অমুসলিমদের গির্জা, মন্দির ইত্যাদি পাহারা দেয়া মুসলমানদের জন্য নিষেধ ও ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ :
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে নেকী ও পরহেজগারীর কাজে সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে এবং গুনাহ ও শত্রুতার কাজে সহযোগিতা করতে নিষেধ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থ: তোমরা পরস্পর নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে সাহায্য, সহযোগিতা করো। আর গুনাহ ও শত্রুতার কাজে সহযোগিতা করো না। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। ( বাকি অংশ পড়ুন...
উনি প্রথম বাইয়াত হয়েছিলেন আহলে বাইতে রসূল হযরত ইমাম বাকের আলাইহিস সালাম উনার কাছে। হযরত ইমাম বাকের আলাইহিস সালাম উনার কাছ থেকে তিনি ইলমে তাছাওউফ অর্জন করেন। এবং উনার বিছালী শান মুবারকের (ইন্তিকালের) পর উনার ছেলে ইমামুল সাদিস মিন আহলে বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার কাছে হযরত ইমাম আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ইলমে তাছাওউফ শিক্ষা করেন।
কারণ তাকওয়া হাছিল করতে হলে ইলমে তাছাওউফ হাছিল করতে হলে ওস্তাদ ছাড়া, শায়েখ ছাড়া আপনার পক্ষে তাকওয়া অর্জন করা কখনও সম্ভব হবে না। ক বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ বা মুনাজাত উনার সম্মানিত আদব:
১. দু‘আ বা মুনাজাতকারীর পানাহার, লিবাস-পোশাক হারাম ও অবৈধ উপার্জন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তার উপার্জনের মধ্যে কোন প্রকার হারাম মিশ্রিত হতে পারবে না। অর্থাৎ তার সকল রিযিক হালাল পন্থায় উপার্জিত হতে হবে। কেননা, হারাম ভক্ষণকারীর দু‘আ ও ইবাদত মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করেন না।
২. অত্যন্ত ইখলাস ও খুলূছিয়তের সাথে দু‘আ করতে হবে।
৩. দু‘আ করার সময় মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে খালিছভাবে রুজু থাকতে হবে। রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে দু‘আ করা যাবে না।
৪. দু‘আ করার পূর্বে কোন নেক কাজ করা উত্তম। অর্থাৎ পবিত্র মীল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ وفى رواية لَيْسَ وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الْإِيمَانِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ
অর্থ: তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন অন্যায় বা হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখে সে যেনো তা হাত দ্বারা বাধা দেয়। যদি সে তা হাত দ্বারা বাধা দিতে না পারে তাহলে সে যেনো যবান দ্বারা বাধা দেয়। যদি যবানের দ্বারাও বাধা দিতে না পারে তাহলে যেনো অন্তরে তা ঘৃণা করে উক্ত অন্যায় বা হা বাকি অংশ পড়ুন...
মূল কথা হলো- বাতিল ফিরক্বা লা মাযহাবী বা তথাকথিত সালাফীদের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের মতই ছূরত বা আকার-আকৃতি ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অধিকারী। নাউযুবিল্লাহ! পক্ষান্তরে প্রকৃত সালাফী বা চার মাযহাব অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি ১০টি বিষয় থেকে পবিত্র। এ সম্পর্কে আক্বাইদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
اَللهُ مُنَـزَّهٌ عَنْ جِسْمٍ وَجَوْهَرٍ وَعَرْضٍ وَتَصْوِيْرٍ وَتَـعْدِيْدٍ وَتَـبْعِيْضٍ وَتَجْزِئٍ وَتَـرْكِيْبٍ وَتَـنَاهِيٍّ وَتَحْدِيْدٍ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি জিসিম বা শরীর বা নির্ভরশীলতা থেকে, চওড়া বা প্রশস্ত হওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রেরণ করেছেন কেন, জানেন?
চারটা পবিত্র আয়াত শরীফ আছে এক রকম। তার মধ্যে একটা পবিত্র আয়াত শরীফ হচ্ছে মূল। সেটা বললে বাকীগুলো হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
لَقَدْ مَنَّ اللهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
অর্থাৎ মু’মিনদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার ইহসান, তাদের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন রসূল ছ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَجِّلُوْا بِالتَّوْبَةِ قَبْلَ الْمَوْتِ عَجِّلُوْا بِاِسْتِعْدَادِ الْمَوْتِ قَبْلَ نُزُولِ الْمَلَكِ الْمَوْتِ.
অর্থ: “তোমরা তাড়াতাড়ি মৃত্যুর পূর্বে তওবা করে নাও। মালাকুল মউত নাযিল হওয়ার পূর্বে তাড়াতাড়ি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করো। অর্থাৎ তওবা করে ঈমানদার হয়ে যাও।
বাকি অংশ পড়ুন...
দানে সম্পদ বৃদ্ধি হয়:
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَصَدَّقَ بِعَدْلٍ ثَمَرَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ وَ لَا يَقْبَلُ اللَّهُ إِلَّا الطَّيِّبَ فَإِنَّ اللَّهَ يَتَقَبَّلُهَا بِيَمِينِهِ ثُمَّ يُرَبِّيْهَا لِصَاحِبِهَا كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ الْجَبَلِ. (متفق عليه)
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি হালাল ব্যতীত (দান) বাকি অংশ পড়ুন...












