৪০. প্রসঙ্গ : হালকী নফল বসে পড়াই সুন্নত এবং বসে আদায় করার মধ্যেই বেশী ফযীলত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : বিতরের পর দু’রাকায়াত নফল নামায বসে না পড়ে দাঁড়িয়ে পড়লেই ছওয়াব বেশি। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : বিতরের পর দু’রাকায়াত নফল নামায বসে বসে পড়াই বেশী ছওয়াব। কারণ তা বসে পড়াই হচ্ছে খাছ সুন্নত। কেননা, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হালকী নফল বসেই আদায় করতেন। সুতরাং হালক্বী নফল বসে আদায় করাই সুন্নত এবং বসে আদায় করার মধ্যেই বেশী ফযীলত।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসি বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৩৭. প্রসঙ্গ: শরীয়তে উমরী ক্বাযা নামায অবশ্যই রয়েছে
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: শরীয়তে উমরী ক্বাযা বলতে কোন ক্বাযা নামায নেই। তাই উমরী ক্বাযা আদায় করা বিদয়াত ও নাজায়িয।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: শরীয়তে উমরী ক্বাযা অবশ্যই রয়েছে। ফিক্বাহ্র বড় বড় সব কিতাবেই দু’প্রকার ক্বাযা নামাযের কথা উল্লেখ আছে। (১) ক্বাযায়ে আদা। অর্থাৎ যে ক্বাযা নামায সম্পর্কে নিশ্চিত জানা রয়েছে। (২) ক্বাযায়ে উমরী। অর্থাৎ যে ক্বাযা নামায সম্পর্কে নিশ্চিত জানা নেই। অর্থাৎ ক্বাযা থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে। তাক্বওয়ার জন্যে উমরী ক্বাযা আদায় কর বাকি অংশ পড়ুন...
৩৪. প্রসঙ্গ: তাহাজ্জুদ নামায
জামায়াতে আদায় করা বিদ্য়াত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: তাহাজ্জুদ নামাযসহ অন্যান্য নফল নামায জামায়াতে আদায় করা জায়িয। তাই তারা বিশেষভাবে রমযান মাসে তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে আদায় করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: তারাবীহ্, ছলাতুল ইস্তিস্কা ও ছলাতুল কুসূফ, এই তিন প্রকার নামায ব্যতীত কোন সুন্নত বা নফল নামাযই জামায়াতে আদায় করা জায়িয নেই। বরং ফক্বীহ্গণ উনাদের মতে তা মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়্যাহ্।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৭, ১৩, ১৪, ৩১, ৪১, ৫৩, ৭০ ও ৮২ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৩১. প্রসঙ্গ: পর্দা করা ফরয, বেপর্দা হওয়া হারাম
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: বাতিলপন্থীরা পর্দাকে কোনই গুরুত্ব দেয়না; তার প্রমাণ “চার দলের বৈঠক। ” গত ১৩ ফেব্রুয়ারী/২০০৪ তারিখে পল্টন ময়দানে চার দলের জনসভায় কতিপয় মৌলভীকে একজন বেপর্দা ও বেগানা মহিলার সাথে বসে থাকতে দেখা গেছে এবং রমযান মাসে কতিপয় নামধারী মৌলভী মহিলার সাথে পাশাপাশি বসে ইফতার করেছে। (দৈনিক ইনকিলাব, ইত্তেফাক, সংগ্রাম, দিনকাল, জনকণ্ঠ ইত্যাদি)
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: পর্দা করা হচ্ছে ফরযে আইন, যা কুরআন শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত। আর হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, “যে দে বাকি অংশ পড়ুন...
২৫. প্রসঙ্গ: ইসলাম উনার নামে মৌলবাদ দাবী করা হারাম
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: বাতিলপন্থীরা বলে থাকে যে, “যারা মৌলবাদী না তারা অবৈধ সন্তান। ” (২৮ অক্টোবর ১৯৯৯ ঈসায়ী, দৈনিক ভোরের কাগজে এসেছে, চরমোনাইর পীর এ কথা বলেছে) আর ২২ আগস্ট মানিক মিয়া এভিনিউতে বলেছে, “যারা মৌলবাদে বিশ্বাসী নয় তারা কাফির, মুরতাদ ও মুশরিক। ” (২৩ আগস্ট/১৯৯৮ ঈসায়ী, দৈনিক বাংলাবাজার)
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: এ কথাটি সম্পূর্ণ শরীয়ত বিরোধী ও কুফরী। কারণ, “মৌলবাদ দাবী না করলে অবৈধ সন্তান” এ ধরনের কথা শরীয়তের কোথাও নেই। কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ মুসলিম, মু’মিন, মুত্তাক্বী ইত বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: নবী-রসূলগণ উনারা ব্যতীত অন্য কারো উপর দরূদ শরীফ পড়া জায়িয নেই।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দাদের প্রতি ছলাত পাঠ করেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই উনার উম্মতের প্রতি ছলাত পাঠ করেছেন বলে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ রয়েছে। তাই পূর্ববর্তী আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা অন্য ওলীআল্লাহ উনাদের প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করতেন। যা তরীক্বতের কিতাবগুলোতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। অতএব, ওলীআল্লাহ উনাদের প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করা অবশ্ বাকি অংশ পড়ুন...
