খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
فَاِنْ اٰمَنُوْا بِـمِثْلِ مَا اٰمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا.
অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেরূপ সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন তদ্রƒপ যদি তোমরা সম্মানিত ঈমান মুবারক গ্রহণ করতে পারো তাহলে তোমরা হিদায়েত মুবারক লাভ করতে পারবে। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ : আয়াত শরীফ ১৩৭)
এ লিখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ব বাকি অংশ পড়ুন...
অনুরূপ হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিলেন,
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ“আপনারা যদি পরহেযগারী ইখতিয়ার করে থাকেন। ”
অর্থাৎ আপনারা যে পরহেযগার হবেন, কতটুকু পরহেযগার হবেন? আপনাদের যে রকম যোগ্যতা রয়েছে ঠিক ততটুকু আপনাদের পরহেযগার হতে হবে। যেহেতু পরহেযগারী যে ইখতিয়ার করবে তার ফযীলত, তার সম্মান, তার ইজ্জত মহান আল্লাহ পাক তিনি বেশী দিয়েছেন।
যা অন্যত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ঘোষণা করে দিয়েছেন-
يَاأَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْق বাকি অংশ পড়ুন...
কিয়ামতের লক্ষণ
৩য় লক্ষণ ও ৩য় দলীল:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنِّـىْ لَا اَخَافُ عَلـٰى اُمَّتِـىْ اِلَّا الْاَئِمَّةِ الْمُضَلِّـيْـنَ وَلَنْ تَـقُوْمَ السَّاعَةُ حَتّٰـى تَـلْحَقَ قَـبَائِلُ مِنْ اُمَّتِـىْ اَلْمُشْرِكِـيْـنَ وَحَتّٰـى تَـعْـبُدَ قَـبَائِلُ مِنْ اُمَّتِـىْ اَلْاَوْثَانَ
“আমি আমার উম্মতের জন্য অধিক ভয়ের অর্থাৎ ক্ষতির কারণ মনে করি বিভ্রান্ত শাসকদেরকে। আর মুশরিকদের সাথে আমার উম্মতের কতিপয় গোত্র না মিলিত হওয়া পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না, এমনকি ঐ নামধারী মুসলমানরা মূর্তিপূজাও করবে। ” না‘ঊযুবিল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَمَا آَتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থ: আমার যিনি সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের জন্য যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাকো এবং এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০৭)
মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত তাক্বওয়ার পোশাক পরিধান করার ব্যাপারে তাকিদ দিয়ে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
يَا بَنِي বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৫৭৫৭, ৫৩১৬, এবং ৫৪২৫, উমদাতুল ক্বারী ৩১/৩৮ বাকি অংশ পড়ুন...
(১৫) হযরত আবু আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনুল হুসাইন তারুগান্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন পবিত্র মক্কা শরীফ উনার এক বাজারে গিয়েছিলেন। তিনি গিয়ে দেখলেন, এক বৃদ্ধ এক ক্রীতদাসীকে বিক্রি করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। ক্রীতদাসীর শরীরের রং ফ্যাকাসে হয়ে গেছে, শরীর ভীষণ রোগা ও দূর্বল, কিন্তু চেহারা বেশ নূরানী।
বৃদ্ধ লোকটি বলছে, সে ২০ দীনারের অধিক মূল্যে এই বাঁদীকে বিক্রি করবে এবং তার দোষ-ত্রুটির জন্য তাকে ফেরত দেয়া যাবে না। তখন হযরত আবু আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনুল হুসাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বৃদ্ধের কাছে গিয়ে বাঁদীর দোষ-ত্রুটি সম্বন্ধে জ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
পবিত্র কুরবানীর পশুর জন্য কোন কোন ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়া জরুরী?
জাওয়াব:
পবিত্র কুরবানীর জন্য পশু দোষ-ত্রুটি মুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। পশুর ত্রুটিগুলি দু’ভাগে বিভক্ত। (এক) আয়িবে ফাহিশ অর্থাৎ বড় ধরনের দোষ বা ত্রুটি। যার কোন একটি পশুর মধ্যে থাকলে উক্ত পশু দ্বারা কুরবানী শুদ্ধ হবে না। যেমন- এমন দূর্বল পশু, যার হাড়ে মজ্জা বা মগজ শুকিয়ে গেছে। অথবা যে সকল পশু কুরবানীর জায়গা পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারেনা। যেসব পশুর একটি পা এরূপ নষ্ট হয়ে গেছে যে, উক্ত পা দ্বারা চলার সময় কোন সাহায্য নিতে পারে না। যে পশুর কান অথবা লেজের তিনভাগের একভাগ কা বাকি অংশ পড়ুন...
এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি পার্থক্য করে দিয়েছেন। হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে এবং এর পূর্বে আরো কিছু আয়াত শরীফ নাযিল করা হয়েছে। সেটা অন্যান্য আমল-আখলাক সম্পর্কেও উনাদেরকে পার্থক্য করে দেয়া হয়েছে। উনাদের ফযীলত, বুযূর্গী, সম্মান উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উল্লেখ করেন, إِنِ اتَّقَيْتُنَّ যদি আপনারা পরহেযগারী ইখতিয়ার করে থাকেন, বা পরহেযগার হয়ে থাকেন তাহলে পরহেযগার কাকে বলে, তাক্বওয়া কাকে বলে?
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কতটুকু পরহেযগারী, কতটুকু তাক্বওয়া অবলম্বন করেছেন?
বাকি অংশ পড়ুন...












