পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هٰذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوْا مَا خَلَقْتُمْ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরী করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দাও।” (বুখারী শরী বাকি অংশ পড়ুন...
এখন আরশে ইস্তাওয়ার অর্থ অনেকে লিখেছেন- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া ইত্যাদি। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্ষেত্রে এ অর্থ গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ক্ষেত্রে উপরোক্ত অর্থ গ্রহণ করলে এটাই সাব্যস্ত হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ছূরত বা আকার-আকৃতি রয়েছে বা তিনি বসা, শোয়া ও দাঁড়ানোর মুহতাজ। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ মকতুবাত শরীফ-এ লেখা হয়েছে- “মহান আল্লাহ পাক তিনি “আল্লাহ” শব্দ মুবারক থেকেও পবিত্র।”
তাহলে তিনি বসা ও উপবেশন করার মুহতাজ হন কিভাবে? মহান আল্লাহ পাক তিনি তো বলেই দিয়েছেন যে-
اَللهُ الصَّمَدُ
অর্থাৎ, মহান আল্লাহ পাক তিনি (বসা, উপবেশন করা বাকি অংশ পড়ুন...
‘সুওয়াল: অষ্টম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের ১১৮ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অসাধারণ দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় আল কুরআনের সর্বজনীন গণতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করেন।... দেশ পরিচালনায় জনগণের মতামতের স্বীকৃতি দেন। যা গণতন্ত্রের মূল কথা।” নাউযুবিল্লাহ! এ লেখাটি কতটুকু শরীয়তসম্মত?
সুওয়ালে উল্লেখিত লেখা থেকে যেসব প্রশ্ন উত্থাপিত হয় তা হচ্ছে-
১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ وَّمُسْلِمَةٍ.
অর্থ: ‘প্রত্যেক মুসলমান নর এবং নারীর জন্য ইলম তলব করা হচ্ছে ফরয। ’
বাকি অংশ পড়ুন...
ফাতহুল বারী, শরহুন নববী লি ছহীহ মুসলিম, আউনুল মা’বূদ, তুহফাতুল আহওয়াযী, নাইলুল আওতার, সুবুলুস সালাম ফী শরহে বুলূগিল মারাম ইত্যাদি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
ولا يجوز الاكتفاء بـ (ص) ولا (صلعم) للإشارة إلى الصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم بل المشروع التصريح بذلك فيقول: صلى الله عليه وسلم
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দুরূদ শরীফ বুঝানোর জন্য শুধু (ص) এবং (صلعم) এটাকে যথেষ্ট মনে করা জায়িয নয়। বরং ব্যক্ত করার বৈধ পন্থা হলো- ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ এভাবে বলা বা লেখা। ” (উরশিফু মুলতাক্বা আহলুল হাদীছ ৯/৩২৭)
শরহে আক্বীদ বাকি অংশ পড়ুন...
তখন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “দেখুন, হে হযরত মুআয ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! সত্যিই খুব কঠিন, তবে আপনাদের জন্য সহজ হবে- সেটা হলো কি? আমার পূর্ণ অনুসরণ এবং অনুকরণ যদি করেন, আমার ইত্তেবা যদি পরিপূর্ণভাবে করেন, আমি যা বলেছি সেটা যদি আপনারা আমল করেন, যা থেকে বিরত থাকতে বলেছি তা থেকে বিরত থাকেন, তাহলে আপনাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে। আর না হলে কঠিন হবে। ”
যেটা হযরত আবু যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জ বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا لَقِيتُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا زَحْفًا فَلَا تُوَلُّوهُمُ الْأَدْبَارَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ, আপনারা যখন কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদে মুখোমুখী হবেন, তখন আপনারা পশ্চাদপসরণ করবেন না। ” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
ঝুটার মাসায়িল
জিন-ইনসান কিংবা অন্য প্রাণী, কোনো প্রকার খাদ্য বা পানীয় বস্তু মুখে লাগিয়ে ত্যাগ করলে তাকে ঝুটা বা উচ্ছিষ্ট বলা হয়।
সর্বপ্রকার মানুষের ঝুটা পাক। তবে হাতে বা মুখে কোনো নাপাকী লেগে থাকলে, তাদের ঝুটা নাপাক হয়ে যাবে।
কুকুর, শূকর ও হিংস্র প্রাণীর ঝুটা নাপাক। এ সমস্ত প্রাণী কোনো পাত্রে মুখ দিলে সেটা কমপক্ষে তিনবার ধৌত করতে হবে। আর সাতবার ধৌত করা আফযল বা উত্তম। তন্মধ্যে প্রথমবার মাটির দ্বারা মেজে ফেলা আফযল বা উত্তম। হালাল পশু, যেমন- গরু, মহিষ, বকরী, ভেড়া, হরিণ ইত্যাদি এবং হালাল পাখি, যেমন- ময়না, তোতা, ঘুঘু, চড়ুঁই ইত্যাদির ঝ বাকি অংশ পড়ুন...












