وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَّرَاءِ حِجَابٍ
“যখন তোমরা কিছু চাবে মহিলাদের কাছ থেকে তাহলে পর্দার আড়াল থেকে চেয়ো। ”
ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
“এটা তোমাদের এবং যাদের কাছ থেকে তোমরা চাবে মহিলাদের জন্য অন্তরের পবিত্রতার কারণ হবে। ”
এই আয়াত শরীফ মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেছিলেন পর্দার জন্য। তার শানে নুযূল সম্পর্কে বলা হয়েছে অনেক কথাই।
মূল যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ (যাইনাব বিনতে জাহাশ) আলাইহাস সালাম উন বাকি অংশ পড়ুন...
একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হেরেম শরীফে নামায আদায় করছিলেন। তিনি সিজদায় গেলে কুরাইশদের অনেক সর্দারের উপস্থিতিতে আবু জেহেল ওকবার মাধ্যমে উটের পঁচা দুর্গন্ধময় নাড়ীভুড়ি এনে উনার পবিত্র জিসিম মুবারকে চাপিয়ে দেয়। নাঊযুবিল্লাহ! এ সংবাদ শুনে সাইয়্যিদাতুন নিসা, হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি এসে তা সরিয়ে ফেলেন।
একবার এক বেদুঈন গোত্রে আর্থিক অনটন দেখা দিলে বেদুঈন গোত্র প্রধান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সাহায বাকি অংশ পড়ুন...
ছলাত বা নামায সর্বশ্রেষ্ঠতম ইবাদত। নামাযের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দার সাথে কথোপকথন করেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, একদিন হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম তিনি এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি আপনাকে সালাম দিয়েছেন। আর বলেছেন, কোন বান্দা যখন নামাযের জন্যে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফে দাড়িয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِناهُ الكَلاَمُ، وَاليَدُ زِنَاهَا البَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الخُطَا، والقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الفَرْجُ أَوْ يُكَذِّبُهُ
অর্থ: হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “চোখের ব্যভিচার হলো দৃষ্টি করা, কানের ব্যভিচার হলো শ্রবণ করা, মুখের ব্যভিচার হল বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফে বেশ কয়েকখানা আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন এই পর্দা সম্পর্কে। বিশেষ করে পর্দার আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার অনেকগুলো প্রসঙ্গ রয়েছে। যেটা তাফসীর ও হাদীছ শরীফের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ফিক্বাহ’র কিতাবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পর্দার আয়াত শরীফ প্রসঙ্গে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُوا وَلَا مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ فَيَسْتَحْيِي مِنْكُ বাকি অংশ পড়ুন...
কারামত বা অলৌকিক ঘটনা:
পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
من عاد لى وليا فقد اذنته بالحرب
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আমার ওলী উনার সাথে বিদ্বেষভাবাপন্ন হয়, তার সাথে আমি যুদ্ধ ঘোষণা করি। ” (বুখারী শরীফ)
কেননা সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, গাউছুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কারামতকে অস্বীকার করার কারণে কত লোক যে গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট হয়েছে তার বর্ণনা দিলে স্বতন্ত্র একটি গ্রন্থ রচিত হবে। সঙ্গতকারণে এখানে তার বর্ণনা দেয়া যাচ্ছে না।
ওলীআল্লাহ হওয়ার জন্য কারামত প্রকাশ পাওয়া শর্ত নয়। ত বাকি অংশ পড়ুন...
আবূ লাহাবের ভয়াবহ পরিণতি:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চরম দুশমন, আবূ লাহাব কতটা নিকৃষ্ট ছিলো তা নিচের একটি ঘটনা দ্বারা কিছুটা অনুমান করা যায়।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যারা মহাসম্মানিত আবনা অর্থাৎ ছেলে আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ছিলেন উনারা প্রত্যেকে দুনিয়াবী অল্প হায়াত মুবারকেই বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। উনাদের এই অল্প হায়াত মুবারকে বিছাল শরীফ গ্রহণ করার কারণে কাট্টা কাফির আবূ লাহাব সেতো কোনো দুঃখ প্রকাশ করেইনি; বরং সে খুশি হয়ে কুরাইশদে বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিলেন, যেহেতু আপনাদেরকে এত পবিত্রা থেকে পবিত্রাতম করা হলো, তাহলে আপনাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে সেটা হচ্ছে-
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
“আপনাদের ঘরের মধ্যে যে সমস্ত আয়াত শরীফ নাযিল হয়ে থাকে বা আলোচনা করা হয়ে থাকে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সমস্ত কথা বলে থাকেন অর্থাৎ যে সমস্ত হাদীছগুলো আপনাদের এখানে আলোচনা হয়ে থাকে সেগুলো আপনারা স্মরণ রাখুন এবং সে আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ মানুষদেরকে আপনারা সাধ্যমত, তা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَرِضْوَانٌ مِّنَ اللَّهِ أَكْبَرُ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি-রেজামন্দি মুবারকই শ্রেষ্টতম নিয়ামত মুবারক। আর এই শ্রেষ্টতম নিয়ামত হাছিলই কামিয়াবী-সফলতা। (পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ-৭২)
মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলই বান্দা ও উম্মতের প্রধান ও মূল লক্ষ- উদ্দেশ্য। পবিত্র গৃহপালিত পশু কুরবানী মুবারকের দ্বারা সেই উদ্দেশ্য সফল হয়। মহান আল্ বাকি অংশ পড়ুন...
খারেজি ফিরকার দাবি হচ্ছে পূর্ববর্তী যে কিতাবসমূহে পবিত্র হাদীছে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বা সর্বপ্রথম পবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি বিষয়ক রেওয়ায়েত রয়েছে তা ভুল করে চলে এসেছে এবং মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকে এ ধরনের কোন বর্ণনা ছিলো না। নাঊযুবিল্লাহ! আজকে এ কথারই জবাব দিবো ভুল করে আসেনি বরং অত্যন্ত তাহক্বীক ও নির্ভরতার সাথে উনারা দলীল এনেছেন।
বিখ্যাত মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ হযরত ইবনে হাজার হায়তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত: ৯৭৪ হিজরী) উনাকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। উনার ভুবন বিখ্যাত একখানা কিতাবের নাম হচ্ছে “ফতওয় বাকি অংশ পড়ুন...












