যারজন্য হাদীছ শরীফে আমরা দেখতে পাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুই রকমেই বলেছেন। কি বলেছেন? অনেক সময় হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বলেছেন-
اَرِحْنِى اَرِحْنِى يَا بِلَالُ
হে বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আমাকে শান্তি দিন, ইতমিনান দিন, পেরেশানী আমার দূর করে দিন, আযান দিন। অর্থাৎ আযান দিন, আপনি আযান দিয়ে আমার অন্তরের পেরেশানী দূর করে দিয়ে আমাকে শান্তি দান করুন। ” আবার অনেক সময় হুজরা শরীফে প্রবেশ করলে বলতেন-
اَرِحْنِى اَرِحْنِى يَا عَائِشَةُ
হে হযরত উম্মুল মু’মিনীন ছিদ্দীক্বা আলাইহাস বাকি অংশ পড়ুন...
কাফির, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মুজূসী, ইহুদী, নাছারা এদের উপাসনালয়ে যাওয়া লা’নতের কারণ
১ম দলীল
এই সমস্ত কুফরী ও লা’নত থেকে বাঁচার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি যা বলেছেন তা কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَا تَدْخُلُوْا عَلَى الْمُشْرِكِـيْـنَ فِـىْ كَـنَائِسِهِمْ يَـوْمَ عِيْدِهِمْ فَاِنَّ السَّخْطَةَ تَـنْزِلُ عَلَيْهِمْ
“সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তোমরা মুশরিকদের উৎসবের দিনে তাদের উপাসনালয়ে, মন্দিরে প্রবেশ করো না। কেননা, নিশ্চয়ই তাদের উপর (এই দিনসমূহে মহান আল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
فَاصْبِرْ صَبْرًا جَمِيلًا
অর্থ: “আপনি উত্তমভাবে ধৈর্যধারণ করুন। ” (পবিত্র সূরা মায়ারিজ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০৫)
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ছবর বা ধৈর্য্য হচ্ছে ঈমানের অর্ধেক। ”
মূলত যে সমস্ত গুণাবলী নুবুওওয়াত মুবারকের অবিচ্ছেদ্য অংশ তার মধ্যে অন্যতম হলো ধৈর্য, ক্ষমা এবং সহনশীলতা। এ সমস্ত সুমহান বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলী মুবারকের অধিকারী ছিলেন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা।
নেকী অর্জন তথা হিদায়েতের কাজে বাধা বিপত্তি, দুঃখ-যন্ত্রনা, জুলুম-নির্যাতন আসার পর তা বরদাশত কর বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার এক মুরীদকে নছীহত করে চিঠি লিখলেন। সেই চিঠি মুবারকে অনেক নছীহত মুবারক করে শেষে লিখেছেন, জেনে রাখো, যতক্ষণ পর্যন্ত দশটি বস্তু নিজের প্রতি ফরয করে না নিবে ততক্ষণ পর্যন্ত কারো পরহেজগারী পূর্ণতা লাভ করবে না।
(১) গীবত হতে স্বীয় জিহ্বাকে রক্ষা করা।
(২) অন্যের প্রতি অন্যায় অসৎ ধারণা করা হতে বিরত থাকা।
(৩) কারো প্রতি তিরস্কার না করা।
(৪) হারাম বস্তু হতে চোখকে হিফাযত করা।
(৫) সত্য কথা বলা।
(৬) নিজের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহসমূহের পরিচয় লাভ করা। যাতে আত্মগরিমা না আসতে পারে।
বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত শেখ সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নছীহত মুবারক করেছিলেন, “তোমাদের শিশুরা বুুঝদার হওয়ার পর তোমরা তাদেরকে কোনো হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনার ছোহবতে নিয়ে যাবে। তাতে করে উক্ত সন্তান পরবর্তী জীবনে বড় ওলীআল্লাহ না হতে পারলেও, সে কখনো গুমরাহ হবে না। ”
এখন প্রশ্ন হতে পারে, যদি কোনো সন্তানকে শিশু বয়সে হক্কানী ওলীআল্লাহ উনার কাছে নেয়া হলে তার সারাজীবনের জন্য হিদায়েত নিশ্চিত হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কোনো শিশুকে ‘মুসলমানরা তোমার শত্রু’ এই শিক্ষা দেয়া হলে তার ফলাফল কি হবে? সেই শিশু পরিণত বয়সে কখনো মুসলমানদের প্রতি সদ্ভাব পোষণ করবে কি?
বাকি অংশ পড়ুন...
বিগত পর্বসমূহের দলীলভিত্তিক আলোচনা থেকে যে বিষয়গুলো প্রমাণিত হলো তার সারসংক্ষেপ:
১. মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরবানী করতে আদেশ মুবারক করেছেন। আর মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক পালন করা আবশ্যক। তাই সম্মানিত শরীয়তে সামর্থ্যবান সবার জন্য পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব করা হয়েছে।
২. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্যেক পরিবারকে পবিত্র কুরবানী মুবারক করার জন্য আদেশ মুবারক করেছেন। উনার আদেশ মুবারক পালন করাও আবশ্যক। তাই সম্মানিত শরীয়তে সামর্থ্যবান সবার জন্য পবিত্র কুরবানী করা ও বাকি অংশ পড়ুন...
যখন এই ব্যক্তি এই আয়াত শরীফ বললো, তার অর্থ করলো এবং তার ব্যাখ্যা করলো সেটা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি শুনলেন।
উনি শুনে বললেন যে, সত্যিই সে সুন্দর ব্যাখ্যা করেছে। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ইতায়াত করবে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ফরযগুলো পালন করবে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতায়াত করবে, সুন্নত মুবারকগুলো পালন করবে, মহান আল্লাহ পাক উনাকে তার অতীতকালের জন্য ভয় করবে, পিছনের আমলের জন্য এবং সামনের জিন্দেগীর জন্য যে পরহেযগারী ইখতিয়ার করবে, তাক্বওয়া হাছিল করবে সেই ব্যক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَخْرِجُوا الْمُشْرِكِينَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ
অর্থ: তোমরা মুশরিকদেরকে (অর্থাৎ সমস্ত কাফির-মুশরিককে) জাজিরাতুল আরব থেকে বের করে দাও। ” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّـمَا النَّسِيءُ زِيَادَةٌ فِي الْـكُفْرِ ۖ يُضَلُّ بِهِ الَّـذِيْنَ كَفَرُوا يُـحِلُّونَهُ عَامًا وَيُـحَرِّمُونَه عَامًا لِّيُوَاطِئُوا عِـدَّةَ مَا حَرَّمَ اللهُ فَيُحِـلُّوا مَا حَرَّمَ اللهُ ۚ زُيِّنَ لَـهُمْ سُوءُ اَعْـمَالِـهِمْ ۗ وَاللهُ لَا يَـهْدِي الْقَوْمَ الْـكَافِرِيْـنَ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই নাসী বা মাসকে আগে পিছে করা কুফরীকে বৃদ্ধি করে থাকে। এর দ্বারা কাফিরেরা গুমরাহীতে নিপতিত হয়। তারা (ছফর মাসকে) এক বছর হালাল করে নেয় এবং আরেক বছর হারাম করে নেয়, যেন মহান আল্লাহ পাক উনার হারামকৃত মাসগুলোর গণনা পূর্ণ করতে পারে। অতঃপর তারা সে সমস্ত ম বাকি অংশ পড়ুন...












