যেমন, বিশেষ করে পর্দা হচ্ছে বিবাহের জন্য অন্যতম জরুরী বিষয়। যদি কেউ পর্দা রক্ষা করতে না পারে তাহলে তার জন্য বিবাহ করা যে ফরয বা সুন্নত থাকে সেটা ছাকেত হয়ে যায়। যেহেতু পর্দা করা হচ্ছে ফরয। তাই তার সুন্নত ছাকেত হয়ে যাবে যদি সে পর্দা রক্ষা করতে না পারে, পর্দা করা হচ্ছে ফরয।
যেটা আগেও আমি বলেছি, এক একটা দৃষ্টিতে এক একটা কবীরাহ্ গুণাহ্, হাদীছ শরীফে আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন।
সেজন্য বলা হয়েছে, যখন কেউ বিবাহ করবে সে যেন সতর্ক হয়ে সাবধান হয়ে করে অর্থাৎ সমস্ত বাকি অংশ পড়ুন...
শরীয়তের ফতওয়া অনুযায়ী ক্বদমবুছী নেয়া বা করার জন্য অনুমতি দান করা আখাছ্ছুল খাছ সুন্নত মুবারক:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أُمِّ أَبَانَ بِنْتِ الْوَازِعِ بْنِ زَارِعٍ رَحْمَة اللهِ عَلَيْهَا عَنْ جَدِّهَا زَارِعٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ وَكَانَ فِي وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صَلَّـى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه
অর্থ: হযরত উম্মু আবান বিনতে ওয়াযি’ ইবনে যারি’ রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি উনার সম্মানিত দাদা হযরত যারি’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণ বাকি অংশ পড়ুন...
কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফে এসেছে, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلنِّكَاحُ نِصْفُ الْإِيمَانِ
“বিবাহ করা হচ্ছে অর্ধেক ঈমান। ”
অন্য হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন-
عَنْ حَضْرَتْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا تَزَوَّجَ الْعَبْدُ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ نِصْفَ الدِّينِ، فَلْيَتَّقِ اللهَ فِي النِّصْفِ الْبَاقِي.
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
আর দ্বিতীয় রেওয়ায়েতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফে প্রবেশ করে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে ডেকে নিয়ে পর্দা লটকিয়ে দিলেন। এরপরও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আসতেছিলেন। সেই মুহূর্তে মহান আল্লাহ পাক তিনি আয়াত শরীফ নাযিল করলেন, ঘোষণা করে দিলেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُو বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هَا أَنتُمْ أُولَاءِ تُحِبُّونَهُمْ وَلَا يُحِبُّونَكُمْ وَتُؤْمِنُونَ بِالْكِتَابِ كُلِّهِ وَإِذَا لَقُوكُمْ قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا عَضُّوا عَلَيْكُمُ الْأَنَامِلَ مِنَ الْغَيْظِ. قُلْ مُوتُوا بِغَيْظِكُمْ. إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
অর্থ: দেখ! তোমরাতো তাদেরকে (বন্ধু ভেবে) মুহব্বত করো, কিন্তু তারা তোমাদেরকে মুহব্বত করে না। আর তোমরা (মহান আল্লাহ পাক প্রদত্ত) সমস্ত কিতাবে বিশ্বাস করো (কিন্তু তারা তোমাদের কিতাবে বিশ্বাস করে না)। কাফির-মুশরিক তারা যখন তোমাদের সংস্পর্শে আসে তখন (কপটতার সাথে) বলে, আমরাও বিশ্বাস করি। আবার যখন তারা একান্তে মিলিত বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِينَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُونَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ.
অর্থ: “আর আপনারা মুশরিকদের সকলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে জিহাদ করুন, যেমনিভাবে তারা আপনাদের সকলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে জিহাদ করে থাকে। আর জেনে রাখুন যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্তাক্বীদের সাথে রয়েছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা তাওবা: আয়াত শরীফ ৩৬)
বাকি অংশ পড়ুন...












