হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন একজন আরব কবি। উনাকে অল্প বয়সী ছাহাবীদের মধ্যে গণ্য করা হয়। একজন সম্ভ্রান্ত বংশোদ্ভূত ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারণে তিনি গোত্রের নেতা ছিলেন। একজন অশ্বারোহী এবং একজন কবি হিসাবে উনার খ্যাতি ছিলো।
জাহিলিয়াতের যুগেও তিনি নিজের জন্য মদ্যপান হারাম করেছিলেন। পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পূর্বেই তিনি সম্মানিত ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। উনার গোত্রের তিন শত সওয়ারী নিয়ে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে আগমন করেন এবং সম্মানিত ই বাকি অংশ পড়ুন...
ফযীলত ও বুযূর্গী:
হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মক্কা শরীফ বিজয়ের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাজীদের পানি পান করানোর বংশীয় দায়িত্বটি উনাকে প্রদান করেন।
হুনাইনের জিহাদে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একই বাহনে আরোহী ছিলেন। এই জিহাদে তিনি খুবই বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন এবং স্বীয় উচ্চ আওয়াজে যুদ্ধের গতি পাল্টিয়ে দিয়েছিলেন।
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নূরে বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক হলো, মাথার তালু থেকে পায়ের তলা, হায়াত থেকে মউত পর্যন্ত প্রত্যেক ক্ষেত্রে সম্মানিত সুন্নত মুবারক সূক্ষাতিসূক্ষ্ম-পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণ করা।
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার মাক্বাম সর্বোচ্চ। মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার মাধ্যমেই সর্বপ্রকার নেয়ামত মুবারক হাছিল করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক ও উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবা বাকি অংশ পড়ুন...
কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা যদি কোন সময় বাহ্যিক দৃষ্টিতে শরীয়তের খেলাফ আমল করেন বা করার নির্দেশ দেন তাহলে বুঝতে হবে যে তাতে কোন হিকমত বিদ্যমান। যার শেষ পরিণতি উত্তম।
হযরত ইসমাইল হাক্কী বারূসুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে রূহুল বয়ানে” একথাই উল্লেখ করেছেন-
وغاية بان كل ماصدر عنه فله حكمة حميدة البتة وهذا من اداب المتعلم مع العالم والتابع مع المتبوع.
অর্থ: “উনার (পীর ও মুর্শিদ) থেকে যা প্রকাশ পায় তাতে হিকমত রয়েছে এবং শেষ পরিণতি উত্তম প্রশংসনীয়। আর এটাই হচ্ছে শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষকের বা সালিকের (মুরীদের) জন্য শায়েখউনা র (পীর বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় পবিত্র কালাম পাক উনার অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে বান্দা-বান্দীদের কাজ-কর্ম সম্পাদন করার ব্যাপার তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করেছেন। বরং চিন্তা-ভাবনা করে ধীরস্থিরতা ও সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ মুবারক করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْاٰنِ
অর্থ : পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করো না। (পবিত্র সূরা ত্বহা : আয়াত শরীফ ১১৪)
স্মরণীয় যে, পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ উনাদের নুযূল খাছ কিন্তু হুকুম ‘আম (ব্যাপক) অর্থাৎ কিয়ামত পর্যন্ত। এছাড়া বাকি অংশ পড়ুন...
যারা সম্মানিত তরীক্বা মশক্ব করেন বা সম্মানিত ইলমে তাছাওউফ চর্চা করেন উনাদের স্বীয় হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওযীফা দেয়া হয়ে থাকে। বিশেষ করে সব তরীক্বাতেই পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করার ওযীফা দেয়া হয়। এটা বিভিন্ন তরীক্বাভেদে ১০০/২০০/৫০০/১০০০ বার এমনকি অনেক তরীক্বায় দিনে দশ হাজার বার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করারও ওযীফা রয়েছে।
পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সিলসিলাভুক্ত যারা রয়েছেন উনাদেরকে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বাদ ফজর ১০০ বার এবং বাদ ইশা ১০০ বার মোট দ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُوْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ حَدَّثَتْهُ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـمْ يَكُنْ يَتْرُكُ فِىْ بَيْتِهِ شَيْئَا فِيْهِ تَصَالِيْبُ اِلَّا نَقَضَهُ
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় পবিত্র হুজরা শরীফ-এ (প্রাণীর) ছবিযুক্ত কোনো জিনিসই রাখতেন না। দেখলেই ভেঙ্গে চূর্ণ করে দিতেন। (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বা বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
فَاِنْ اٰمَنُوْا بِـمِثْلِ مَا اٰمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا.
অর্থাৎ আপনারা অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেরূপ ঈমান মুবারক এনেছেন তদ্রƒপ যদি তারা (অন্য লোকেরা) ঈমান মুবারক গ্রহণ করতে পারে তাহলে তারা হিদায়েত মুবারক লাভ করতে পারবে। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ : আয়াত শরীফ ১৩৭)
এ লিখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনা বাকি অংশ পড়ুন...
বংশীয় পবিত্রতা মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
অর্থ: (আমার হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: আয়াত শরীফ ২১৯)
‘তাফসীরে কবীর শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
فَالْاٰيَةُ دَالَّـةٌ عَلـٰى اَنَّ جَمِيعَ ابَاءِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانُوْا مُسْلِمِيْنَ.
অর্থ: এই আয়াত শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বলেন, সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার একপর্যায়ে-
أَقْبَلَ الرَّجُلُ الَّذِي ضَرَبَ ابْنِي فَقَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا ضَارِبُ ابْنِكِ قَالَتْ فَأَعْتَرِضُ لَهُ فَأَضْرِبُ ساقه فبرك قالت فرأيت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَبَسَّمُ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ
অর্থ: “আমার সন্তান উনাকে যেই কাট্টা কাফির আঘাত করেছে সে অগ্রসর হয়ে সামনে আসছিলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...












