যা মুবারক
‘পবিত্র সূরা মাঊন শরীফ’ উনার প্রথমেই মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খুছূছিয়ত মুবারক বর্ণনা করেন তথা উনার ইল্ম মুবারক সম্পর্কে সমস্ত ক্বায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি মুত্তালা’ আলাল গইব অর্থাৎ ইলমে গইব উনার অধিকারী। যা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব ‘মুসলিম শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে যে, ‘আমাকে সৃষ্টির শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বাকি অংশ পড়ুন...
আক্বীদা সংক্রান্ত যেই ইলিম সেটা হাছিল করা ফরয-ওয়াজিব। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا آمِنُوا بِاللهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي أَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ وَمَنْ يَكْفُرْ بِاللهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا
হে ঈমানদারগণ!
آمِنُوا
তোমরা অবশ্যই ঈমান আনো।
بِاللهِ وَرَسُولِهِ
মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পা বাকি অংশ পড়ুন...
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী: মুসলমান দেশের ভূখন্ডের হিফাযতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুরুত্ব ও তাৎপর্র্য:
মুসলমানদের জানের নিরাপত্তা, মালের নিরাপত্তা, ঈমান-আমলের নিরাপত্তা ফরয, মুসলমান দেশের ভূখন্ডের নিরাপত্তা ফরয। দেশের আভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত একটি বাহিনী যার নাম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের আভ্যন্তরীন অপরাধ দমনে এই বাহিনী কাজ করে থাকে। বিশ্বের সকল মুসলিম দেশেই এই বাহিনীর কার্যক্রম রয়েছে। এই বাহিনী মূলত দেশের আভ্যন্তরীণ চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন-হত্যা, মারামারি, কাটাকাটি, রাহাজানি, ব্যভিচারী, অশ্লীলতা, মদ-গাঁজা, অর্থপাচার, মা বাকি অংশ পড়ুন...
১. ‘উম্মাহ্ যখন ইয়াযীদের ন্যায় শাসকের কবলে পড়েছে তখন দ্বীন ইসলাম তিনি বিদায় গ্রহণ করেছেন!’- মাওসূ‘আতু কালামাতিল্ ইমাম আল্-হুসাইন, পৃষ্ঠা ২৮৪
২. ‘অবশ্যই আমি বিছালী শান মুবারককে সৌভাগ্য এবং যালেমদের সাথে বেঁচে থাকাকে দুর্ভাগ্য ব্যতীত অন্য কিছু মনে করি না।’- বিহারুল আনওয়ার, ৪৪তম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৮১
৩. ‘তোমরা কি দেখতে পাচ্ছ না যে, সত্যের ভিত্তিতে কাজ করা হয় না এবং বাতিল থেকে বিরত থাকা হচ্ছে না? অতএব, (এহেন পরিস্থিতিতে) যথার্থভাবেই মু’মিনের উচিত তার মহান রব উনার সাথে সাক্ষাতের জন্য আগ্রহী হওয়া।’- মানাক্বিব : ইবনে শাহ আশূব, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠ বাকি অংশ পড়ুন...
একজন মুসলমান নর এবং নারী যদি খালিছ মুসলমান থাকতে চায়, ঈমানদার থাকতে চায়, মু’মিন হতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে হবে। আক্বীদা বিশুদ্ধ করা হচ্ছে ফরয। যার আক্বীদা শুদ্ধ নেই সে মু’মিন মুসলমান হিসেবে সাব্যস্ত হবে না। এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا آمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُولِهٖ وَالْكِتَابِ الَّذِيْ نَزَّلَ عَلٰى رَسُولِهٖ وَالْكِتَابِ الَّذِيْ أَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ وَمَنْ يَّكْفُرْ بِاللهِ وَمَلَائِكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيْدًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে ই বাকি অংশ পড়ুন...
যেটা স্থায়ী, সেটাকে অস্থায়ীর উপর প্রাধান্য দাও। তোমরা দ্বীনকে দুনিয়ার উপর অর্থাৎ পরকালকে ইহকালের উপর প্রাধান্য দাও। তাহলে তোমাদের জন্য রয়েছে, ইহকাল এবং পরকালের কামিয়াবী।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়- হযরত হারাম ইবনে হাব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একজন তাবেয়ী ছিলেন, একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ, মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ছিলেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ওয়ায়েস আল ক্বারনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম শুনেছেন। উনার মনে একটা আরজী ছিল, হযরত ওয়ায়েস আল ক্বারনী খাইরুত তাবেয়ীন, যিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পরে শ্রেষ্ বাকি অংশ পড়ুন...












