নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে সাথে নিয়ে গরুর গোস্ত খেয়েছে।এ বিষয়ে ‘ক্বেত‘ঈ নস’ থেকে দলীল
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حضرت جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَدِمَ المَدِينَةَ نَحَرَ جَزُورًا أَوْ بَقَرَةً
অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব নূরে মুজাস বাকি অংশ পড়ুন...
যা মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র বলেছেন-
وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللهَ وَيَتَّقْهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ
এর অর্থ হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত করবে, মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করবে, গুণাহ্ থেকে বেঁচে থাকবে তারা বিরাট কামিয়াবী হাছিল করবে। ”
এর তাফসীরে একটা ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে একটা ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “প্রতিটি রোগের ওষুধ আছে, যখন রোগ অনুযায়ী ওষুধ মিলে যায় তখন মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছায় রোগ ভালো হয়ে যায়। ” (মুসলিম শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হে বান্দাগণ! তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো। মহান আল্লাহ পাক তিনি মৃত্যু ব্যতিত এমন কোন ব্যাধি সৃষ্টি করেননি যার প্রতিষেধক নেই এবং যা দুরারোগ্য। ” (সুনানে আবূ দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মুস্তাদরিকে হাকীম)
বাকি অংশ পড়ুন...
ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার গ্রন্থে হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ اللهَ أَنْزَلَ الدَّاءَ وَالدَّوَاءَ وَجَعَلَ لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاءً فَتَدَاوَوْا وَلاَ تَدَاوَوْا بِحَرَامٍ.
মহান আল্লাহ পাক তিনি রোগ ও ওষুধ উভয়ই পাঠিয়েছেন, প্রত্যেক রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ রয়েছে তাই তোমরা চিকিৎসা করো। তবে হারাম বস্তু দিয়ে চিকিৎসা করা পরিহার করো। (সুনানে আবু দাউদ শরীফ-৩৮৭৬)
হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ছহীহ গ্রন্থে বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্বের পর্বগুলোতে অকাট্য দলীলের ভিত্তিতে প্রমাণ করা হয়েছে, সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরবানী দেয়া ওয়াজিব।
যারা বলে, “পবিত্র কুরবানী করা একটি সাধারণ ইবাদত, যতো সম্পদশালী হউক না কেন পবিত্র কুরবানী করলে ছাওয়াব আছে আর না করলে কোনো গুনাহ হবেনা। না‘উযুবিল্লাহ! এখানে পবিত্র কুরবানী সম্পর্কে তাদের গুরু ইবনে তাইমিয়ার মত উল্লেখ করা হলো।
তথাকথিত আহলে হাদীছ ওরফে আহলে হদছ, ওহাবী, সালাফী, লা-মাযহাবীদের গুরু ইবনে তাইমিয়ার মতেও পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব:
وَأَمَّا الْأُضْحِيَّةُ فَالْأَظْهَرُ وُجُوبُهَا أَيْضًا فَإِنَّهَا مِنْ أَعْظَمِ شَعَائ বাকি অংশ পড়ুন...
عَنْ حَضْرَتْ سَعِيدِ بْنِ أَبِى الْحَسَنِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَقَالَ إِنِّى رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ فَأَفْتِنِى فِيهَا. فَقَالَ لَهُ ادْنُ مِنِّى. فَدَنَا مِنْهُ ثُمَّ قَالَ ادْنُ مِنِّى. فَدَنَا حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ أُنَبِّئُكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ يَجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِى جَهَنَّمَ. وَقَالَ إِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لاَ نَفْسَ لَهُ.
অর্থ: হযরত সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এক বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
وَآتُوا الزَّكَاةَ
যাকাত আদায় করো।
যাকাত যদি আদায় করে তার পবিত্রতা হাছিল হয়। আর যাকাত যদি কেউ আদায় না করে, তার পবিত্রতা বজায় থাকে না। সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে সেটা উল্লেখ করেছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ
যারা স্বর্ণ-চান্দি জমা করে, সঞ্চয় করে,
وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ آمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا
অর্থ: (হে আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মূর্তিপূজারী মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতকে সতর্ক করে ইরশাদ মুবারক করেন-
سَيَأْتِىْ قَوْمٌ يَسُبُّوْنَهُمْ وَ يَسْتَنْقِصُوْنَهُمْ فَلا تُجَالِسُوْهُمْ وَلا تُآكِلُوْهُمْ وَلا تُشَارِبُوْهُمْ وَلا تُنَاكِحُوْهُمْ و فى رواية أُخرى وَلا تُصَلُّوْا مَعَهُمْ وَلا تَدْعُوْ لَهُمْ.
অর্থ: অতি শীঘ্রই একটি দল বের হবে, যারা আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিবে, উনাদেরকে নাকিছ বা অপূর্ণ বলবে। সাবধান! তোমরা তাদের মজলিসে বসবে না, তাদের সাথে পানাহার করবে না, তাদের সাথে বিবাহ-শাদীর ব্যবস্থা কর বাকি অংশ পড়ুন...
কা’ব ইবনে আসাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ:
একজন বলেই ফেললো-
كَانَ مُحَمّدٌ يَعِدُنَا أَنْ نَأْكُلَ كُنُوزَ كِسْرَى وَقَيْصَرَ
‘সম্মানিত মুসলমানরা স্বপ্ন দেখছেন যে, উনারা কিসরা ও কায়সার বিজয় করবেন। ’
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হারিসা ইবনে হারিস গোত্রের আউস ইবনে কায়যী তার গোত্রের একটি বড় মজলিসে বলে উঠলো, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের বাড়ি-ঘর অরক্ষিত এবং শত্রুর মুখে। আপনি যদি দয়া করে অনুমতি মুবারক দিতেন তাহলে আমরা বাড়িতে চলে যেতাম। কারণ আমাদের বাড়ি হচ্ছে, পবিত্র মদীনা শরীফ উনার বাইরে। কিন্তু দ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে বলেছেন, “নামায কায়িম করুন আপনারা। ”
اَلصَّلَاةُ عِمَادُ الدِّينِ، فَمَنْ أَقَامَهَا فَقَدْ أَقَامَ الدِّينَ، وَمَنْ تَركَهَا فَقَدْ هَدَمَ الدِّينَ
অর্থ : নামায হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খুঁটি। যে নামায কায়িম রাখলো, সে দ্বীন ইসলাম উনাকে কায়িম রাখলো। যে নামায উনাকে তরক করে দিল, সে দ্বীন ইসলাম উনাকে ধ্বংস করে দিল।
مِفْتَاحُ الْجَنَّةِ اَلصَّلَاةُ
অর্থ : নামায হচ্ছে জান্নাতের চাবি।
কাজেই আপনারা নামায কায়িম রাখুন এবং আরো মহান আল্লাহ পাক তিনি আমভাবে সকলের জন্য বলেছেন-
أَقِيمُوا الصَّلاَةَ
অর্থ : প্রত্যেকেই তোমরা নামায কায়িম রাখ বা আদায় করো এবং বাকি অংশ পড়ুন...