১৭. প্রসঙ্গ: হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম উনার পিতা ছিলেন হযরত তারিখ আলাইহিস্ সালাম
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: তারা বলে ও বিশ্বাস করে থাকে যে, খলীলুল্লাহ, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার পিতা ছিল ‘আযর’। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: তাফসীর ও হাদীছ শরীফ-এর অসংখ্য বর্ণনা দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত রয়েছে যে, খলীলুল্লাহ হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম উনার পিতা ‘আযর’ নয়, বরং উনার পিতা ছিলেন ‘হযরত তারিখ আলাইহিস্ সালাম’। যিনি মূলতঃ তাওহীদপন্থী ছিলেন। আর ‘আযর’ ছিল হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম উনার চাচা। আরবী ভাষায় ‘আবুন’ শব্ বাকি অংশ পড়ুন...
১৪. প্রসঙ্গ: মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ জায়িয ও সুন্নতবাতিলপন্থীদের বক্তব্য: মীলাদ শরীফ পাঠ করা বিদয়াত। আর ক্বিয়াম করা শিরক। তাদের কেউ কেউ আবার মীলাদ-ক্বিয়ামকে কৃষ্ণলিলার গীতের সাথে তুলনা করে। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ সুন্নাতে ছাহাবা। যা পূর্ববর্তী বহু ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম ও হক্কানী আলিম-উলামা উনাদের আমল দ্বারাও প্রমাণিত। যদি মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ নাজায়িয ও শিরক হতো তবে পূর্ববর্তী বুযূর্গ ও আলিম উনারা করলেন কেন? তবে কি তারা বিদ্য়াত ও শিরক্ করেছেন? (নাঊযূবিল্লাহ)
মূলতঃ মীলাদ শর বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: বাতিলপন্থীরা বলে থাকে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারক-এর সব কিছু পবিত্র ছিলো না। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: হাদীছ শরীফ ও ফিক্বাহ-এর বিশ্বখ্যাত কিতাবসমূহের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জিসিম মুবারক (শরীর মুবারক) উনার সমস্ত কিছুই পবিত্র থেকে পবিত্রতম ছিলেন। এমনকি উনার নূরুশ শিফা মুবারক (ছোট ইস্তেঞ্জা মুবারক) ও নূরুল গইব মুবারকও (বড় ইস্ বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: নবীজি তিনি আমাদের মতই রক্তে গোশত গড়া মাটির মানুষ। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমাদের মত মানুষ বলা সুস্পষ্ট কুফরী। কেননা, স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেছেন যে, “আমি তোমাদের কারো মত নই। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, “তোমাদের কে আছে আমার মতো”? সুতরাং তিনি যে আমাদের মত নন, তা আর বলার অপেক্ষাই রাখেনা।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ১৬, ৩৬, ৫৩, ৫৯, ৬২, ৬৩, ৭১, ৮২, ৯৪, ৯৫ ও ১০৫তম সংখ্যাগু বাকি অংশ পড়ুন...
৫. প্রসঙ্গ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবশ্যই হায়াতুন নবী
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: নবীজি তিনি হায়াতুন নবী নন বরং তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন এবং মাটির সাথে মিশে গেছেন। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ইন্তিকাল করেছেন উনাকে তোমরা মৃত বলোনা। বরং তিনি জীবিত। ” হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি যমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন নবী আলাইহিমুস্ সালামগণ উনাদের শরীর মুবারক খাওয়া। ”
নবী বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: মহান আল্লাহ পাক উনার আমাদের মতই দেহ বা জিসম রয়েছে। তিনি আমাদের মতই হাত, পা, নাক, কান ইত্যাদি আকার-আকৃতি বিশিষ্ট। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিরাকার। তিনি জিস্ম বা দেহ এবং হাত, পা, নাক, কান ইত্যাদি আকার-আকৃতি হতে সম্পূর্ণই পবিত্র। মহান আল্লাহ পাক উনার আকৃতি রয়েছে বলে বিশ্বাস করা কুফরী। যারা এটা বিশ্বাস করবে তারা বাতিল ও জাহান্নামী ফিরক্বা মুশাবিহা ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।
[এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৫৭, ৭১, বাকি অংশ পড়ুন...












