১১. প্রসঙ্গ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক অর্থাৎ জিসিম মুবারক উনার সবকিছুই পবিত্রতম
, ১৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ১১ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আক্বায়িদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত

বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: বাতিলপন্থীরা বলে থাকে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারক-এর সব কিছু পবিত্র ছিলো না। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: হাদীছ শরীফ ও ফিক্বাহ-এর বিশ্বখ্যাত কিতাবসমূহের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জিসিম মুবারক (শরীর মুবারক) উনার সমস্ত কিছুই পবিত্র থেকে পবিত্রতম ছিলেন। এমনকি উনার নূরুশ শিফা মুবারক (ছোট ইস্তেঞ্জা মুবারক) ও নূরুল গইব মুবারকও (বড় ইস্তেঞ্জা) পবিত্রতম বা শ্রেষ্ঠ অংশ। শুধু পবিত্রই নয়, বরং সেই ইস্তিঞ্জা মুবারক সামান্য অংশ যদি কারো ভিতরে প্রবেশ করেছেন, তবে তিনিও পবিত্র হয়ে গিয়েছেন এবং উনার জন্যে জান্নাত ওয়াজিব ও জাহান্নাম হারাম হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ! প্রমাণিত রয়েছে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারকের সাথে স্পর্শকৃত যে কোন বিষয়কে সর্বোচ্চ তা’যীম করেছেন।
বহু হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুন নাজাত মুবারক (রক্ত মুবারক) ও নূরুশ শিফা মুবারক (ছোট ইস্তেঞ্জা মুবারক) পান করার ফলে জান্নাতী হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ!
[এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৩, ১৬, ৫৯, ৮২, ১০৫ ও ১২৯তম সংখ্যাগুলো পাঠ করুন। ]
[দলীলসমূহ: বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে হাব্বান, মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া, দালায়িলুন্ নুবুওওয়াহ, খাছায়িছুল কুবরা, হাকীম, দারে কুতনী, আবূ ইয়ালা, মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক ইত্যাদি]
১২. প্রসঙ্গ: আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্পর্কে বাতিলপন্থীদের অপব্যাখ্যা
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: আওলাদে রসূল অর্থ- রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তান। পৃথিবীতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোন সন্তান নেই। তাছাড়া বাংলাদেশে কোন আওলাদে রসূল নেই। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: আওলাদে রসূল অর্থ- রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তান, একথা ভুল। মূলতঃ আওলাদে রসূল অর্থ হচ্ছে, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর। অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার আওলাদ- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের যাঁরা বংশধর উনারাই হচ্ছেন “আওলাদে রসূল বা সাইয়্যিদ” সারা বিশ্বে তো অবশ্যই এমনকি বাংলাদেশেও অসংখ্য আওলাদে রসূল বা সাইয়্যিদ রয়েছেন। কাজেই যারা বলে বাংলাদেশে কোন আওলাদে রসূল নেই, তাদের কথা সম্পূর্ণই মিথ্যা।
[এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৯৪, ১০৫, ১৩০-১৩৩তম সংখ্যাগুলো পাঠ করুন। ]
[দলীলসমূহ: তাফসীরে ইবনে হাতিম, ইবনে কাছীর, মাযহারী, মায়ারিফুল কুরআন, আহমদ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত, সিররুশ শাহাদাতাইন, আনওয়ারে আরিফীন, নুযহাতুল মাজালিস ইত্যাদি]
১৩. প্রসঙ্গ: ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদ্যাপন করা ফরয
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: শরীয়তে ঈদ হচ্ছে দু’টি- ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর। নতুন করে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত ও শিরক। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিত্র ছাড়াও শরীয়তে আরো ঈদ রয়েছে। যেমন, আরাফার দিন, জুমুয়ার দিন। এমনকি হাদীছ শরীফ-এ জুমুয়ার দিনকে ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিত্রের চেয়েও শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে। কারণ হলো, জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম উনি সৃষ্টি হয়েছেন, জমিনে আগমন ও ইন্তিকাল করেছেন ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন হলো জুমুয়ার দিনে হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম উনার সৃষ্টি এবং উনার যমিনে আগমন ও ইন্তিকাল করার কারণে যদি জুমুয়ার দিন ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের চেয়েও শ্রেষ্ঠ হয়। তাহলে যিনি সৃষ্টি না হলে হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম উনিও সৃষ্টি হতেন না; মূলতঃ কিছুই সৃষ্টি হতো না। তিনি যে দিন এ পৃথিবীতে তাশরীফ এনেছেন এবং বিদায় নিয়েছেন সেদিনের মর্যাদা কতটুকু? প্রকৃতপক্ষে সেদিন হচ্ছে সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম ও ঈদে আকবর। সুতরাং ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ ঈদ উদ্যাপন করা শরীয়তের নির্দেশ অর্থাৎ ফরয। এটাকে বিদ্য়াত ও র্শিক বলা কুফরী।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ১১, ১৬, ৪৭, ৮২, ৯৪, ৯৮, ১০০, ১০৫ তম সংখ্যাগুলো পাঠ করুন]
[দলীলসমূহ: তাফসীরে ইবনে আব্বাস, তাফসীরে ইবনে কাছীর, র্দুরে মানছূর, কবীর, আবূ দাঊদ শরীফ, বজলুল মাযহুদ, ফতহুল মুলহিম, নূরুল আনোয়ার, আন্ নি’মাতুল কুবরা, খাছায়িছুল কুবরা ইত্যাদি]
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
২২. প্রসঙ্গ: ওলীআল্লাহগণ উনাদের উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা সুন্নত
১০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
২৬ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বায়িদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
১৮ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
৮. প্রসঙ্গ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কারো মত নন
২৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবশ্যই হায়াতুন নবী
০৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
২. প্রসঙ্গ: মহান আল্লাহ পাক উনার আকার-আকৃতি রয়েছে বিশ্বাস করা কুফরী
০১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের প্রতি কিরুপ আক্বীদাহ পোষণ করতে হবে
২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি কিরূপ আক্বীদাহ পোষণ করতে হবে
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ক্বদমবুছী বা পদচুম্বন খাছ সুন্নত মুবারক; বিদয়াত-শিরক বলা কুফরী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্পর্কে সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা পালন করা ফরজ এবং ছবি তোলা হারাম
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)